আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

গ্রামগঞ্জের অতি জনপ্রিয় পাখি মাছরাঙা।একটা সময় ছিল খাল বিল পুকুর পাড়ে দেখা যেত ভরি ভরি মাছরাঙা পাখি।এদের প্রধান শিকার হচ্ছে মাছ। কচুরিপানা, বাঁশের কুঞ্চি, ও ঝোপঝাড়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো পানির দিকে,। মাছ দেখামাত্রই চোখের পলকে তা স্বীকার করে ফেলতো। স্বচ্ছ জলের ভিতরে তার সোচালো ঠোট দ্বারা মাছ ধরে খেতো। এমনসব দৃষ্টি খাল বিলের দিকে তাকালেই দেখা যেত। বেশ কয়েক বছর ধরে মাছরাঙ্গা পাখি খাল মিলে তেমন আর দেখা যায় না। নানা কারণ-অকারণে আশংকা জনক হারে কমে গিয়েছে দৃষ্টিনন্দন এই পাখির সংখ্যা।

মাছরাঙাকে ইংরেজিতে কিংফিশার বলা হয়। এর শারীরিক আকৃতি খাটো, লম্বা ও সূচালো ঠোঁট। এটা সাধারণত জলাশয় ও পুকুর পাড়ে মাটিতে গর্ত করে বাসা করে থাকে।

এসব মাছরাঙ্গা পাখি গুলো কয়েক প্রজাতির হয়ে থাকে। এবং তাদের শারীরিক রং ও ভিন্ন হয়ে থাকে। এরমধ্যে নীল মাছরাঙ্গা সাদা মাছরাঙ্গা ও বুনো মাছরাঙ্গা আমরা সচরাচর দেখে থাকি। এদের প্রধান খাদ্য মাছ হলেও মাছ ছাড়া এটা বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় খেয়ে থাকে। মাছরাঙ্গার প্রজনন মৌসুম হচ্ছে শরৎকাল। এ সময়ে মা পাখি গুলো ডিম দিয়ে থাকে। এবং এক একটি পাখি সাত থেকে আটটি পর্যন্ত ডিম দেয়।

For work I use:

---

মোবাইল	realme C25s
ফটোগ্রাফার	@tanvirahammad
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	মাঠে

সময়ের সাথে সাথে আমাদের পরিবেশ থেকে এমন সুন্দর পাখি হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই আমাদের আশেপাশে সকল পশুপাখি রক্ষায় সচেতনতার বিকল্প নেই। প্রকৃতির সৌন্দর্য রক্ষা করতে হলেও প্রকৃতির সৌন্দর্য রক্ষা করতে হলেও ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে এ সকল পশু পাখি রক্ষা করার জন্য। তা না হলে খুব দ্রুত হারিয়ে যেতে পারে সৌন্দর্য বহন করে অনেক রকমের পশুপাখি।

ধন্যবাদ