গলব্লাডার এ স্টোন হওয়ার লক্ষণ ও চিকিৎসা।

in #gallbladderstone6 years ago

gallstones400x265.jpg

গলব্লাডার এ স্টোন খুব ই পরিচিত রোগ। বেশিরভাগ সময়ে গলব্লাডার এ স্টোন কোলেস্টেরল জমে তৈরী হয়। খুব বেশি কোলেস্টেরল আছে এমন খাবার খেলে গলব্লাডার এ স্টোন হওয়ার আশঙ্কা আরো বেড়ে যায়। এটি কোনো বড় রোগ নয় তবে সময় মতো চিকিৎসা না করলে এটি জটিল আকার ধারণ করে।

লক্ষণসমূহ :
১. পেটের ডানদিকে তীব্র ব্যথা (কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হয় )

২. এই ব্যথা ধীরে ধীরে পেছনে, ডান কাঁধে এবং মাঝ বরাবর ছড়িয়ে পড়ে।

৩. হালকা জ্বর আসতে পারে।

৪. বমি, বমি ভাব হয়।

৫. জন্ডিস।

জটিলতা :

১. পিত্তথলির প্রদাহ।

২. পিত্তথলির ক্যান্সার।

৩. পিত্তরস নিঃসরণে প্রতিবন্ধকতা।

চিকিৎসা :

রোগীর রোগের ধরণ র উপর নির্ভর করে কি ধরণের চিকিৎসা করতে হবে। রোগীকে যদি তীব্র ব্যথা নিয়ে ভর্তি করানো হয়, তাহলে রোগীকে প্রথমে ওষুধ দিয়ে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। রোগীর অবস্থা ভালো হলে সার্জারি করে পাথর বার করে দেওয়া হয়। এই সার্জারি দু ভাবে করা যায়।

১. ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটমি (Laparoscopic cholecystectomy): ল্যাপারোস্কোপিক মেশিনের সাহায্যে পেট না কেটে ফুটো করে পাথর বার করে দেওয়া হয় ও রোগী সাধারণত অপরেশনের পরে দ্বিতীয় দিনেই বাড়ি যেতে পারে।

২. উন্মুক্ত কোলেসিস্টেকটমি(open cholecystectomy): রোগ যখন জটিল আকার ধারণ করে তখন এই অপারেশন করা হয়। পেট কেটে পিত্তথলিসহ পাথর বের করে আনা হয় তারপর সেটিকে হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষার জন্য ল্যাবোরেটরিতে পাঠানো হয় ।

বন্ধুরা এটি থেকে যদি আপনার জীবনের কোনো উপকার হয় থাকে তাহলে লাইক, কমেন্ট করে আমায় জানাবেন ও উপভোটে করে আমায় উৎসাহিত করবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 62390.04
ETH 2455.58
USDT 1.00
SBD 2.66