লিচু বিক্রেতাদের কারসাজি।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আজ - ১৩ই জ্যৈষ্ঠ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




lychees-gc6403a42a_1280.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভাল আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকের ওয়েদার টা সত্যিই খুব সুন্দর। বাহিরে একটু একটু রোদ উঠেছে। গরম খুব একটা নেই। ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে মাঝে মধ্যেই। এমন সুন্দর ওয়েদার টা সবসময়ের জন্য থাকলে বেশ ভালো হতো। তবে ষড়ঋতুর দেশে সেটি কি আর হওয়া সম্ভব। প্রতি দুই মাস পর পর তো ঋতুর পরিবর্তন হবেই। গরম ঠান্ডা মিলিয়েই তো আমাদের দেশ।

তবে গরমের চিন্তা করার এখন আর কোন প্রয়োজন নেই। কেননা এখন যেহেতু পুরো বর্ষা তাই একটু গরম হলেই দেখা যাবে বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। যেমনটা কিছুদিন আগেও আগেও হয়েছিল । দুই দিন মোটামুটি ঘন বর্ষার শেষে যখনি একটু রোদ উঠেছে কিংবা গরম পড়া শুরু হয়েছে ঠিক তখনই দেখা গেছে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আসলে এটাই হচ্ছে বর্ষা।

যাইহোক, গ্রীষ্মকাল থেকে বর্ষার এ সিজনটা কিন্তু সব থেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। বাজারে ইতিমধ্যেই পাকা ফলের গন্ধ ভেসে উঠেছে। আম, লিচু, কাঁঠাল বেশ ভালোভাবেই পাওয়া যাচ্ছে। আমার কাছে সত্যি বলতে কি সিজেনটা ভালোলাগা একমাত্র কারণ হচ্ছে এই পাকা ফল ।

গতকাল একটি প্রতিবেদন চোখে পড়লো। যেখানে কিনা ভোক্তা অধিদপ্তরের লোকেরা বাজার পরিদর্শন চালাচ্ছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের লোকেরা লিচু বাজারে গিয়ে তাদেরকে বেশ ভালোভাবে জব্দ করেছে দেখলাম। আসলে লিচু কেনার সময় বাজার থেকে সব সময় এমনটা হয় যে, বিক্রেতারা তাদের লিচু গণনায় সব সময় ভুল করে। আসলে এখানে লিচু গণনা ভুল করে এ কথাটি বললে ভুল হবে বরং তারা ইচ্ছে করেই এমন কাজটা করে।


lychee-g74f8a1af4_1280.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

লেচু যেহেতু পিস হিসেবে বিক্রি হয় সে ক্ষেত্রে দেখা যায় রাতে ফেস লেটার দাম 5 থেকে ১০ টাকা হয়ে যায়। যখন ১০০ লিচু কেনা হয় তখন দেখা যায় প্রতি ১০০ লিচুতে প্রায় 20 থেকে 25 টা লিচু কম দেয়া হয়। সে হিসেবে ধরতে গেলে লিচু বিক্রেতারা ১০০ থেকে দেড়শ টাকা এভাবে ক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়। আসলেই ছোট ছোট লিচুগুলো গুনতে অনেক সময় প্রয়োজন তাই লিচু বিক্রেতারা কৌশলে ৫০ টা কিংবা ১০০টা লিচু বাধাই করে রাখে। এবং লিচুগুলো আর গণনা করে বেঁধে রাখার লিচু গুলোই দিয়ে দেয়া হয় । আবার যখন ক্রেতারা লিচু গুলো গণনা করে নিতে চাই তখনই তারা বিভিন্ন অজুহাত কিংবা বাহানা দেখিয়ে আর সেটি করতে দেয় না । আর এতে অনেক সময় ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী। প্রায় সময় আমার নিচু কিনতে গিয়ে এরকম তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বিক্রেতাদের সাথে।

যাই হোক, ভোক্তা অধিদপ্তরের এই লিচু বিক্রেতাদের অভিযানের এ বিষয়টি সত্যি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম একটি অভিযানের খুবই প্রয়োজন ছিল। দিনের পর দিন তারা এভাবে বক্তাদের ঠকে এসেছে। কিন্তু কখনোই এর প্রতিরোধ হিসাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি প্রশাসন থেকে। তবে এবারের এই বিষয়টি সত্যি সাধুবাদ জানানোর মতো।

ভোক্তা অধিদপ্তরের লোকেরাও কিছু বিক্রেতাদের এ সকল কারসাজি হাতেনাতে ধরেছেন। আমার সর্বশেষ একটাই বক্তব্য বিক্রেতাদের প্রতি। যেহেতু তারাও পরিশ্রম করে খায় তাই তারা চাইলেই প্রতিটি লিচুর দাম ২-৩ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করতে পারে কিন্তু এভাবে লিচু গণনায় কম দিয়ে লোক ঠকানোর কোন মানেই হয় না।

যাইহোক আজে পর্যন্ত। এখানে শেষ করছি আমার আজকের আলোচনা। দেখা আছে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

আসলে ব্যাপারটা আমিও খেয়াল করেছি, লিচু বিক্রেতাদের সবসময়ই লিচু গোনার ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকে। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে তারা ইচ্ছে করে এই ভুলটি করে। আসলে ভোক্তা অধিকার যদি সব বিষয়ে এমন অভিযান পরিচালনা করে তাহলে এর সুফল আমরা পাবো।

 2 years ago 

ভাইয়া, লিচু কিনতে গিয়ে লিচু বিক্রেতার সাথে আমারও তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়ে যায় লিচু গণনা নিয়ে। মানুষকে প্রতারণা করার কতই না কলা কৌশল আছে।ভোক্তা অধিদপ্তরের লোকেরা কিছু বিক্রেতাদের এ সকল কারসাজি হাতেনাতে ধরেছেন, এটা খুব ভালো কাজ করেছেন। এতে করে জনসাধারণ অনেকটাই সচেতন হয়ে যাবে। লিচু বিক্রেতারদের কারসাজি নিয়ে আপনার অনুভূতিটুকু প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ভাইয়া, বর্তমান সময়ে অসাধু লিচু বিক্রেতারা খুবই কৌশল করে ক্রেতাদের ঠকিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে অসাধু লিচু বিক্রেতারা লিচু বিক্রয়ের সময় সংখ্যায় কম দিচ্ছে। তাই লিচুসহ অন্যান্য পন্য সামগ্রী ক্রয় করার সময় আমাদেরকে সতর্ক থাকার থাকতে হবে। অত্যন্ত জনসচেতনতামূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে করা ভিডিওটি আমি বিকেলবেলায় দেখলাম। আর চিন্তা করছিলাম মানুষ এতটা নিচে নামতে পারে! জেনেশুনে এতটা কম দিচ্ছে! এমনিতেই জিনিসের যে দাম তার ওপর যদি ব্যবসায়ীদের এরকম কারসাজি করে তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

 2 years ago 

ভাইয়া, আপনাদের ওখানের ওয়েদার ভালো জেনে ভালো লাগলো।কিন্তু আমাদের এখানে ওয়েদার খুবই খারাপ কয়েকদিন ধরে।যাইহোক গরমকালে নানা ধরনের পাকা ফল খেতে সত্যিই অনেক মজার।ভোক্তা অধিদপ্তরের লোকেরা ভালো কাজ করেছেন ,এতে ক্রেতা আর ঠকবে না।

প্রতিটি লিচুর দাম ২-৩ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করতে পারে

ভাইয়া,আপনাদের ওখানে এক একটি লিচুর দাম কত পড়ে?

 2 years ago 

১০০ লিচুর দাম সাধারণত ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 2 years ago 

বাপরে বাপ এত দাম।আজই এই বছরে প্রথম লিচু খেলাম ভাইয়া,120 টাকা করে কিলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.09
TRX 0.32
JST 0.034
BTC 108915.32
ETH 3861.81
USDT 1.00
SBD 0.62