আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-০৬
প্রিয়, পাঠকগণ,
যাও যাও, জলদি কর!' ছেলের প্রবল আপত্তি সামলে সস্নেহে বেদনার্ত স্বরে মা বলল, 'হাঁরে বোকা ছেলে।'
'তামাক খাব আমি। বাবার পাইপটা বের করে দে শিল্পির...' পাভেল বলল জড়িয়ে জড়িয়ে। ভারি জিভটা যেন নড়তেই চায় না।
'আমি মাতাল? সত্যি মাতাল?' প্রশ্নটা যেন হাতুড়ি পিটিয়ে চলে মাথার মধ্যে।
মা ওর ভেজা আলুথালু চুলে হাত বুলোতে বুলোতে আস্তে আস্তে বলল: 'ছিঃ এ কী করেছিস্, বাবা!'
ওর গা ঘোলায়। খুব খানিকটা বমিও হল। মা তাকে বিছানায় শুইয়ে দেয়, ফ্যাকাশে কপালটার ওপর ভিজে গামছা চাপায়। নেশা একটু কেটেছে কিন্তু তখনও চারদিকের সব যেন ঘুরছে। চোখের পাতা এমনি ভারী যে চোখ তুলে তাকাতে পারে না। মুখে বিশ্রী স্বাদ। চোখের পাতা একটুখানি ফাঁক করে মায়ের চওড়া মুখখানির দিকে তাকিয়ে ভাবে:
'বোধ হয় আমি ছোট বলেই এত নেশা হয়েছে। অন্যেরাও তো খায়, কই তাদের তো কিছু হয় না। আর আমার বমি আসে...'
মায়ের কোমল স্বর কানে আসে। মনে হয় যেন অনেক দূর থেকে ভেসে আসছে:
'হাঁরে, এমনি করে মদ খাস্ যদি, আমায় খাওয়াবি কী করে বল্ তো?'
চোখ সেঁটে বন্ধ করে জবাব দেয় পাভেল:
'সব্বাই তো মদ খায়...'
মায়ের দীর্ঘশ্বাস পড়ে। ঠিকই তো বলেছে। ও নিজেও তো জানে, এক ওই শুঁড়িখানায়ই যা হোক ছিটেফোঁটা সুখের সোয়াদ পায় মানুষগুলো।
তবু বলে, 'তাই বলে তুই মদ ধরিসনি, বাবা। তোর বাপ তো অনেক খেয়ে গিয়েছে। তার হাতে আমার দশাটা দেখেছিস তো...তুইও আমার মুখের দিকে চাইবি না?'
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@dreamlife10 |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
চলবে..........