স্মরণ ঃ হরিধানের উদ্ভাবক হরিপদ কাপালীর প্রয়াণ দিবস।
একজন অসামান্য কৃষক হরিপদ কাপালী।
ধনেধান্যে পুস্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা।
কবির একথা প্রমাণ করেছেন আমাদের সোনালী মানুষ কৃষকরা।আমাদের দেশ কৃষি প্রধান। কৃষকের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে খাদ্য উৎপাদনে সফল আমরা।
সোনালী মানুষদের একজন হরিপদ কাপালী।
১৯২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।যুবক বয়সে তিনি সুনিতী কাপালীকে বিয়ে করে অসাননগর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে থেকে যান।
নিরক্ষর, দরিদ্র, প্রত্যন্ত গ্রামের একজন কৃষক
হরিপদ,হরিধান আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দেন দেশবাসীকে। যার ছিলনা কোন ডক্টরেট ডিগ্রি, আধুনিক গবেষণাগার ও সরঞ্জামাদি। যার ল্যাবরেটরি ছিল একমাত্র ফসলের মাঠ।
সেই নিরক্ষর হরিপদ কাপালী ধান উৎপাদনে একটি এলাকার চিত্র পাল্টে দিয়েছিল।যা এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত শতাব্দীর ৯০ দশকের শুরুতে একদিন ধানক্ষেত পরিচর্যা করতে যেয়ে আগাছা জাতীয় ৪/৫ টি ব্যতিক্রমী ধানগাছ দেখতে পান।দেখে আশ্চর্য হয়ে আগাছা ভেবে কেটে না ফেলে রেখে দেন।তার ধারণা ছিল ওই ৪/৫ টি গাছে ধান হবেনা কিন্তু অন্যান্য ধানগাছের সাথে ওই ৪/৫ টি গাছও লালন পালন করে বড় করেন।এবং গাছ গুলোতে ভাল ফলন হয়।ওই ধানের গাছ গুলো অন্যান্য গাছের তুলনায় মোটা ও লম্বা হয়।তার চিন্তার জগত খুলে যায়।তিনি ওই গাছ থেকে পাওয়া ধান গুলো আলাদা করে বীজ হিসেবে রেখে দেন।
পরের বছর ওই বীজ দিয়ে আলাদা বীজতলা তৈরি করেন এবং আলাদা জমিতে রোপণ করেন।অভাবনীয় সুফল পান।ক্ষরা ও অতিবৃষ্টি সহিঞ্চু এই অনামি জাতের ধানের কথা ছড়িয়ে পড়ে এলকার কৃষকের মুখে মুখে।
এলাকার কৃষকরা তার কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে ইরি ও বোরো মৌসুমে এ ধান আবাদ শুরু করেন।কৃষকরা সাফল্য পান অভাবনীয়। প্রচলিত স্বর্ণা ও বিআর-১১ তুলনায় ওই ধানের ফলন বিঘাপ্রতি ২/৩ মণ বেশি হয়।এবং প্রচলিত ধানের তুলনায় উৎপাদন খরচ হয় কম।
ঝিনাইদহ সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে ওই ধানের কথা।
হরিপদ কাপালীর নামে স্থানীয়রা এই ধানের নাম দেন হরিধান। ক্ষরা, বন্যা সহিঞ্চু ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং কৃষকের আগ্রহ দেখে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এই বিশেষ ধরণের ধান চাষের উপর ছাড়পত্র দেন।
হরিপদ কাপালী স্থানীয় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র,রোটারি ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থার থেকে প্রায় ১৬ টি পদক পেয়েছেন।
আজ এই মহান কিংবদন্তি হরিপদ কাপালীর না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার দিন।
২০১৭ সালের ৬ জুলাই ৯৫ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে চিরতরে হারিয়েছিএই কিংবদন্তি কৃষক ও উদ্ভাবককে।
হরিপদ কাপালী ওপারে ভালো থাকবেন।
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
তথ্যসূত্র ঃ প্রথম আলো, চ্যানেল আই অনলাইন।
ছবিঃফেসবুক থেকে সংগৃহিত। FB_IMG_1657047222844.jpg
This is a one-time notice from SCHOOL OF MINNOWS, a free value added service on steem.
Getting started on steem can be super hard on these social platforms 😪 but luckily there is some communities that help support the little guy 😊, you might like school of minnows, we join forces with lots of other small accounts to help each other grow!
Finally a good curation trail that helps its users achieve rapid growth, its fun on a bun! check it out. https://plu.sh/somland/
সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।