সুখোই যুদ্ধবিমানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র
রাশিয়ার সুখোই যুদ্ধবিমান এমনিতেই বেশ ভয়ঙ্কর অস্ত্র। এবার তার শক্তি আরো বাড়িয়ে নিচ্ছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। রাশিয়া থেকে সংগ্রহ করা ৪০টি সুখোই যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলকে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী।
চীন ও পাকিস্তানের সাথে অব্যাহত উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য অবিলম্বে এই প্রক্রিয়া শুরু করা জরুরি হয়ে পড়েছিল বলে ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়। ভারতের লক্ষ্যই হলো, একইসঙ্গে দু’মুখো যুদ্ধ শুরু হলে ভারত যেন পালটা আঘাত হানতে পারে শত্রুদের।
ব্রহ্মস বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। গত ২২ নভেম্বর সুখোই ৩০ কমব্যাট জেট থেকে এই ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চূড়ান্ত সাফল্যের মুখ দেখে। আর তারপর থেকেই ৪০টি সুখোইতে এই মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র জোড়ার কাজ শুরু হয়ে যায়। এই প্রকল্পের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। ২০২০-র মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
দেশীয় সংস্থা হিন্দুস্তান এরোনটিক্স এই সংযুক্তিকরণের দায়িত্বে রয়েছে। একবার এই কাজ শেষ হলে, চীন ও পাকিস্তান যদি দেশের দুই প্রান্তে একসঙ্গে হামলা করে, তাও নয়াদিল্লি সেই হামলাকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে বলে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
প্রায় ২.৫ টনের এক একটি ব্রহ্মস মিসাইল শব্দের চেয়ে প্রায় তিনগুণ দ্রুতবেগে ছুটে গিয়ে টার্গেটকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। এর রেঞ্জ ২৯০ কিলোমিটার। দ্রুতই সেই পাল্লাও বাড়ানো হবে বলে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর।
ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই ব্রহ্মসের পাল্লা বাড়িয়ে করা হবে ৪০০ কিলোমিটার। মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিমের সদস্য হওয়ায় ভারতের কপালে এই শিকে ছিঁড়েছে। মিসাইলের মধ্যে ব্রহ্মসই সবচেয়ে ভারী। একবার এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসে বহুদূরেও শত্রুঘাঁটি ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারবে। ভূমি বা সমুদ্রে সমান দক্ষতায় কাজ করতে পারে ব্রহ্মস।