মুভি রিভিউ: মমি রিবোর্ন ( Mummy Reborn )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সাবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। আজকে আমি যে মুভিটির রিভিউ শেয়ার করবো সেটি হলো "Mummy Reborn ". এই মুভির কাহিনীটা মমির পুনর্জন্ম নিয়ে। এই ধরণের মুভি আমি অনেকদিন আগে দেখেছিলাম একটা তবে এই মুভিটা না। এই মমি এর কাহিনীগুলো হরর আর এডভেঞ্চার টাইপ এর হয়ে থাকে। এই কাহিনীটি আমার কাছে ভালো লেগেছিলো দেখে তাই আপনাদের সাথেও কাহিনীটি একটু শেয়ার করতে আসলাম। আশা করি আপনাদের কাছেও কাহিনীটি ভালো লাগবে।
☬কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☬
✔মূল কাহিনী:
কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় একটা রিসোর্টে রাতের বেলা একটা অল্প বয়স্ক ছেলে সুইমিং পুলের ভিতরে বসে ড্রিংক করছে আর মনের আনন্দে গান শুনছে। কিছুক্ষন পরে সে কিছু শব্দ শুনতে পায় যা অস্বাভাবিক ছিল। এরপর সেখানে একটা মেয়ে আসে কিন্তু তার ভয়ানক ভাবে ছেলেটির সামনে মৃত্যু হয় আর ছেলেটি ভয় পেয়ে দৌড়িয়ে রিসোর্ট এর ভিতরে চলে যায় এবং সেখানে তার পিছনে মমি কে দেখতে পায় আর সেই মমি ছেলেটিকেও ভয়ানক ভাবে মেরে ফেলে। এরপর লুই ফিন্ডলে নামক একটা মহিলা তারা ম্যাকগওরান নামক আরেকজন এর কাছে যায়, তারা দুইজন পরিচিত। এরপর সেখানে সে কিছু জিনিসের ছবি তুলছে আর তাই নিয়ে নোট করছে। এরপর সেখানে একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা কিছু দেখতে পায় এবং সেখানে একটা গোল্ডেন কলারের লকেট ছিল, লকেটটি তুলে নেওয়ার পরে সেটির উপরের থেকে কাপড় সরিয়ে দেয়। মহিলাটির কাজ শেষ করতে করতে রাত হয়ে যায় এবং সে বাড়িতে এসে পরিবারের সাথে রাতের খাবার খেতে লাগে। তবে মহিলাটির ছেলে একটু অস্বাভাবিক মতো, খাওয়ার সময় খাবার নষ্ট করতে থাকে আর এতে তার মা রেগে গিয়ে গালি দেয় এবং ছেলেটি কান্নাকাটি করতে করতে চলে যায়। এরপর মহিলাটি যে রকেট নিয়ে এসেছিলো সেটি নিয়ে তার হাসব্যান্ড ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে তথ্য খুঁজতে লাগে।
লোকটি ইন্টারনেট এ সার্চ দিয়ে পেয়ে যায় হুবহু সেই লকেটের মতো দেখতে এবং সেখান থেকে কিছু ইনফরমেশন সংগ্রহ করে নেয়। এরপর তারা দুইজন আর তাদের আরো তিনজন বন্ধু রাত গভীর হলে গাড়ি নিয়ে চলে যায় সেই মিউজিয়াম মতো জায়গাটিতে। আর ওখানে সেই কাঠের তৈরি বাক্স চুরি করে নিয়ে আসে। এরপর সেখান থেকে তারা বক্সটি খোলে আর সেখান থেকে বিশাল দুর্গন্ধ বের হয় যেটা ওদের দিকে তাকিয়ে বোঝা গেলো। এরপর ওই বক্স এর মধ্যে ছিল সাদা কাপড় দিয়ে পেঁচানো কিছু একটা। ওখানে আবার মহিলার সেই ছেলেটি হুট্ করে চলে আসে এবং দেখে ফেলে সবকিছু। এরপর ছেলেটির মা ছেলেটিকে নিয়ে গিয়ে ঘরে রেখে আসে এবং সবাই সেই বক্স এর কাছ থেকে দূরে চলে যায় কিছুক্ষনের জন্য। এরপর সেই ফাঁকে ছেলেটি রুমের থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে সেই বক্স এর কাছে আসে আর এসে মমিকে দেখতে পায় এবং সেখানে রাখা সেই লকেটটি তুলে নেয়। এই লকেটটিতে এমন শক্তি ছিল যে মমিকে পুনরায় জীবিত হতে বাধা দিতো কিন্তু ছেলেটি সেই লকেট তুলে নিতেই মমি জীবিত হয়ে ওঠে। পরে সবাই সেখানে এসে দেখে মমি নেই তখন সবাই হুশ তাল হারিয়ে ফেলে যে কোথায় গেলো।
ওদের গ্রূপেরই একটা মেয়ে খুঁজতে খুঁজতে একটা রুমের ভিতরে যায় এবং সেখানে গিয়ে দেখে মমি বাবু বসে বসে টিভি দেখছে। মেয়েটি দেখে তার সাথে মস্করা মতো করে এবং মমি তখন তাকে গলা চেপে ধরে মেরে ফেলে এবং তার মাইন্ড সেটাপ করে তাকে তার মতো ওয়াইফ বানিয়ে নেয়। এরপর আরো একটা মেয়েকেও ঐভাবে দ্বিতীয় ওয়াইফ বানিয়ে ফেলে। গ্রূপের আরেকটি ছেলে বাইরে একজনের সাথে দেখা করতে যায় এবং সেখানে পিছন দিক থেকে সেই দুই মেয়ে ছুরি হাতে করে আসে আর একজনের গলা কেটে ফেলে দেয়। পরেরজন ভয়ে দৌড়ে রুমে যেতে চায় কিন্তু সেই ছেলেটি দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর লোকটি দৌড়িয়ে একটা ফরেস্ট মতো জায়গার দিকে যায় এবং তার পিছন পিছন একটা মেয়ে দৌড়ে চলে যায়। তবে ফরেস্ট এর মধ্যে দৌড়িয়ে বেশিদূর যেতে পারিনি, তাকে ধরে ফেলে মেয়েটি এবং মেরেও ফেলে। ওই ফরেস্টের মধ্যে আরো অনেকজন বন্ধুবান্ধব মিলে ইনজয় করছিলো তখন সেখানেও মমি আর তার সেই বানানো দুই ওয়াইফ গিয়ে সবাইকে মেরে ফেলে। এরপর পুনরায় সেই ঘরে ফিরে আসে যেখানে ওই ছেলেটি আর তার মা, বাবা ছিল। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে তাদের সাথে আমরা লড়বো, এরপর তারা কিছু বন্ধুক নিয়ে বাইরে বেরিয়ে সেই দুই মেয়ের সাথে লড়াই করে আর তাদের মেরে ফেলে।
তাদের মেরে ফেলার পরে তারা একটা বড়ো মাঠের পাশে পুরানো ঘরের আড়ালে চলে যায়। এদিকে ছেলেটি রাগারাগি করে দূরে চলে যায় হাটতে হাটতে। এখানে তাদের দুইজনের মেরে ফেললেও মমি তার শক্তির দ্বারা আবার তাদের পুনর্জীবিত করে তোলে। এরপর সেখানে আবার মিউজিয়ামের সেই মহিলাটি চলে আসে আর সবাই মিলে তাদের সবাইকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় পুনরায়। এদিকে মমিও তাদের নিয়ে বাইরে এসে ডেস্ট্রয় করে দিতে বলে সবাইকে। কিন্তু মেয়ে দুটির সাথে তারা পেরে ওঠে না। এদিকে ওই মহিলার হাসব্যান্ড মমির সাথে লড়ছে কিন্তু তার শক্তির কাছে তুচ্ছ হয়ে পড়ে। তবে শেষমেশ অনেক্ষন তাদের শক্তির সাথে লড়াই করার পরে একটা মেয়েকে মেরে ফেলে। বাকি একটা মেয়ে ঘরের ভিতরে ছেলেটির মাকে মেরে ফেলতে চাইছিলো এবং সেখানে মমি নিজেও চলে গেছিলো। এরপর ছেলে আর মায়ের উপর দুইজনই আঘাত হানার চেষ্টা করে কিন্তু ছেলেটির হাতে সেই লকেটটি ছিল আর মমির মুখের সামনে সেটি নিয়ে যেতেই সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে আর আবার সে মারা যায়। তবে ছেলেটি আহত হয়েছিল। যাইহোক এরপর তারা সবাই সেই মমিটিকে আবার সেই কাঠের বক্সে রেখে মুখ বন্ধ করে দেয়।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
এই মুভির কাহিনীতে আসলে তেমন কোনো ইন্টারেষ্টিং নেই, এক কোথায় বলা যায় রসহীন কাহিনী। তবে এই মুভির কাহিনীতে মজার ঘটনা না থাকলেও ভিতরে বোঝার অনেক কিছু আছে। আসলে যে মিউজিয়াম থেকে এই মমিটি তারা চুরি করে এনেছিল সেখানে লেখাই ছিল এই জিনিসে কোনোমতে হাত দেওয়া যাবে না। কিন্তু তারা সেটিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে রাতারাতি মমি চুরি করে নিয়ে যায়। তারা আসলে প্ল্যান করেছিল এই মমিটা বিক্রি করে মোটা অঙ্কের একটা টাকা হাতাবে। আর এইজন্যই কিন্তু বাইরের থেকে ওই লোকটি ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে এসেছিলো কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশত লোকটি প্রাণ হারায় সেই সাথে এরাও প্রাণ হারায়। তবে এখানে এই মমি পুনরায় জীবিত হতে পারতো না কিন্তু সেই অবুঝ ছেলেটি না বুঝে মমির বুকের উপরের থেকে লকেটটি সরিয়ে নেয় ফলে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে যায়।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
০৬/১০
✔ট্রেইলার লিঙ্ক:
দাদা মুভিটি যেমনই হোক না কেন আপনি খুব সুন্দর ভাবে এর বর্ণনা দিয়েছেন। আসলে মমি নিয়ে ভালোই কিছু মুভি দেখেছি। তবে এই মুভিটি দেখা হয় নাই। তবে আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে এই মুভি সম্পর্কে ভালো ধারনা পেলাম। এই মুভিটি তৈরি হয়েছে মিউজিয়ামে থাকা একটি মমিকে কেন্দ্র করে। আসলে ছেলেটির ভুল করে লকেট তুলে নিয়ে মমিকে জীবিত করে তুলে।এর পর থেকেই শুরু হয় মমির খেলা। ভয়ংকর আক্রমণের শিকার হয় সবাই।
আসলে এখনে ছেলেটি লকেটি লোভে পড়ে না সরালে এই সমস্যার সৃষ্টি হতো না। একটা কথা আছে লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। তবে ভুল করার পর অবশ্যই ছেলেটি তার ভুল বুঝতে পেরেছে। তবে লাস্ট পর্যন্ত ছেলের হাতে লকেট থাকার কারনেই মমিটিকে আবার পরাস্ত করে কাঠের বাক্সে আটকানো সম্ভব হয়। আমি মনে করি আমাদের এই মুভি থেকে অনেক কিছুই শিখার আছে। অজানা কোনো কিছুর প্রতি অতি আগ্রহ ভালো না। আর বিশেষ করে লোভ পরিহার করা অতীব জরুরী।
আসলে ইংলিশ মুভির কাহিনীতে রোমাঞ্চ একশন না থাকলে একটু বোরিংই লাগে। তবে মাঝে মাঝে এই টাইপের গল্প খারাপ লাগে না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরো মুভির কাহিনী সহজ ভাষায় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার মুভি রিভিউগুলো আমার খুব ভালো লাগে। দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। ❣️❣️❣️
দাদা আপনার লেখা মুভি রিভিউ পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই ধরনের মুভি গুলো দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। এই মুভিগুলোতে এডভেঞ্চার মিশে থাকে। একটি মমি কে কেন্দ্র করে এই মুভিটি তৈরি করা হয়েছে। আসলে যারা মমি চুরি করেছিল তারা তাদের লোভের শাস্তি পেয়েছে। আসলে লোভ সব সময় মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। তবে যাই হোক অবশেষে সেই মমিটিকে আবারো কাঠের বক্সে বন্দী করা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে এই মুভির রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। ❤️❤️
দাদা আপনাকে প্রথমে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ দেওয়ার জন্য। আমি আপনার সম্পূর্ণ মুভির কাহিনী পড়েছি।আমার কাছে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। আমার কাছে এমন মুভি দেখতে খুবই ভালো লাগে। এমন ভৌতিক মুভি দেখতে অনেক পছন্দ করি।
আমি এই মুভি অবশ্যই দেখবো।এখন অবশ্য তেমন বেশি সময় পাইনা বলে আগের মতো এত মুভি দেখা হয় না। আগে আমার অনেক ভৌতিক মুভি দেখা হতো।
একদম ঠিক কথা বলেছেন দাদা মুভিটা দেখতে রসহীন হলেও ভিতরে বুঝার আছে অনেক কিছু। বাস্তবেও মাঝে মাঝে এমন কথা শুনা যায় মিউজিয়াম থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি হয়ে গেছে। আমিও আমাদের এখানে মিউজিয়ামে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন দেখেছি সবকিছুর সামনে লেখা থাকে এখানে হাত দেওয়া যাবে না।
দাদা আপনি খুব সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ দেন যে গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকের মুভিও অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল যাতে সামনে আরো ভালো ভালো মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।
এই মুভি টির শুরুতেই কিছু মর্মান্তিক দৃশ্য দিয়ে গল্প সাজিয়েছে। তবে মুভিটি রোমান্টিক না হলেও বেশ শিক্ষণীয় কিছু বিষয় উল্লেখ আছে চরিত্রের মাঝে। একটা জিনিস স্পষ্ট বোঝা যায় এই ভূমি থেকে তা হচ্ছে লোভী ব্যক্তিরা কখনোই সুখী হতে পারে না। আর একটা বাস্তব কথা এখানে সত্য প্রমাণিত হয় যে লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই মুভিটির কাহিনী বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে মুভিটির বর্ণনা আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালোবাসা নেবেন।
মমি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন রহস্য গুলোর একটি। এজন্য মমির প্রতি মানুষের কৌতূহল অনেক আগে থেকে। মমি নিয়ে নির্মিত কিছু মুভি আমি এর আগেও দেখেছি এগুলো হরর টাইপের হয়ে থাকে। তবে মমি রিবোর্ন মুভিটা দেখা হয় নি।
মুভির শুরুটাই হয় বেশ ভয়ংকর ভাবে একজনের মৃত্যু দিয়ে। এবং যতই মুভিটা গড়িয়েছে ততই এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সত্যি বলতে আপনার রিভিউ টা পড়ে বিশেষ কোনো কাহিনী নিয়ে যে মুভিটা নির্মিত আমার সেটা মনে হয় নি।
হরর সিনেমা আমার অনেক পছন্দের। তবে কেন যেনো এই সিনেমাটির কাহিনি আমার কাছে মোটেই ভাল লাগলোনা। এর আগে মামী এবং মামি রিটার্নস নামে দুইটি সিনেমা দেখেছিলাম। দুটাই ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা। ভেবেছিলাম এটা হয়তো সে সিনেমারই পরবর্তী সিক্যুয়াল কিন্তু না। যাই হোক সুন্দর একটা রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আশা করি পরবর্তীতে আরো সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ পাব আপনার কাছ থেকে। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।❤️👍
নিষিদ্ধ কাজে আপনাদের একটু আগ্রহ বেশি থাকে বিশেষ করে জাদুঘরে গেলে আমরা যে বিষয় গুলো দেখি যে এগুলো হাত দেওয়া যাবেনা সেগুলোতেই আমাদের আকর্ষণ বেশি কাজ করে। মুভিটির রিভিউ পড়লাম প্রথমে যখন একটি ছেলের সামনে মারা যায় পরবর্তীতে ছেলেটিও মারা যায়। আর এই ভাবেই মুভির কাহিনী গভীরতা শুরু করে। বন্ধু মিলে নিজামীকে একটি বাক্স চুরি করে নিয়ে আসে। যদিও বাক্স খোলা হাত দেওয়া নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু তারা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উপেক্ষা করে বাক্সটি একপর্যায়ে খুলে ফেলে এবং তারপরেই তাদের জীবনের চলে আসে অন্তিম কাল । আপনি খুব সুন্দর ভাবে মুভি রিভিউ দিয়েছেন দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতি সপ্তাহে আপনার একটি করে মুভি রিভিউ থাকেই ।
মমি রিবোর্ন মুভিটা আমি দেখেছি আপনি খুবই সুন্দরভাবে আজকে রিভিউ করলেন। আসলে আপনার রিভিউ পড়ে আরো বেশি ভালো লাগলো। কারণ রিভিউ পড়ার মাধ্যমে মুভিটির পুরো কাহিনী ভালো করে বুঝতে পারলাম। আসলে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। বেশি লোভ করলে তার শাস্তি পেতে হয়। আসলে এই ধরনের মুভি এর আগেও আমি অনেক দেখেছি, কিন্তু এই মুভিটি আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে গেছে। কারণ তারা যদি মিউজিয়া থেকে অতিরিক্ত টাকা আশায় চুরি না করতো। তারপর ছেলেটি যদি মর্মিটি থেকে লকেট না সরাতো,তাহলে আর কোন বিপদ দেখা যেতো না। তবে এটির মাধ্যমে আমরা শিক্ষনীয় বিষয় উপলব্ধি করতে পারলাম। আমরা কখনোই অতিরিক্ত লোভ করবোনা, অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে মুভিটি রিভিউ করার জন্য।
পুরো কাহিনী টি পড়লাম। মোটামুটি হরর টাইপ মুভি মনে হল। তবে মমি নিয়ে বহু মুভি হয়েছে। এখানে মজার বিষয় বেশ কিছু লোক মারা গেল মমির হাতে এবং মমির বানানো দুই ওয়াইফ এর হাতে। সত্যি বলতে লোভ এর কারনেই এত গুলো মানুষের প্রান গেল। সরল সোজা বাচ্চাটি যদি লকেট না তুলতো তবে মমি কখনই জীবিত হতে পারতো না । কিন্তু সরল সোজা বাচ্চা টি লকেট তুলে নেওয়ার পরও কিন্তু মমি তাকে কিছু করনি এটা একটা লক্ষনীয় বিষয়। যাই হোক দাদা আজকের মুভি রিভিউ টিও দারুন ছিল। মূলত বিভিন্ন ধরনের মুভি দেখা উচিত তাহলে কিছুটা দেখার অনন্দের পরিবর্তন হয়। ভাল থাকবেন দাদা । শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।
এই মুভিটির রসহীন হলেও এই মুভিটির গল্প পড়ে বোঝা যাচ্ছে যে, লোভ সবসময় ভয়ঙ্কর হয়।