দুর্গাপূজা: বাঙালি সংস্কৃতির শোভা
দুর্গাপূজা: বাঙালি সংস্কৃতির শোভা
বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির একটি গর্বসংকট হল দুর্গাপূজা। বছরের এই সময়ে সমস্ত বাঙালির হৃদয় জ্বলছে পুজোর আলোয়। যেমন পাহাড়ের মধ্যে কালো মেঘে ছয়ে গেলে তেমনি দুর্গাপূজা বাঙালির জীবনে আনন্দের মেঘলা প্রতীক। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সমপ্রদায়ের এই পূজা অন্যতম সার্বিক পূজাবিধান। এই নির্বিশেষে প্রতিটি কার্যক্রম বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসাবে সংগ্রহে থাকে।
দুর্গাপূজা বাঙালি সংস্কৃতির সম্মানিত কার্যক্রম। পূজা শুরু হয় মহালায়া হত্যা দিবসে। তারপর সারা বাংলা ভাষী জাতি তুলে ধরে মা দুর্গার প্রতীক নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড শুরু করে। আগস্টের শেষে বাঙালি সংস্কৃতি রাখতে হয় একটি প্রধান পূজা বিধান। বাঙালি সংস্কৃতির বিশিষ্ট ভাবময় পূজা বিধানে নিবেদিত হয় সাতটি প্রধান দেবী ও দেবতার কাছে।
দুর্গাপূজা সময়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বস্তুনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক জীবন পুনর্জাগরণ পায়। গান, নাটক, নৃত্য এবং রচনার মাধ্যমে বাঙালির চলিতে আসে অপ্রাসঙ্গিক কঠিনাইয় কথাবার্তা এবং সমাজের পরিস্থিতি। আইনস্টাইনের প্রকৃত মৌলিকতা ও রসিকতার স্পন্দন পাওয়া যায় দুর্গাপূজা আবহাওয়ায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়সীমার পরিবর্তিত সমাজজীবন এখানে দর্শন করা যায়।
দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশে একটি আন্দাজ পঞ্চাশহারের পূজা বিধান অনুসরণ করা হয়। একজন দুর্গাপূজা আয়োজক প্রত্যেক সংগঠনের মাঝে পঞ্চপদী পূজা সাংস্কৃতিক প্রকাশ করে।