টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪।অস্ট্রেলিয়া বনাম স্কটল্যান্ড।

আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম।আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।

ভালো ক্রিকেট খেলেও বিদায় স্কটল্যান্ডের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৩৫ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া বনাম স্কটল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের সামনে সহজ সমীকরণ ছিল। জিতলেই চলে যেত সুপার এইটে। শেষ পর্যন্ত ভালো খেলেও হারতে হলো স্কটল্যান্ডের।

টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। জর্জ মুন্সি ও ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল স্কটল্যান্ডকে। এই দুইজন মিলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৯ রানের পার্টনারশিপ করেন‌। ইনিংসের নবম ওভারে দলীয় ৯২ রানে জর্জ মুন্সি আউট হয়ে প্যাভেলিয়ানে ফিরে যান।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে স্কটল্যান্ড ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের লড়াকু পুঁজি পায়। স্কটল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন। তিনি ৩৪ বলে ৬০ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। তিনি ৬ টা ওভার বাউন্ডারি ২ টা বাউন্ডারি ও ১৭৬.৪৭ স্ট্রাইক রেটে তার ইনিংস টি সাজান।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২ টি উইকেট নেয়। অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট ১৮১ রান।

১৮১ রামের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের ফিরে যান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপ্টেন মিচেল মার্শ ব্যক্তিগত ৮ রানে স্কটল্যান্ড এর পেসার সুফিয়ান শারিফের বলে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের ফিরে যান। এদিন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও তার সহজাত ব্যাটিং করতে পারিনি।তিনিও দ্রুত আউট হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়ানে। দলীয় ৬০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

ট্রাভিস হেড ও মার্কাস স্টোইনিস ইনিংস সর্বোচ্চ ৮০ রানের পার্টনারশিপ করে সেই চাপ সামাল দেন। ইনিংসের ১৬ ওভারে দলীয় ১৪০ রানে ট্রাভিস হেড ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে সুফিয়ান শরীফের বলে ক্যাচ আউট হয়ে প্যারিলিয়নে ফিরে যান। এদিন ব্যাটিংয়ে স্টোইনিস ছিল আগ্রাসী। তিনি ২০৩.৪৫ স্ট্রাইক রেটে ২৯ বলে ৫৯ রান করে আউট হয়ে যান।

শেষ দিকের টিম ডেভিড ও ম্যাথইউ ওয়েড মিলে ১৬ বলে ৩১ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ করে ২ বল আগেই ৫ উইকেট হাতে রেখে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুই অস্ট্রেলিয়ান।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন ট্রাভিস হেড। তিনি ৪ টা ছয়ে ও ৫ টা চারে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন‌। স্কটল্যান্ডের পক্ষে মার্ক ওয়াট ও সুফিয়ান শরিফ ২ টি করে উইকেট পান।

ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী।

প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ:মার্কাস স্টোইনিস। তিনি ২০৩.৪৫ স্ট্রাইক রেটে ২৯ বলে ৫৯ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেন।

প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।