Journey of Sunderban
প্রকৃতির লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশের প্রতিটি অঞ্চলে নানা ধরনের সুন্দরের সমারোহে ভরপুর। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের বিশাল এলাকা জুড়ে সুন্দর বন অপরুপ শোভা ধারণ করে রয়েছে। এই বনে রয়েছে নানা ধরনের নানা জাতের নাম না জানা অসংখ্য গাছ। দিনের আলোতে এই বনে ঢুকলে কারো সাদ্ধ নাই পথ চিনে বের হয়ে আসে। সে অবশ্য বন্য প্রাণীর খাবারে পরিণত হবে। এই বনে রয়েছে হরিণ, বানর, কুমিড়, বাঘ, ভাল্লুকে, নেকড়ে সর্বপরি রয়েছে রয়েল বেঙল টাইগার। এরা সবাই মিলে প্রকৃতির এক অপরুপ লীলাভূমিতে পরিণত করেছে। মজার ব্যাপার এই যে, এই বনে যে প্রাণী বাস করে তাদের মধ্যে কিছু কিছু প্রাণী একে অপরের সহযোগী। বনের ভিতর দিয়ে কাঠের তৈরী পুল আছে। কর্তৃপক্ষ ভ্রমনকারীদের জন্য এ ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তা হলে একবার যদি বনের ভিতরে কেউ ঢুকে পড়ে তা হলে তার বের হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বনের ভিতরে ছোট ছোট নদী আছে। এই নদীগুলিতে জোয়ার ভাটা হয়। এটাও প্রকৃতির এক অপুরুপ সৌন্দর্য্। প্রতি 24 ঘন্টায় দুই বার জোয়ার ও দুইবার ভাটা হয়। জোয়ারের সময় নদীতে পানি ভর্তি হয়ে গিয়ে বন প্লাবিত হয়, আবার ভাটারটানে সে পানি কোথায় যেন চলে যায়। জোয়ারের পানির সাথে নানা ধরের সামুদ্রিক মাছও এই বনে দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের জন্য কিছু হরিণ, বানর, কুমিড় সংগ্রহ করে রেখেছে যা বনের শোভা আরও বৃদ্ধি করেছে এই নয়নাভিরাম দৃশ্যে মনে আনন্দের দোলা দেয়। বনের গাছগুলির মধ্যে প্রধান কয়েকটি গাছ হল সুন্দরী, গেওয়া, গামর, গরান, হেলাল ও কেওড়া। এই বনে প্রচুর সুন্দরী গাছ আছে। তাই এই সুন্দরী গাছের নামানুসারে এই বনের নাম দেওয়া হয়েছে সুন্দর বন। এছাড়ও এই বনে এক ধরনের গাছ পাওয়া যায় তার নাম গোল পাতা। নামে গোল পাতা হলেও তার পাতা কিন্তু গোল নয়। এই গোল পাতা দিয়ে ঐ অঞ্চলের মানুষ ঘরের ছাওনির কাজে ব্যবহার করে। গভীর জঙ্গলে থাকে জলদস্যুরা। তাদের বিনাস করা আজও সম্ভব হয়নি। কারণ তাদের বিনাস করতে গেলে নয়নাভিরাম এই বনের প্রচুর ক্ষতি হবে তাই।
যাই হোক এত শোভা এত রুপে মহিমান্বিত এই বনের সুরক্ষা একান্ত প্রয়োজন। যাতে করে এখানকার গাছ, পশু পাখি ও মৎস সম্পদের উন্নতি সাধন করে দেশকে আরও মহিমান্বিত করা যায়।