টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪। বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা।
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আজকে আপনাদের সামনে আবারো আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন।
আমি একজন ক্রিকেট পাগল মানুষ। ক্রিকেট খেলা করতে এবং দেখতে দুইটাই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকের ব্লগটি হলো টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৪ এর ১৫ তম ম্যাচ। আর এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্র্যান্ড প্রাইরি সোডিয়াম, ডালাস, ইউনাইটেড স্টেট এ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার মধ্যে। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৬ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এইজন্য বাংলাদেশ টিমকে অভিনন্দন।
আজকের খেলাটি বাংলাদেশ সময় সকাল ৬:৩০ মিনিটে শুরু হয়েছে। তাই আমি অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠেছি খেলা দেখার জন্য। বাংলাদেশ টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম পাওয়ার প্লে তে ২ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা ৫৩ রান করে। পাওয়ার প্লে শেষে আরো চার ওভারে শ্রীলংকা ২১ রান যোগ করে এবং সাথে ১টি উইকেট হারায়। ১০ ওভার শেষে শ্রীলংকার দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৪ রান এবং সাথে ৩ টি উইকেট হারায়। এরপর বাংলাদেশ তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ অভারে ১২৪ রানে শ্রীলংকাকে আটকিয়ে দেয়। এই রান করতে শ্রীলংকার ৯ টি উইকেট পড়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ ওভারে ১২৫ রান। যেটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একেবারে সহজ লক্ষ্যভেদ। শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানে আটকে দেওয়ার বড় কৃতিত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপের। আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি বলাররা খুব ভালো বোলিং করেছে। মুস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসাইন, ৩ টি করে উইকেট পেয়েছেন। তাসকিন আহাম্মেদ ২ টি উইকেট পেয়েছেন। তানজিম সাকিব ১টি উইকেট পেয়েছেন।
আজকে খেলার প্রথম ইনিংস টি আমি আমার গ্রামের চায়ের দোকানে বসে উপভোগ করেছি। সাথে আরো লোকজন ছিল। সবাই একসাথে বসে খেলা দেখার মজাই আলাদা। আমার ব্যবসাহিক কাজের জন্য ইনিংস বিরতির পর আমি আমার প্রতিষ্ঠানে চলে আসি। সেই সাথে খেলার দ্বিতীয় ইনিংস টি আমি আমার প্রতিষ্ঠানে বসে দেখেছি।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বাংলাদেশ উইকেট হারিয়ে বসে। আজকে বাংলাদেশের দুই জন ওপেনারই ব্যর্থ হয়েছেন। সেই সাথে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত তিনিও হতাশ করে দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ৫ ওভার ২ বলে দলীয় ২৮ রানে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারায়। তখন ১৮ কোটি বাংলাদেশের মানুষের মনে একটি শঙ্কা এই অল্প রানে বাংলাদেশে আজকে ম্যাচটি জিততে পারবে না ? তখন বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে তাওহীদ হৃদয় এবং লিটন কুমার দাস দুইজনে মিলে ৬৩ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ তৈরি করে ম্যাচটি বাংলাদেশের হাতে নেয়।
২০ বলে ৪০ রান করে তাওহীদ হৃদয় আউট হয়ে গেলে আবারো বিরামহীন ভাবে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তখন আবারো শঙ্কা জাগে ম্যাচ হারার। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ত্রাতা হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য। এবং তিনি শেষ পর্যন্ত ঠান্ডা মাথায় খেলে বাংলাদেশকে ৬ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
ফলাফল বাংলাদেশ ২ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। এই জয়ের জন্য বাংলাদেশের সুপার এইটে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও দৃঢ় ও মজবুত হল। আমাদের বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে এত সুন্দর একটি জয় উপহার দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে অভিনন্দন। সেই সাথে পরাজিত দল শ্রীলঙ্কাকেও অভিনন্দন।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে ।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
অভিনন্দন প্রিয় টিম বাংলাদেশকে
আমি আমার দেশকে খুব ভালোবাসি। আমি ক্রিকেট খেলা কে খুব ভালোবাসি। আমি সারারাত ঘুমাই নাই বাংলাদেশের খেলা দেখার জন্য, শেষ পর্যন্ত এটা সার্থক হয়েছে।। বাংলাদেশ জয়লাভ করেছে, খুবই আনন্দিত হয়েছি।।
তোকে Steemit কাজ করতে দেখে খুবই ভালো লাগছে। এখানে পরিশ্রম করতে পারলে ভালো কিছু করা যাবে ইনশাল্লাহ। এখানে সময় দিতে হবে, কাজ করতে হবে।।
Best of luck for the future, go ahead & made honourable life.
তুই যেনো সফল হতে পারিস, তার জন্য তোর প্রতি রইল শুভকামনা।।
ভালোবাসা ❤️