মায়ের সঙ্গে শপিংয়ে যাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আসলে অনেক দিন থেকেই ভাবছিলাম মায়ের সঙ্গে শপিংয়ে যাব।আমার কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটা ছিল এবং মায়েরও।তাই আমরা দুজন বেশ কিছু দিন থেকে ভাবছিলাম শপিংয়ের জন্য বের হবো।কিন্তু আমার সময় হয়ে উঠছিল না।আসলে এখন দিন ছোট।দুপুরের পর বের হলে একটু পরেই সন্ধ্যা হয়ে যায়।তাই কখন যাব ঠিক করতে পারছিলাম না।তারপরেও সেদিন ঠিক করলাম যেভাবেই হোক আজ বের হবো।আম্মাকে আগে থেকে রেডি হয়ে থাকতে বললাম।আমরা বের হব সাড়ে তিনটায় ঠিক করলাম।কিন্তু বের হতে হতে প্রায় চারটে বেজে গেল।তারপর মেয়েকে তার বাবার কাছে রেখে আমি মায়ের বাসায় গেলাম।সেখান থেকে আমরা বেরিয়ে পড়লাম শপিংয়ের উদ্দেশ্যে।
মায়ের সঙ্গে শপিংয়ে যাওয়া
প্রথমেই আমরা গিয়েছিলাম বেডশীটের দোকানে ।কয়েকটা বেডশীট কেনার ছিল। তারপর দেখে শুনে আমি দুইটা বেডশীট কিনলাম। আমার আম্মা একটা কিনলো। এখন বেডশীট গুলোর দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে । অবশ্য কোন জিনিসের দামই বা বাড়ে নি। সব কিছুর দামই তো এখন বেশি ।তারপরেও আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো তো কিনতেই হয়।
তারপর আমি আমার মাকে বললাম চলো শাড়ির দোকানে যাই।আম্মা বললো কেন আমি আজ শাড়ি কিনব না।আমি বললাম আমি কিনে দেব।আম্মা কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না।অনেক বলে তারপর রাজী করিয়েছি।মূলত বাসায় পড়ার শুতি শাড়ি কিনতে গিয়েছিলাম।বেশ কয়েকটি দেখে একটি শাড়ি পছন্দ করে কিনে ফেললাম।শাড়ি পছন্দ করা ভারি ঝামেলার দেখলাম।কিছুই পছন্দ হতে চায় না দেখলাম।তারপরেও একটা নিয়ে নিলাম।
শাড়ির দোকান থেকে কেনাকাটার পর আমি মেয়ের জন্য একটি ড্রেস কিনলাম।আসলে শপিংয়ে গেলে মেয়ের জন্য কিছু না কিনলে ভালো লাগে না।তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি মেয়ের জন্য কিছু কিনতে।আর মেয়েও অপেক্ষায় থাকে আমি কিছু এনে দিব।
তারপর আমার আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনলাম।আরো অনেক কিছু কেনার ছিল।কিন্তু দেখলাম প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে।তাই আর দেরি না করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পরবর্তীতে অন্য আরেকদিন যেয়ে বাকি জিনিসগুলো কেনার ইচ্ছা আছে। যদিও মা গেলে হয় ।আম্মা সহজে শপিংয়ে যেতে চায় না। আর আমারও একা একা যাওয়া হয়ে ওঠে না। তাইতো একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ জমে যায়। আর মেয়ের বাবার সঙ্গে শপিংয়ে যেয়ে আমি মজা পাই না। সে এক দোকানে যেয়ে জিনিস কিনে চলে আসে সেটা আমি করতে পারি না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
মায়ের সঙ্গে শপিং এ গিয়ে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আপু। আপনার আম্মাকে আপনি বেশ সুন্দর একটা শাড়ি কিনে দিয়েছেন। শাড়ি টি দেখতে বেশ ভালো লাগছে। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার মন্তব্যটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি তো দেখছি আপনার মায়ের সাথে গিয়ে বেশ ভালোই শপিং করেছেন। সত্যি আগের থেকে সব জিনিস এর দাম দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। আসলে বাচ্চারা সব সময় আশায় থাকে তাদের জন্য কিছু আনবে বলে।যাইহোক আপনারা অনেক কিছু কিনেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ সেদিন মোটামুটি একটু শপিং করেছিলাম। যাইহোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
মায়ের সাথে কেনাকাটা করতে গেলে রিলাক্স মুডে কেনাকাটা করা হয়। আর সাথে বাচ্চা না গেলে আরো ভালো ভাবে কেনা যায়। বাকি রইলো পছন্দ করা আর দামাদামি।জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই বাড়তি। তার উপর দাম চেয়ে বসে ডাবলের ও ডাবল।আপনি বেড শিড নিলেন। আর মায়ের জন্য কাপড় কিনলেন।বাসায় মেয়ের জন্য ও ড্রেস নিলেন।মেয়ে ড্রেস পেয়ে খুব খুশি হয়েছে আশাকরি।মায়ের সাথে কেনাকাটা করে সুন্দর সময়টি ও কাটিয়েছেন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন বাচ্চারা শপিং এর সময় সঙ্গে না থাকলে বেশ ভালোভাবে কেনাকাটা করা যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি আপনার মায়ের সঙ্গে শপিং এ গিয়ে দেখছি বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছিলেন। বেড়শীট দুইটি কিনেছিলেন এবং আপনার মায়ের জন্য শাড়ি কিনেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। বাসায় পড়ার জন্য এমনিতেই সুতার শাড়ির প্রয়োজন হয়। যাইহোক শপিংয়ে যাওয়ার কারণে মেয়ের জন্য ও কিনেছিলেন জেনে ভালো লেগেছে। আশা করছি সে তার শপিং পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। আশা করছি পরবর্তীতে গেলে আরো কিছু কেনাকাটা করতে পারবেন।
হ্যাঁ আপু মেয়ের জন্য ড্রেস কিনে আনায় সে বেশ খুশি হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
মায়ের সঙ্গে শপিংয়ে গিয়ে বেশ ভালই কেনাকাটা করছেন দেখছি। মায়েরা এমনই আপু কোন কিছুই নিতে চায় না। আমার মাকেও জোর করে কিনে দিতে হয়। শেষে মেয়ের জন্য এবং নিজের কেনাকাটা করে বাসায় ফিরেছেন।বাচ্চারা নতুন ড্রেস পেলে অনেক খুশি হয়।শপিং করার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন মায়েরা এমনই হয় কিছুই নিতে চায় না। আর বাচ্চারা নতুন জিনিস পেলে খুশি হয় এটাও ঠিক। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
শপিং করা সুন্দর মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন অপু। বেশ ভালো লাগলো আপনার বিস্তারিত আলোচনা পড়ে। যেখানে আপনি আপনার আম্মার কাপড় কিনে দেয়ার কথা বলেছিলেন কিন্তু তিনি মোটেও রাজি হচ্ছিলেন না। আসলে কোন পিতা-মাতা চায়না তার সন্তানদের টাকা খরচ হোক। কিছুদিন আগে আমিও একটি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকে এভাবে কিনে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম,কিন্তু আমার সাথে ঠিক এটাই হয়েছিল। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে।
আসলে ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন বাবা মায়েরা সন্তানের টাকা সত্যিই খরচ করতে চায় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মাঝে কিন্তু এভাবে শপিংয়ে গেলে বেশ ভালোই লাগে। শপিংয়ে গেলে কিন্তু অনেক কিছুই কেনাকাটা হয়ে যায়। ভাইয়ার সাথে যেহেতু যাওয়া পছন্দ করেন না তাই আপনি আপনার মাকে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আমি নিজেও যদি মার্কেটে যাই তাহলে এক দোকান থেকে কেনার চেষ্টা করি, বেশি দোকানে হাটতে আবার ভালো লাগেনা। আসলে এই সমস্যাটা বেশিরভাগ ছেলেদের মধ্যেই দেখা যায়, তেমনি ভাইয়ার ও রয়েছে।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন ছেলেরা বেশি দোকান ঘুরতে চায় না। তবে মেয়েরা এটা বেশি পছন্দ করে ।যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। মায়ের সঙ্গে খুবই সুন্দর একটা সময় অতিক্রম করেছে এবং কিছু শপিং করছেন। আসলে এখন কম বেশি সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শীতের কাপড় গুলো।তবে দাম বাড়লে তো কিছু করার নাই। আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো তো কিনতেই হবে।যাইহোক আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও কিছু করার নেই ।প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো তো কিনতেই হয় ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।