জেনারেল রাইটিং || ডিপ্রেশন || দ্বিতীয় পোস্ট
হাই বন্ধুরা!
হাই
বন্ধুরা!আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রথমে বলে রাখি,
মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারও উপস্থিত হয়েছি ডিপ্রেশন নিয়ে দ্বিতীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য, আশা করব এই পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং ডিপ্রেশন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।আলোচনার বিষয়: ডিপ্রেশন |
---|
মানুষের শরীরে যেমন সুগার থাকে, তেমনি মনের মধ্যে ডিপ্রেশন থাকে। সুগারের মাত্রা যখন বেড়ে যায় তখন তাকে ডায়াবেটিস বলে। আর টেনশন এর মাত্রা যখন বেড়ে হতাশায় পরিণত হয় সেটা হয় ডিপ্রেশন। ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পেলে যেমন শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ঠিক তেমনি ডিপ্রেশন মনের মধ্যে বেড়ে গেলে অর্থাৎ হতাশা বেড়ে গেলে অতিরিক্ত কষ্ট অনুভব হয় এবং সেই কষ্ট যে কোন প্রকার খারাপ কাজ করার তাগিদ দেয়। ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে যেমন ঔষধে কাজ হয় না ইনসুলিন দেয়ার প্রয়োজন হয়ে যায়। ঠিক তেমনি একজন হতাশাগ্রস্তর ডিপ্রেশন এর ভোগা মানুষের প্রয়োজন একান্ত মনের মানুষ যে পাশে থাকলে কথা শুনলে মনটা বোঝে, মনের সাথে মন মিশিয়ে রাখলে অবশ্যই এই ডিপ্রেশন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং দূরে থাকে। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীর ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার পর যদি ইনসুলিন না দেওয়া যায় ঔষধে সহজে নিয়ন্ত্রণে আসতে চায় না। ঠিক তেমনি ডিপ্রেশন যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন একান্ত মনের মানুষ পাশে না থাকলে সেটা কন্ট্রোলে আনা বেশ কঠিন হয়ে যায়। মন সবসময় সে মনের মানুষকে পাশে পেতে চাই শান্তনা স্বরূপ। যদি মনের মানুষ সান্ত্বনা দিয়ে পাশে থাকে তাহলে অবশ্যই কন্ট্রোলে চলে আসে ডিপ্রেশন।
তাই আমরা বলতে পারি ডায়াবেটিস যেমন মানুষের শরীরের এক ভয়ঙ্কর রোগের নাম। ঠিক তেমনই একজন হতাশাগ্রস্ত মানুষের ডিপ্রেশনটা ভয়ানক যন্ত্রণার নাম। কারণ এই ডিপ্রেশন কোন রোগ নয়, এটা হতাশাগ্রস্ত মানুষের কঠিন যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি। আর এই কষ্টদায়ক অনুভূতিটা জাগ্রত একবারে হয় না। দিনের দিন বিভিন্ন বিষয়ে আঘাত পাওয়ার ফলে ডিপ্রেশন হয়। আমরা জানি জীবন বড় সংগ্রামীময়। আর এই সংগ্রামী জীবনে আমাদের অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। মানুষ ছোট থেকে বিভিন্ন স্বপ্ন নিয়ে, মনের স্বপ্ন লালন করে বড় হতে থাকে। তবে বিভিন্ন স্বপ্নের মধ্যে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজন সেগুলো যদি ভঙ্গ হয় বা আশা পূরণ না হয় অবশ্যই মনের মধ্যে হতাশা কাজ করবে। তবুও প্রবল বেগে মনের মধ্যে ডিপ্রেশন বয়ে যাক না কেন, সেটা কন্ট্রোল করা খুবই সিম্পল ব্যাপার। কারণ আমি অনেক পড়েছি দেখেছি এবং কঠিন ডিপ্রেশনের সম্মুখীন থাকা মানুষের সংস্পর্শে গিয়ে অনুভব করেছি। এখানে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন একমাত্র মনের মত মানুষ যদি মনের কথা শুনতে পারে বা বুঝতে পারে এবং সাথে চলে অবশ্যই খুব সহজে এই ডিপ্রেশন কন্ট্রোলে নিয়ে আসা এবং মন থেকে দূরে রাখা যায়। আর জীবন যখন নতুন ভাবে গড়তে পারা যায়, পূর্বের স্বপ্ন আশা বাস্তবায়ন না হলেও নতুন এর মাঝে সুখ পেলেই, সেগুলো মন থেকে দূরে সরে যায় পাশাপাশি ডিপ্রেশনে দূরে সরে যায়। তবে এই বিষয়টা বুঝতে হলে কন্ট্রোলে আনতে হলে সে ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষের একান্ত মেডিসিন তার প্রিয়জন। তাকে খুব সুন্দর ভাবে এই মানসিক পেশেন্টকে বুঝে চলতে হবে। তার মধ্যে যেন কোন হতাশা কষ্ট এগুলো না আসে। তার ভালোলাগা মন্দ লাগা বিষয়গুলো বুঝতে হবে।
আমি আরো গভীর অনুভব করে ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষের বৈশিষ্ট্য বুঝেছি নিজের থেকে এবং অন্য ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষের সংস্পর্শ থেকে এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে, ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষেরা মিথ্যা বলে না, মিথ্যা বলা পছন্দ করেনা। হিংসা করে না, কারো প্রতি হিংসা করা পছন্দ করে না। স্বল্পভাষী হয়, স্বল্প কথা বলা মানুষকে পছন্দ করে। নিজেকে একা রাখতে বেশি পছন্দ করে। এক কথা বারবার ব্যক্ত করতে পছন্দ করে না, অন্য কেউ বারবার একই কথা বললে সেটা সহ্য করতে পারে না। কেউ তার সাথে প্রতারণা করলে সহজে মাপ করে দেয় কিন্তু দিন দিন সে প্রতারকের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয় কঠিন আকারে।
আমার সাথে পথে চলা এমন এক ডিপ্রেশনে ভোগা ব্যক্তির সামান্য একটু ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমার সেই প্রিয় ব্যক্তি টা ডিপারেশনের জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। ডাক্তার তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চাইলেন যখন তার মনের মধ্যে প্রচন্ড হতাশা কাজ করে তখন তার কেমন অনুভব হয়। সে কি উন্মাদ হয়ে যায়? নাকি সেন্সলেস হয়ে যায়?নাকি সেন্স ঠিক থাকে? সে ডাক্তারের কাছে বলেছিলেন আমি সবকিছুই বুঝি সবকিছুই নিরবে সহ্য করি, কিন্তু যখনই আমার অতীতের সমস্ত ব্যর্থ অনুভব জাগ্রত হয় এবং উপস্থিত কোন কারনে কষ্ট লাগা মনের মধ্যে আঘাত করে তখনই অতীতের সেই সমস্ত ব্যর্থ অনুভূতিগুলো মনের মধ্যে আরও চেপে বসে। তখনই প্রবল কষ্ট অনুভব হয় মনের মধ্যে। তখন আমি সেন্সলেস হয় না শুধু মনের মধ্যে বলতে থাকে বেঁচে থেকে কি লাভ। উপস্থিত কষ্ট যেন অতীতের কষ্টের সাথে যুক্ত হয়ে শুধু আত্মহত্যা করতে মন চায়। (পর্ব চলবে)
বিষয় | ডিপ্রেশন |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
Photo editing app | picsart app |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সাধারণত যারা ডিপ্রেশনে ভোগে তারা আত্মহত্যাকে শেষ সমাধান হিসেবে বেছে নেয়। যাই হোক আপনার পরিচিত সেই ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
খুব শীঘ্রই আগামী পর্ব নিয়ে আসবো।