আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

০৯/০৯/২০২৪ ইংরেজি তারিখে অনুষ্ঠিত হলো সরকারি তিতুমীর কলেজে কাওয়ালী সন্ধ্যা।।

সরকারি তিতুমীর করেছে আমার রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাবজেক্ট এসেছে। সুতরাং এখানে আমাকে ভর্তি হতে হবে। আগে কখনো যাওয়া হয়নি এই কলেজে। তাই মনে মনে ভাবছিলাম ভর্তি হওয়ার আগে একদিন ঘুরে আসব ক্যাম্পাস থেকে। হঠাৎ করেই দেখি সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে কাওয়ালী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিতুমীর কলেজে। তাই অনিহা না করেই ভাবলাম যে একবারে অনুষ্ঠানটাও উপভোগ করে আসি সাথে ক্যাম্পাসটা ঘুরে আসি।

আমার সাথে ছিল আমার পরিচিত হওয়া এক বন্ধু জিহাদ।তিতুমীর ক্যাম্পাসে ঢুকে দাঁড়িয়ে থাকি তার জন্য। একটু দূরে থাকে। কল দে আমাকে বলল আসতে একটু সময় লাগবে তুমি একটু অপেক্ষা করো, তার কথামতো আমি মাঠে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম। এক পাশে ফুটবল খেলা খেলছিল কয়েকজন ছেলে পেলে।

দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদের খেলা দেখছিলাম। আর জিহাদ কে বললাম যে আমি গোলপারের কাছে আছি। একটু পরে দেখেছেন লাল একটা গেঞ্জি পড়ে চলে এসেছে।এরপর দুজনে মিলে প্রথমে গেলাম আমাদের ডিপার্টমেন্টের সামনে। বড় আপুরা অনেক সুন্দর করে একটি আর্ট করে রেখেছিল।

এরপর ডিপার্টমেন্টের দরজার সামনে যেয়ে দাঁড়ায়।সেখানে কয়েকটা বড় ভাই দাঁড়িয়েছিল। ভাইকে বললাম আমাদের দুই বন্ধুকে একটি ছবি তুলে দেওয়ার জন্য। বড় ভাইটি খুবি আন্তরিকতার সাথে আমাদের দুজনের ছবি তুলে দেয়।

এরপরে কাওয়ালী অনুষ্ঠানে মাঠে চলে যায়। মাঠ ভর্তি লোক ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।

অনুষ্ঠান যেহুতু মাগরিবের পরে,তাই শুরু হয় নাই। মাঠে কিছুক্ষণ অবস্থান করতে করতেই মাগরিব আযান দিয়ে যায়। এরপর নামাজ পড়ে আমরা যাই বাহিরে কিছু নাস্তা করতে।নাস্তা করে এসে দেখি মাঠের জনগণে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।

For work I use:

---

মোবাইল	realme C25s
ফটোগ্রাফার	@tanvirahammad
লোকেশন	মহাখালী, ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	সরকারি তিতুমীর কলেজে

খুবই সুন্দর মনোমুগ্ধ একটি অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এখানে এসে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছিল। এ ধরনের কাওয়ালী অনুষ্ঠানগুলো আমাদের মুসলমানদের ঐতিহ্য বহন করে। এখানে বিভিন্ন ধরনের হাম,নাথ,কবিতা আবৃত্তি করা হয়। এতে করে সকলেই খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারে আমাদের আভিজাত্য গুলো। আর এর মাধ্যমে আমরা পশ্চাত্য থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হব একদিন। তবে এখানে একটা জিনিসই খারাপ লেগেছে, সেটি হচ্ছে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার।আশা করি আস্তে আস্তে এই জিনিসগুলো সংশোধন করে আনা সম্ভব হবে।

সর্বপরি খুবই সুন্দর একটি সন্ধ্যা কাটলো।রাত বেশি হয়ে যাবে বলে আমি বাসায় চলে আসি বাসে উঠে। জীবনে কখনো কাওয়ালী অনুষ্ঠানে যাওয়া হয় নাই।এটাই ছিল প্রথম কাজের অনুষ্ঠান আমার জীবনের।

ধন্যবাদ