ভূতের গল্প - বৃষ্টির দিনে
হ্যালো বন্ধুরা...
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো আছেন ৷ আমিও বেশ ভালোই আছি ৷ তো আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম , নতুন কিছু শেয়ার করতে ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷
ভূতের গল্প শুনেছি অনেক , তবে আজও তেমন কিছু দেখিনি ৷ দু একটা ঘটনা আমার সাথেও ঘটেছে , তবে তার সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই আমি সেখান থেকে উধাও হয়ে গেছি ৷ ভূত বলতে আজও কিছু আছে ? নাকি নেই ! আমি জানি নাহ ৷ তবে দাদু দিদির কাছে ভূতে অনেক গল্প ই শুনেছি ৷ ছোট বেলায় দাদু দিদির সাথে বেশ আড্ডা হতো , সেই আড্ডা দাদু অনেক গল্পই আমাদের শোনাতো ৷ তার মধ্যে ভূতের গল্প গুলো ছিলো বেশ ৷ মাঝে মাঝে এমন কিছু গল্প শোনাতো যেগুলি আসলে বিশ্বাস করার মতো নাহ ৷ তবে সে গুলি নাকি সত্য , দাদু বলতো ৷ মাঝে মাঝে দেখতাম আগের মানুষ গুলো একসাথে হলেও এই গল্প গুলো করতো ৷ তাদের গল্প শুনে তাদের বলা গল্প গুলো বিশ্বাস করতেই হতো ৷ কারণ এতো জন মানুষ একই গল্প বানিয়ে বলতে পারে নাহ ৷
আজ কি পোস্ট লিখবো ভেবে পাচ্ছি নাহ , কমিউনিটিতে একটু ঘোরাঘুরি করতেই একটি পোস্টের শিরোনামে ভূতের গল্প দেখতে পেলাম ৷ ভূতের গল্প নামটা দেখেই আমারও কিছু গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো , যে গুলি আমি আমার দাদু থেকে শুনেছি ৷ এবং আরো কিছু আগের মানুষের কাছ থেকে শুনেছি ৷ তাই আজ আমিও ভাবলাম একটা গল্প লিখি , যেটা আমার দাদা থেকে শোনা ৷ এটা দাদা বাস্তবিক ঘটনা ৷ এই ঘটনাটা দাদা সাথেই ঘটেছে ৷ যেটা আমাদের শুনিয়ে ছিলো ৷ তো চলুন শুরু করি , খুবই ছোট একটি গল্প..তবে বাস্তবিক ৷
অনেক দিনে আগের গল্প..
সময়টা ছিলো বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাস ৷ ঝড় বৃষ্টির দিন ৷ আর গাছে গাছে আমের সমারোহ শততম ৷ গ্রামের বড় বড় আম গাছ গুলো আম দিয়ে ভরা ৷ সেদিন বিকেলে হঠাৎ বাতাস থেকে বৃষ্টি শুরু হলো ৷ এরপর ধীরে ধীরে তা আরো বড় রূপ ধারণ করলো ৷ ঝড় বৃষ্টি থামার কোনো নাম গন্ধ নেই ৷ বিকেল থেকে সন্ধ্যা , আর সন্ধ্যা থেকে রাত ঝড় বৃষ্টি চলতেই আছে ৷ সাথে প্রচন্ড বাতাস বইছে ৷ এমন ঝড় বৃষ্টি হলে আগের মানুষ কখনোই ঘুমাতো নাহ ৷ বৃষ্টি থেমে গেলে তবেই ঘুমাতো ৷ আর বৃষ্টির সময়টুকু ঘরে বসে থাকতো ৷ মাঝে মাঝে বারান্দায় এসে আকাশের অবস্থান লক্ষ্য করতো ৷ দাদাও সেদিন না ঘুমিয়ে বারান্দায় এসে আকাশের অবস্থান লক্ষ্য করছে ৷ বারান্দায় দাড়ালে বাড়ির সামনে বড় আমের গাছটা বেশ ভালোই দেখা যায় ৷ দাদা আমের গাছের দিকে তাকিয়ে ভাবছে এবার বুঝি আর আম খাওয়া হবে নাহ , যেভাবে বাতাসে আমের গাছ দোল খাচ্ছে , সে হিসেবে গাছে আম থাকার কথাই নাহ ৷
অনেকটা সময় পর বৃষ্টি থেকে গেলো ৷ তবে আকাশে বিদ্যুৎ চমকানো এখনো নামেনি ৷ মাঝে মাঝে আকাশের সেই বিদ্যুৎ চমকানোর আলোয় চারপাশটা দিনের মতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ৷ দাদা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লো হাতে হারিকেন নিয়ে বৃষ্টিতে পড়া গাছের আম গুলো কুড়াতে ৷ অনেক আম পড়েছে ঝড় বৃষ্টিতে ৷ দাদা একটা দুটা করে আম কুড়াতে কুড়াতে পুকুর পাড়ের দিকে চলে আসে ৷ পুকুর পারে বড় একটা আমের গাছ আছে ৷ সেখানে আম কুড়াতে এসে আকাশ চমকানোর আলোয় হঠাৎ দেখতে পায় দূরে কেউ একজন আম কুড়াচ্ছে ৷ পড়নে সাদা কাপড় ৷ বিদ্যুৎ চমকানোর আলোয় স্পর্শ দেখতে পায় দুই দুইবার ৷ কিন্তু হারিকেন এর হালকা আলোয় দেখা যায়নি ৷ এরপর কে সেখানে জিগ্যাসা করতেই পুকুর পাড়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যায় সেই দৃশ্যে ৷ পরে আরো কয়েকবার বিদ্যুৎ চমকালে দেখা যায়নি পুকুর পাড়ে কিছুই ৷ কি ছিলো সেটা ?
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness

OR
আপনার গল্পটি পড়ে আমার গা ভয়ে শিওরে উঠেছে । আসলে আগের দিনের দাদা দাদীদের কাছ থেকে বেশ ভূতের গল্প শোনা যেত । আগের দিনে হয়তো কিছু ছিল । এখন গাছপালা জঙ্গল কমে যাওয়ায় ভূতেরাও মনে হয় উধাও হয়ে গিয়েছে । যাই হোক বেশ ভালো লাগলো গল্পটি ।আসলেই কি সেটা ভুত ছিল??কে জানে ।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য ৷
ভাই আপনার এই ভূতের গল্প পড়ে, রাতের বেলায় বাইরে যেতেতো ভীষণ ভয় করছে। কেননা এখন তো আমের সময় চলছে, যদি আবার সাদা কাপড় পড়ে কেউ আম কুড়াতে আসে, তাহলেতো আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলবো। ভাগ্যিস আপনার দাদু জ্ঞান হারায়নি। তার জায়গায় আমি থাকলে তো বেহুশ হয়ে পড়ে রইতাম। বৃষ্টির দিনে ভূতের গল্পটি পড়ে সত্যিই গা ছমছম করছে। চমৎকার গল্প শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ গল্পটি পড়ে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
আগেকার দিনে মানুষ গুলোর সাথে এরকম ভৌতিক কাহিনী বেশি ঘটতো।যেমনটি আপনার দাদার সাথে ঘটেছিল।তিনি দেখেছিলেন সাদা কাপড় পড়া কেউ আম কুড়াচ্ছে।ঝড় বৃষ্টির দিনে আসলে ভুতদের প্রবলেম হয়ে যায়,বিশেষ করে রাতে।এজন্যই তখন বেশি দেখা দেয় আমার মনে হয়।ভালো লেগেছে আপনার গল্পটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ গল্পটি পড়ে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
এমন পরিস্থিতিতে পড়তে জীবন শেষ। পড়নে সাদা কাপড়ের দেখলে এমনিতেই ভয় করে।
হ্যা সেটাই তো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে
আমি তো ভয়ে একেবারে অন্যরকম হয়ে গিয়েছি। যদিও এমনিতে ভূতের গল্প অনেক পড়েছি এবং পড়তে ভালো লাগে শুনতেও ভালো লাগে কিন্তু মাঝে মাঝেই ভয় করে। আমার তো মনে হয় বাস্তবে সত্যি সত্যি ভূত রয়েছে।
আমার তো মনে হচ্ছে ওখানে সত্যিই একটা ভূত ছিল আপনার দাদার সাথে ভূত টিও আম কুড়াচ্ছিল। ভালোই লিখেছেন সম্পূর্ণটা।
ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটা পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
এই ধরনের ভুতের গল্প দাদা-দাদী নানা-নানীর কাছে অনেক শুনেছি, বয়স্ক মুরুব্বিদের কাছেও আগের দিনের বড় বড় গাছে নাকি ভূত পেত্নী বাস করত। তাদের ভয়ংকর কিছু শুনলে গা হাত পা শিউরে ওঠে। সাদা কেউ আম কুড়াচ্ছে এমন যদি দেখতে পাই কখনো নিশ্চিত স্টক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে আগের দিনের কথা মনে পরিয়ে দেওয়ার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করে জানানোর জন্য ৷
ভূত ও তাহলে আম কুড়ায় এটা জেনে তো বেশ ভালোই লেগেছে। আপনার দাদার সাথে ঘটে যাওয়া এরকম একটা ঘটনা পড়ে তো আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছি। এমনিতে আমি অনেকবার শুনেছি আগে নাকি মানুষরা ভূত দেখতো তাদের সাথে নাকি ভূতের অনেক ঘটনা ঘটেছিল। জানিনা এই কথাগুলো কতটা সত্যি কিন্তু আপনার কথাটা শুনে আমি অনেক ভয় পেয়েছি। মনে হচ্ছে এটা সত্যি হবে।
হ্যা আপু আমারও সেটাই মনে হয় ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ৷
ভূত আম কুড়িয়ে আম দিয়ে আচার বানাতো নিশ্চিত 😅 হিহিহিহি। ভাই বিশ্বাস করেন আমি ভূতের মুভি আর গল্প সব সময় এড়িয়ে যাই। তবু আজ পড়ে গেলাম সাহস করে। তবে পুরো লেখাটা পড়ার পর মনে কিসব আজগুবি চিন্তা খেলছে , এ জন্যই এসব এড়িয়ে চলি। এখনকার দিনে এসব কিছু হয়তো নেই। আবার একদম নেই বললেও ভুল হয়, যা রটে তার কিছু টা হলেও বটে। যাই হোক, লেখার ধরন টা বেশ ভালো ছিল।
হ্যাঁ দাদা সেটাই হবে 😁 ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য