প্রত্যেক বছরের মত মহল্লার মানুষের জন্য ইফতারির ব্যবস্থা করা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। রমজান মাসে আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকি তার মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হচ্ছে ইফতারি দেওয়া। আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি আমাদের বয়সী ছেলেদের নিয়ে একটা ইফতারের ব্যবস্থা করতে। আমরা এই রমজান মাসটাকে খুবই সুন্দরভাবে অতিবাহিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাই। আমরা ছেলেরা মিলে আমাদের মসজিদে প্রত্যেক বছর একটা ইফতারের ব্যবস্থা করি আর বছরের শেষে অর্থাৎ রমজান মাসের শেষে আমাদের গ্রামের খেলার মাঠে একটা ইফতারের ব্যবস্থা করে থাকে। মসজিদে আমরা যে ইফতারের ব্যবস্থা করে থাকি সেখানে শুধুমাত্র আমাদের মহল্লার মানুষেরা অংশগ্রহণ করে কিন্তু খেলার মাঠে যে ইফতারির ব্যবস্থা করে সেখানে গ্রামের সকল মানুষেরাই অংশগ্রহণ করে। গ্রামের খেলার মাঝে সেই ইফতারি আমরা প্রত্যেক বছরেই ২৯ রমজানের ব্যবস্থা করে থাকি। প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও আমরা একই দিনে ব্যবস্থা করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আর এর মধ্যে বাকি রইল মসজিদে ইফতারি দেওয়ার সেই ইফতারি তাই আমরা গতকালকে ব্যবস্থা করেছিলাম। যেহেতু আমাদের অনেকেই বিভিন্ন জায়গাতে চাকরি করে তাই আমরা ইফতারি দেওয়ার জন্য সুপ্রভাতটাকে নির্ধারণ করে নিয়েছিলাম যেন সকলেই এই ইফতারিতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
প্রথমে আমরা চিন্তা করেছিলাম বিভিন্ন ধরনের ফলের সমন্বয়ে ইফতারের ব্যবস্থা করব কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমাদের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ঘটে। পরবর্তী সময়ে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যে আমরা ভারী খাবার অর্থাৎ ভাত দিয়ে ইফতারির ব্যবস্থা করব। ভাত দিয়ে ইফতারির ব্যবস্থা করলে তুলনামূলক ভাবে কিছুটা খরচের পরিমাণ বেশি হয় কারণ এখানে ভাতের পাশাপাশি ইফতারের কিছু আইটেম দেবার প্রয়োজন হয়। যেহেতু আমাদের টাকা তুলনামূলকভাবে উঠে পড়েছিল তাই আমরা ইফতারির পাশাপাশি ভাতের ব্যবস্থা করেছিলাম যেন প্রত্যেকটা মানুষ আমাদের সেই খাবার খেয়ে তৃপ্তি পেতে পারে।
এই ইফতারের ব্যবস্থা করার জন্য আমাদের সকলকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে তারপরও আমরা অত্যন্ত খুশি যে সফলভাবে আমাদের এই ইফতারের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। আর আমরা একটা বিষয় নিয়ে খুবই টেনশনে ছিলাম সেটাও হয়নি এর জন্য আরও বেশি ভালো লেগেছিল। আমরা চিন্তা করেছিলাম ১৭০ প্যাকেট করব যেখানে অন্যান্য দিন মসজিদে মাত্র ১২০ জনের ব্যবস্থা করা হয়। যেহেতু মাংসের সাথে ভাতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাই তুলনামূলকভাবে মানুষের সংখ্যা বেশি হবে এটা আমরা আগে থেকেই ভেবে নিয়েছিলাম। ইফতারি শেষ হয়ে যাবার পরে আমরা লক্ষ্য করে দেখলাম যে এখানে আমাদের ১৫০ টি ইফতারির প্রয়োজন হয়েছে সকলকে ইফতারি করানোর জন্য। যাই হোক আমাদের ইফতারি সফলভাবে আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি এর জন্য আমরা অত্যন্ত খুশি।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/mostafezurr001/status/1903286809402188236?t=wnLpyIGCTGiMvZjjYE9zEQ&s=19
এই গ্রামটাতে অনেক সুন্দর ভাবে ইফতারের আয়োজন করে থাকে। সুযোগ পেলে প্রত্যেকদিন বাবুর আব্বা মসজিদে গিয়ে ইফতারি করে থাকে। কিছুদিন আগে শুনেছি স্কুল মাঠে ইফতারি হয়েছে। এরপর শুনলাম ঈদগা ময়দানে হয়েছে। যেদিন বাইরে ইফতারি করে সেদিন আমার আর বেশি কষ্ট করে গুছানো লাগে না।