২৮৬ টি গাড়ির মালিক - চিনে নিন এই মানুষটিকে (প্রথম পর্ব)
চমকে যাবেন না কারণ এটাই সত্যি। আমেরিকার বাসিন্দা জে লিনো (Jay Leno) ১৬৯ টি গাড়ি এবং ১১৭ টি মোটর সাইকেলের মালিক। এই ভদ্রলোক আমেরিকার প্রখ্যাত টিভি উপস্থাপক এবং অভিনেতা। তবে শুধুই গাড়ি কিনে পয়সা নষ্ট করেন বললে ভুল বলা হবে, দান ধ্যানেও এনার বেশ মতি আছে। যুদ্ধের পর আফগানিস্তানের সাহায্যে যিনি বেশ মোটা অংকের টাকা দান করেছিলেন। তবে এনার টিভি শো এর থেকেও এনাকে বেশি পরিচিতি দিয়েছে এনার গাড়ির সম্ভার। আসুন দেখে নি এনার কিছু বিরল সংগ্রহ।
এরিয়েল অ্যাটম:
ইংল্যান্ডের TMI Autotech এর তৈরি করা এই গাড়িটি একসময় পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ দ্রুতগতি সম্পন্ন গাড়ি ছিল। একসময় এই গাড়িটি কোটি টাকারও বেশি দামে বিক্রি হতো তবে এই মুহূর্তে একটি নতুন মডেলের দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। এই গাড়িটির ওয়েবসাইট থেকে আরো তথ্য জেনে নিন।
http://arielatom.com/
২০১৪ ম্যাকলারেন পি ১:
এটি পৃথিবীর প্রথম সুপার কার যাতে গ্যাসোলিন এবং বিদ্যুৎ, এই দুই রকমেরই জ্বালানীর সুবিধা আছে। গ্যাসোলিন এ চালালে এই গাড়িটির ইঞ্জিন ৭২৭ অশ্বশক্তি দিতে পারে আর বিদ্যুৎ এ চালালে ১৭৬ অশ্বশক্তি দিতে পারে গাড়িটির ইঞ্জিন। গাড়িটির মূল্য ১.১৫ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার।
২০০১ ক্রিস্টাল ট্যাঙ্ক কার:
খ্যাতনামা আর্টিস্ট মিস্টার গ্রাব ২০০১ সালে এই গাড়িটি তৈরি করেন একটি এম ৪৭ প্যাটন ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন দিয়ে। শুধু এই ইঞ্জিন এরই ওজন ৯৫০০ পাউন্ড এবং এটি ৮১০ অশ্বশক্তি তৈরি করতে পারে। গাড়িটি পুরো অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি। ২০০১ সালে এই গাড়িটি জে লিনো কিনে নেন ১ লক্ষ ২৫ হাজার ডলারে।
ম্যাকলারেন এফ ১:
এই বিশেষ মডেলের গাড়িটি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে মাত্র ১০৬ টি তৈরি করা হয়েছিল। এই গাড়িটিতে ড্রাইভারের বসার জায়গা মাঝখানে যা আর অন্য কোনো গাড়িতে নেই। সাধারণত ড্রাইভারের বসার জায়গা কোনো এক পাশে হয়, কিন্তু এখানে এটাই চমক। এছাড়াও সাধারণত এই ধরণের গাড়িগুলিতে দুজনের বসার জায়গা থাকে কিন্তু ম্যাকলারেন এফ ১ মডেলে তিনজনের বসার জায়গা আছে। এই গাড়িটি ডিজাইন করেন প্রখ্যাত ফর্মুলা ওয়ান চালক গর্ডন মুরে। মিস্টার বিন খ্যাত রোয়ান অ্যাটকিনসন ও এই মডেলের একটি গাড়ির মালিক।
দা এলএলসি রকেট:
প্রখ্যাত ফর্মুলা ওয়ান চালক গর্ডন মুরের কোম্পানি মাত্র ৫৫ টি এই মডেলের গাড়ি তৈরি করেছিল ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে। এই গাড়িটির ইঞ্জিন আসলে একটি ইয়ামাহা মোটরসাইকেল এর জন্য তৈরি করা হয়েছিল। যদিও এই গাড়িটির দাম সম্পর্কিত তথ্য আমি পাইনি।
১৯৮৬ ল্যাম্বরগিনি কন্টাক:
আশির দশকে সুপারকার বলতে এই গাড়িটিকেই বোঝানো হতো। এই গাড়িটি জে লিনো মাঝেমধ্যেই নিজের ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করে থাকেন এখনো। এই গাড়িটি ডিজাইন করেছিলেন বিখ্যাত গাড়ি ডিজাইনার মার্সেলো গ্যান্ডিনি। যদিও এই গাড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে, তবে অকশন এর মাধ্যমে এই মডেলের গাড়িগুলি সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে।
১৯৬৩ ক্রাইসলার টারবাইন:
সারা পৃথিবীতে মাত্র ৫৫ টি মডেল তৈরি করা হয়েছিল এই বিশেষ গাড়িটির তবে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর অধিকাংশ গাড়িকেই নষ্ট করে ফেলা হয়। এই মুহূর্তে মাত্র ৯ টি গাড়ি আছে এই মডেলের যা সাধারণত মিউজিয়াম এবং গাড়ি সংগ্রাহকদের কাছেই আছে। এই গাড়িটির বিশেষত্ব হলো, রান্নার তেল থেকে শুরু করে জেট ইঞ্জিনের তেল, যা খুশি তাই দিয়ে চালানো যাবে এই গাড়িটিকে। তবে কিছু বিশেষ কারণে ১৯৭৭ সালে টারবাইন ইঞ্জিন এর পুরো প্রোজেক্টকেই বন্ধ করে দেয় ক্রাইসলার। এর দাম সম্পর্কিত কোনো তথ্য আমি পাইনি।
কি বলে যে ধন্যবাদ দেব বুঝতে পারছিনা। দারুন একটি তথ্যবহুল পোস্ট। আমি আপভোট দিলাম ১০০%. এবং আমি এখন থেকে আপনার একজন ফলোযার। ......
অনেক ধন্যবাদ। এখন থেকে চেষ্টা করবো যাতে আরো বেশি বাঙালি এগিয়ে আসে এখানে