আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি হাসিখুশি জীবন।
হ্যালো এভরিওয়ান
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি হাসিখুশি জীবন।
একটি ছেলে আর একটি মেয়ের ছোট্ট হাসিখুশি সংসার। তারা দুজন দুই বছর প্রেম করে সবার অমতে বিয়ে করে। খুব কম বয়সে বিয়ে করার কারণে প্রথম অবস্থায় তাদের কিছুই ছিল না।
দুজনের কঠিন পরিশ্রমে ধীরে ধীরে তারা স্বাবলম্বী হতে শুরু করে। একজন বাহিরে কাজ করতো এবং অন্যজন ঘরের মধ্যে সেলাই করে অনেক টাকা উপার্জন করতো।
দুজন ছিল খুব পরিশ্রম এবং নিষ্ঠাবান। প্রথমদিকে পরিবারের সবাই অমর থাকলেও ধীরে ধীরে দুটি পরিবারের মিল হয়ে যায়। কিন্তু তারা শহর থেকে বাড়িতে আর এলোনা।
একজন অপরজনকে খুব বেশি ভালোবাসতো। সারা দিন যদি দুজন কাজ করতো রাত হলে দুজন দুজনকে অনেক বেশি সময় দিত। একজন একজনের প্রতি ছিল অনেক দুর্বল।
সারাদিন দুজনের পরিশ্রম যতটুকু থাকতো না কেন রাতে দুজনে যখন একসাথে হতো তখন সারাদিনের কষ্ট সব ভুলে যেত।
এভাবেই হাসিখুশি জীবনে তারা খুব সুন্দর ভাবে সামনের দিকে আগাচ্ছে লো। একদিন মেয়েটি ছেলেটিকে বলল তোমার কাজগুলো সেরে দাও। আমরা একটা পরিকল্পনা করে আগাতে পারে কিনা দেখি।
ছেলেটি বলল কে পরিকল্পনা বল আমি তাহলে আগামীকাল থেকে আমার কাজে আর যাব না। একজন একজনের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ছিল।
বিশ্বস্ত ছিল আকাশচুম্বী। মেয়েটির কথায় এক কথায় ছেলেটি আগামী দিন থেকেই কাজে গেল না। হঠাৎ করে মেয়েটি ছেলেটিকে বলল চলো আমরা কোথাও থেকে ঘুরে এসে তোমাকে আমি আমার পরিকল্পনাটির কথা বলব।
ছেলেটি তার কথায় রাজী হয়ে গেলো। তারা দুজন একত্রিত হয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বেড়াতে গেল। কয়েকদিন সেখানে ঘুরে আসার পর তারা আবার বাসায় এল।
মেয়েটি ছেলেটিকে বলল আমি বিভিন্ন জিনিসপত্র মেশিনে তৈরি করব আর তুমি মার্কেটে মার্কেটে আমার জিনিসপত্রগুলো বিক্রি। এভাবে আরো কয়েকটি পরিকল্পনা মেয়েটি ছেলেটিকে দিল।
এবং ছেলেটি এক কথায় রাজি হয়ে গেল কারণ ছেলেটা সারাদিন অনেক পরিশ্রম করত কিন্তু এই কাজটি তার জন্য অনেক ইজি। অনেকদিন যাবত ছেলেটি এ কাজ করে গেল মেয়েটির বিভিন্ন পোশাক আশাক তৈরি করত আর ছেলেটি মার্কেটে গিয়ে সেগুলো বিক্রি করতো।
একদিন একটি বড় দোকান থেকে অর্ডার আসলো 50000 টাকার মাল লাগবে। তখন দুজন একসাথে হয় । অতি তারাতারি মাল গুলো ডেলিভারি দিল। তার কিছুদিন পর আরও একটি দুইটি ব্যবসা থেকে তাদের ওয়ার্ডার আসতে শুরু করলো।
তখন দিন রাত পরিশ্রম করে ছেলে আর মেয়ে টি তাদের মালগুলো ডেলিভারি দিলেন। এবং আস্তে আস্তে তারা দুজন একটি অনেক বড় গার্মেন্টস দিয়ে দিল। তাদের প্রতিষ্ঠানে এখন হাজার হাজার মানুষ কাজ করে।
আর তারাও অনেক স্বাবলম্বী হয়ে গেল। আমরা এ গল্প থেকে শিখতে পারলাম কিভাবে পরিশ্রম আর বিশ্বাস থেকে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।
আমি আশা করি আজকের গল্পটি আপনাদের সবার অনেক। গল্পটি আমার নিজ থেকে তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের পোস্ট এখানে শেষ করলাম ধন্যবাদ।