সোনালী দেশ.......
বাংলাদেশ উৎপাদনশীল দেশ। বাংলাদেশে অনেক কিছুই উৎপাদন হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো পাট,এবং ধান। আজকে আমরা ধান নিয়ে কথা বলবো।
ধান বাংলাদেশে অনেক আগে থেকে উৎপাদন করা হয়। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে। ধান উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানী করতো একসময়। কিন্তু এখন উৎপাদনের বড় অভাব। এখন বাংলাদেশে খাদ্যের জন্য অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু এমন একটা সময় গিয়েছে যে সময়টাতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হতো। কিন্তু কেন এই অবনতি? কী তার কারণ?
আমরা যদি তার কারণ খুঁজি তাহলে দেখতে পাব কৃষি খাতে আমাদের যতটুকু আয় হয় তার থেকে ব্যায় অনেকটাই কম হয়। যার কারনে আমাদের এই সমস্যার সম্মুখীন। যেমন ধরুন আগে প্রচুর বৃষ্টি হতো কিন্তু এখন বৃষ্টি কমে গেছে। এখন মেশিন দিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি বের করে এনে সেটা দিয়ে চাষ করতে হয়। এতে করে একজন কৃষকের খরচ অনেক বেশি হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক ও গরিব তারা এক বেলা খেলে আরেক বেলা খেতে পারে না। তারা এত টাকা খরচ করে কিভাবে একটা মেশিন কিনবে। এবং কিভাবে মাটির নিচ থেকে পানি বের করে সেটা দিয়ে চাষ করবে? এটাই হলো প্রধান কারণ।
দ্বিতীয়তঃ এখন যে সব অত্যাধুনিক চাষ পদ্ধতি বের হয়েছে এসব পদ্ধতিতে চাষ করতে বর্তমানে কৃষকরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। আর তারপরে জায়গা জমির উপরে ট্যাক্স যে হারে বেড়েছে তাতে ও কৃষকেরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। এজন্য আগের চেয়ে ও ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে। আর তারপরে যেটা দেখা যায় সেটা হল সব থেকে অবহেলিত হল কৃষকেরা। তারা চাষাবাদ না করলে হয়তোবা আমাদের দুবেলা-দুমুঠো খাওয়াই দুষ্কর হয়ে যেত। তারা সারাদিন কষ্ট-ক্লেশ করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করছে। সেই ফসল স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে তারা দুবেলা-দুমুঠো খাবার যোগায়। আর বড় বড় বাবুরা সেই ফসলগুলো স্বল্প মূল্যে কিনে চড়া দামে বিক্রি করে নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স ভারি করে। অথচ তারা ভাবে না যাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই ফসলগুলো হয়েছে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। তাদেরকে অন্তত ফসল উৎপাদনে সাহায্য করে। যেসব অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। যেসব সার আবিষ্কৃত হয়েছে সে সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করি। তাদেরকে আমরা কিছুটা হলেও উৎপাদনে সাহায্য করি তাহলে আমরাও বেশি লাভবান হব তারাও কিছুটা লাভবান হবে। এই চিন্তাটা আমাদের সমাজের বড় বড় বাবুদের নাই তাইতো বাংলাদেশ অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে। আর এভাবে চলতে থাকলে একসময় দেখা যাবে বাংলাদেশ পরিপূর্ণভাবে খাদ্যে ঘাটতি পড়বে। এবং অন্য দেশের শরণাপন্ন হতে হবে। তাই বলবো আসুন আমরা একতাবদ্ধ হই এবং সরকারিভাবে কৃষকদের যাতে সাহায্য সহযোগিতা করা হয় সেই ব্যাপারটা নিশ্চিত করি। ধন্যবাদ সকলকে।
সোনালি ফসলের দেশ হোল বাংলাদেশ।