দীর্ঘদিন পরে টেস্টে ফিরে শতরান!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। এটি সাধারণত খেলার বিষয়ে আর কি। এখন বেশিরভাগ টেস্ট সিরিজ খেলা শুরু হয়েছে আর কিছুদিন আগে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে। তবে এই টেস্ট সিরিজটি ভারতীয় ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ এর জন্য একটি বিশেষ টেস্ট সিরিজ ছিল বলা যায়। কারণ ঋষভ পন্থ প্রথম থেকেই কিন্তু একজন ভালো ব্যাটসম্যান বা কিপার উভয় ক্ষেত্রেই পারদর্শী ছিল। কিন্তু তার একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সবকিছু একসময়ে স্তিমিত করে দিয়েছিলো। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিল বলতে গেলে, কিন্তু তারপরেও বিগত বিশকাপে যেভাবে ইনজুরি থেকে উঠে খেলেছে সেটা সাধারণত অধিকাংশ প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে কিন্তু দেখা যায় না।
তবে এই টেস্ট সিরিজটি তার ইনজুরির পরে এই প্রথম ছিল। এই টেস্ট সিরিজটি কিন্তু একটু জটিল ছিল পিচ কন্ডিশন হিসেবে, সেটা কিন্তু আপনারা যারা দেখেছিলেন তারা বুঝতে পারবেন। আমি যদিও এই টেস্ট সিরিজ ভালোভাবে দেখার সুযোগ পায়নি। তবে যেটুকু দেখেছিলাম তাতে পরিস্থিতি একটু জটিলতা ছিল ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে। ভারত কিন্তু প্রথমে ব্যাটিং করতে নামলেও স্বাভাবিক ভাবে করতে পারছিলো না আর উইকেটও কিন্তু পড়ে গিয়েছিলো প্রথম থেকে। কিন্তু ইন্ডিয়ার একটা দিক ভালো লাগে সবসময় যে, তারা প্রথম থেকে পড়ুক বা লাস্টের দিক থেকে পড়ুক, কেউ না কেউ ধরে টেনে দেবেই একটা লং সময় পর্যন্ত। এখানে কিন্তু ঘটনাটা সেইরকমই ঘটেছিলো, কারণ প্রথম থেকে সব ভালো ব্যাটসম্যানরা কম রানে আউট হয়ে যায়। তবে অশ্বিন আর জাদেজা এই প্রথম ইনিংসে একটা যেন রুদ্র রূপ ধারণ করে খেললো।
অশ্বিন কিন্তু প্রকৃত পক্ষে একজন ভালো স্পিনার আর অনলি বলার হিসেবেই সে পরিচিত। কিন্তু অশ্বিন অন্যান্য ফরম্যাটে রান সেইরকম না পেলেও টেস্ট ফরম্যাটে কিন্তু মাঝে মাঝে জলে ওঠে, সেটা আগেও কয়েকটা ইনিংসে ভালো রান করেছিল অর্থাৎ সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে। আর এই ইনিংসেও সেটা করেছিল। তবে সব থেকে বড়ো বিষয় হলো যে, দ্বিতীয় ইনিংসটা প্রথম ইনিংস এর থেকে অনেক ভালো হয়েছে। এক্ষেত্রে ঋষভ পন্থ আর গিল টেনে দিয়েছিলো। দুইজনেই সেঞ্চুরি করে দিয়েছিলো ঠিকই, কিন্তু সব থেকে আনন্দের বিষয় ছিল ঋষভ পন্থ এর কাছে এই সেঞ্চুরিটা।
কারণ দীর্ঘ সময়ে পরে যদি মাঠে একটা লং সময়ে খেলে শতরান করা যায় তাহলে এটা কিন্তু তার কাছেই অনেক খুশির বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। প্রায় বলা যায় দেড়-দুই বছর পরে টেস্ট খেললো। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বাংলাদেশ তাদের সাথে ভালো খেললেও উইকেট কোনোমতে টিকিয়ে রাখতে পারেনি দুটি ইনিংসেই। অনেকটা রানে পিছিয়ে পড়ে আসলে। ঋষভ পন্থ এর এই শতরান যেমনটা তার জীবনে একটা বড়ো ঘটনা ছিল, তেমন এই সিরিজটি একদম জিতিয়ে দেওয়ার মধ্যেও তার ভূমিকা ছিল, তার অংশীদারিত্বও গিল।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দুর্ঘটনা মানুষের স্বপ্নগুলোকে শেষ করে দেয়। আর সেই স্বপ্নের পথে আবারো যখন ঋষভ পন্থ ফিরে এসেছেন এবং অনেকদিন পর আবারও নিজের পারফরম্যান্সে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন এটা সত্যি অনেক আনন্দের ব্যাপার। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টেস্ট ক্রিকেটে আশ্বিন বরাবরই ভালো ব্যাটিং করে। তবে এবার অনেকদিন পরে একটা শতক পেল। অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেছিল। বলতে গেলে এইদিন আশ্বিনই ভারতকে টিকিয়ে রাখে রান করে।
ভালো পারফরমেন্স সব সময় দর্শকদের আনন্দ দেয়। আর সেই আনন্দটা আরও বেড়ে ওঠে। যখন কোন প্লেয়ার তার নিজের দক্ষতায় সবাইকে মুগ্ধ করে। অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার এই পোস্ট পড়ে। খেলাধুলার বিষয় নিয়ে লিখা পোস্ট পড়তে খুবই ভালো লাগে।
ঋষভ পন্থ আমার খুব পছন্দের একজন ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটিং স্টাইল বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে। যাইহোক ভারত প্রথম ইনিংসে মোটামুটি বড় স্কোর গড়তে সক্ষম হয়েছে শুধুমাত্র জাদেজা এবং অশ্বিনের জন্য। আমি প্রথম ইনিংস লাইভ দেখেছিলাম। তবে বাংলাদেশের বোলাররা এই ম্যাচে মোটামুটি ভালো বোলিং করলেও, ব্যাটিং একেবারেই ভালো হয়নি। যাইহোক এই সেঞ্চুরি ঋষভ পন্থের আত্নবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিবে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।