আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-০৪
প্রিয়, পাঠকগণ,
ঘেন্নায় তার পেঁচার মতো চোখে আগুন ছোটে।
'এই কুত্তীর বাচ্চা!' মাথা মাথা খাড়া করে এগিয়ে যায়, চিৎকার করে বলে, 'আয় না দেখি, কোন্ শালার মরার সাধ হয়েছে...' ও সাধ কারো নেই।
ভাসভ কথা বড় একটা কয় না। পুলিশ হোক, বড় বড় অফিসার, ওপরওলা যেই হোক, সব্বাইকে বলে কুত্তীর বাচ্চা। ওটা ওর মুখের বুলি। বৌকে কুত্তী
ছাড়া ডাকে না। 'এই কুত্তী! আমার প্যান্টটা ছিঁড়ে একশা হল যে...'
ছেলে পাভেলের তখন চোদ্দ বছর বয়েস। বাপ কেন জানি একদিন তেড়ে এসে ঝুঁটি ধরতে গেল তার। ছেলে একটা ভারি হাতুড়ি তুলে বলল:
'গায়ে হাত দিয়েছ তো...'
বার্চ গাছের ওপর মেঘের ছায়া যেমন উদ্যত হয় তেমনিভাবে ছেলের দীর্ঘ পাৎলা দেহটার সামনে খাড়া হয়ে ভাসভ বলল, 'অ্যাঁ এদ্দুর!'
হাতুড়ি ওঠায় পাভেল, 'বাস্, ঢের গুঁতোনি খেয়েছি, আর না!'
ছোট্ট একটু হাসি ছিটকে বেরয় তার মুখে।
'আচ্ছা, আচ্ছা...'
তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল:
'সাধে কি আর কুত্তীর বাচ্চা বলি...'
কিছুক্ষণ পরে বৌকে গিয়ে বলল:
'আমার কাছে আর টাকা-পয়সা চাইবি না। তোর ছেলের অন্ন খাবি এখন থেকে...'
সাহস করে জবাব দেয় বৌ, 'আর তুমি টাকাগুলো মদের গেলাসে ফুঁকবে, তাই না?'
'তোর তাতে কী রে, কুত্তী! আমি মেয়েমানুষ রাখব...'
মেয়েমানুষ রাখেনি ও। কিন্তু এরপর যে দুটো বছর বেঁচে ছিল ছেলের সঙ্গে একটি কথাও কয়নি আর তাকে যেন দেখতেও পায়নি।
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@dreamlife10 |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
চলবে..........