আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-১২
প্রিয়, পাঠকগণ,
কিন্তু সাহস হয় না। নিশ্বাস বন্ধ করে পাথরের মতো বসে শোনে- বুঝতে পারে না কেমন ধারা মানুষ ওরা, এই যারা ওর ছেলেকে এমন সর্বনেশে কথা বলতে আর ভাবতে শিখিয়েছে। অবশেষে বলে:
'হ্যাঁরে, ভোর যে হয়ে এল। শুতে যা এবার। একটু ঘুমিয়ে নে।'
'যাচ্ছি, মা, যাচ্ছি।' বলে পাভেল। মায়ের ওপর ঝুঁকে পড়ে শুধোয়: 'যা
বললাম বুঝতে পেরেছ মা?' দীর্ঘনিশ্বাস পড়ে। 'বুঝেছি রে।' আবার চোখে জল আসে। হঠাৎ ফুঁপিয়ে ওঠে: 'ওরে সর্বনাশ হবে তোর!'
পাভেল উঠে পায়চারি করে, তারপর বলে:
'এখন বুঝলে তো আমি কোথায় যাই, কী করি। সবই খুলে বলেছি। এখন তোমার কাছে আমার এইটুকু কথা, যদি আমায় ভালোবাসো, আমায় বাধা দিও না, মা-মণি।'
'খোকা! খোকা! হয়তো এসব কথা না-জানলেই আমার ভালো হত!'
কাতরস্বরে মা বলে।
ওর উত্তেজিত দৃঢ় কণ্ঠের মা-মণি ডাকে অভিভূত হয়ে যায় মা। আর এমন করে হাত ধরাটাও একেবারে নতুন, অদ্ভুত! 'না, আমি কিছু করব না দেখিস, তার গলা ভেঙে যায়, 'কিন্তু তুই সাবধানে
থাকিস্!'
সাবধান হতে বলল বটে, কিন্তু কী যে বিপদ মা নিজেই জানে না। তবু কাতর-কণ্ঠে আবার বলে: 'বড্ড যে রোগা হয়ে যাচ্ছিস...' স্নেহ-ঝরা দৃষ্টি দিয়ে পাভেলের শক্ত সুঠাম দেহখানাকে যেন একেবারে বুকের
ভেতর টেনে নিয়ে পরক্ষণেই নিচুগলায় বলল, 'তাই যা, তোর পথে তুই যা। আমি কখনো বাধা দেব না। কিন্তু একটা কথা বলি, লোকের সঙ্গে অত নির্ভয়ে কথাবার্তা বলিসনে। মানুষের বিষয়ে হুঁশিয়ার হওয়া দরকার। ওরা একে অন্যকে দেখতে পারে না। নিজেদের মধ্যেই ওদের কী ভীষণ হিংসে, ঘেন্না, লোভ। একজনের অপকার করেই অন্যের আনন্দ। একবার যদি ওরা বোঝে তুই ওদের স্বরূপ ফাঁস করে দিয়ে ওদের বিচার করতে শুরু করেছিস ওরা তোকে ঘেন্না তো করবেই, ছিঁড়ে খাবে।'
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@dreamlife10 |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
'আমি নিজেই জানিনে, কেমন করে কী হল। ছোটবেলায় কী ভয়ই করতাম সবকিছুকে। তারপর বড় হলাম যখন, তখন লোকগুলোকে ঘেন্না করতে লাগলুম ওদের নিচতার জন্য
চলবে..........