আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

বড় ভাইয়া ও ভাবি বাসায় এসেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে ভাবছি যে ঘুরতে যাব। কিন্তু কোনভাবে যেন সময় হয়ে উঠছিল না। হঠাৎ করেই আমার দিনক্ষণ ঠিক হলো,ঢাকায় চলে আসতে হবে। তখনই ছোট বোন আবদার করে বসলো, ঢাকায় যাওয়ার আগে আমাদের ঘুরাই নিয়ে আয়। তাই সবাই মিলে ঠিক করলাম বাইকে করে আমরা ঘুরতে যাব। আশপাশে প্রায় সব জায়গায় ঘুরা শেষ, খালিশপুর বিজিবি ক্যাম্পে কখনো যাওয়া হয় নাই। তাই সবাই মিলে সেখানে যাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম।

দিনটি ছিল শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে এসে আমি ঘুমিয়ে পড়ি,, ঘড়ির কাঁটায় যখন চারটা বেজে উঠলো, তখনই বড় ভাই আমাকে ডাক দিয়ে ঘুম থেকে তুলে বলল ঘুরতে যেতে হবে। উঠে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলাম। আমি ও আমার ছোট বোন এক বাইকে। অপর বাইকে বড় ভাইয়া ও ভাবি। আস্তে আস্তে চলতে রাখলাম আমাদের ঘুরতে যাওয়ার দিকে। ঠিক পাঁচটার দিকে আমরা বিজিবি ক্যাম্পের সামনে চলে আসি। নেমে ভিতরে ঢুকলাম।

জায়গাটা ছোট হলেও অপরূপ সৌন্দর্য ছিল, চারপাশে বাহারি রংয়ের সব ফুল গাছ ছিল। আর ফুলের পরিবেশে আসলে যে কারোরই মন ভালো হয়ে যায়। অনেকক্ষণ আমরা ঘোরাঘুরি করলাম। অনেক অনেক ছবি তুললাম। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভালো লাগে সেজন্য বেশ কয়েকটা ফুলের ছবি তোলো।

যখন গাছের নিচে হাঁটছিলাম তখনই গাছ থেকে একটি কাট গোলাপ ফুল এসে মাটিতে পড়লো।উল্টে হাতে নিয়ে ট্রেন্ডিংয়ের একটা ছবি তোলার চেষ্টা করি। ছবিটা বেশ ভালো হয়েছিল।

ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা বিজিবি ক্যাম্পের সাথে থাকা একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকি।

For work I use:

---

মোবাইল	realme C25s
ফটোগ্রাফার	@tanvirahammad
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	মাঠে

রেস্টুরেন্টের খাবারে মানগুলো খুবই ভালো ছিল। আমরা সবাই চিকেন ফ্রাই এর অর্ডার দেই। বড় ভাইয়া শুধুমাত্র হালিমের অর্ডার দেন। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হাতে একটা ড্রিংক নেই। ড্রিংক খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।

এরপর আবার আস্তে আস্তে করে বাসা থেকে চলে আসি। এভাবে ঘুরতে খুবই ভালোই লাগে। বিশেষ করে পরিবারের সাথে ঘোরার মজাই আলাদা। আবারো সুযোগ পেলে সবাই মিলে এভাবে আনন্দ ভ্রমন করবে।

ধন্যবাদ