লাইফ স্টাইল:- ভাগ্নের পাসপোর্টের জন্য সুদুর মেহেরপুর।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাচ্চাদের অসুস্থতা হবার প্রবণতা খুব বেশি এবং অসুস্থ হয়েছে অনেক। গত কয়দিন আগে ভাগ্নের সাথে গিয়েছিলাম মেহেরপুরের পাসপোর্ট অফিসে। আসলে ভাগ্নে বিদেশে যাবে তাই তার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করবে আর এর জন্যই তার সাথে যাওয়া। কখনো সেখানে আমার যাওয়া হয়নি এর এটাই প্রথম আর সেখানে আমার বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে আর সেটাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।


IMG_20241029_115828.jpg

যারা আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন, তারা হয়তো বা অনেকেই কিবরিয়াকে চেনেন। আর সে আমার ভাগ্নি অর্থাৎ আমার বড় বোনের ছেলে। মামা ভাগ্নের সম্পর্কটা অনেক মধুর। তার সাথে আমার সম্পর্কটা অনেক গভীর। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে এসে আমাকে স্মরণ করে এবং ভাগ্নে হিসেবে অবশ্যই তার সেই ডাকে সাড়া দিতে হয়। কিছুদিন আগে আমাকে বলে রাখছিল মেহেরপুরে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। আর সেই কারণে গত দুইদিন আগে তার সাথে পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলাম। যদিও আমি কখনো পাসপোর্ট অফিসে যাইনি আর এ কাজ কর্মগুলো সম্পর্কে আমি খুব একটা অবগত নয়। কিন্তু তারপরও আমার সেখানে ভাই থাকার কারণে আমরা আমাদের কাজ করতে তেমন সমস্যা হয়নি। যাহোক তার উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে দশটার দিকে আমরা রওনা হলাম সেখানে ব্যাংকে গেলাম ব্যাংকের কিছু কাজকর্ম ছিল সেটা সম্পূর্ণ করার পরে আমরা মিরপুরের পাসপোর্ট অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম। ব্যাংক ড্রাফ করার জন্য ব্যাংকে যাব কিন্তু আমাদের সোনালী ব্যাংকের স্থান পরিবর্তন করেছিল মজার ব্যাপার হলো যেখানে ছিল তার সামনে তারা নতুন অফিস করেছিল কিন্তু আমরা খুঁজে পেয়েছিলাম না এটা আমাদের কাছে পরবর্তীতে বেশ হাস্যকর মনে হয়েছিল।

IMG_20241029_115435.jpg

ব্যাংক থেকে ব্যাংক ড্রাফ করা শেষ হওয়ার পরে আমরা মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম এবং ঠিক আধা ঘন্টা পরে আমরা মেহেরপুরের পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছালাম। আমার বড় ভাই পাসপোর্ট অফিসের ডিডি। তিনার কাছে ফোন দিতেই তিনি সেখানকার একজন কর্মকর্তার কাছে ফোন দেয়ার কথা বলো তার সাথে কথা বলার সাথে সাথে কাগজপত্রগুলো নিয়ে নিল। এবং নিজ থেকে একজন গার্ডকে ডাক দিল এবং আমাদেরকে দোতলায় নিয়ে গেল। আমি পাসপোর্ট অফিসে না আসলে ওই সম্পর্ক আমার বেশ একটু অভিজ্ঞতা আছে সেটা হল আমরা জানি যে পাসপোর্ট অফিসে আসলে সারাদিন চলে যায় তারপর কাজ হয় না। যাহোক হয়তোবা নিজের ভাই ছিল বলেই আমাদের সমস্যা হয়নি। আমাদেরকে উপরে একজন অফিসারের কাছে নিয়ে গেল কিছু কাগজপত্র সই করে নিল এরপরে আমাদেরকে কিছুক্ষণের মধ্যেই কম্পিউটার রুমে নিয়ে গেল এবং কম্পিউটারের কিছু কাজ পত্র ছিল সেসব কাজ পত্র গুলো খুব দ্রুত করে দিল একটা বিষয়ে অবাক হয়ে গেলাম অনেকগুলো ফাইল থাকার সত্বেও আমাদেরকে খুব দ্রুতই কাজগুলো করে দিল।

IMG_20241029_115411.jpg

সেখানে সমস্ত কাজ কমপ্লিট হওয়ার পরে আমাদেরকে আর একটা রুমে নিয়ে গেল সেখানে ফিঙ্গার নেয়ার জন্য রুমের ভিতরে ঢুকেই দেখি অনেকগুলো মানুষ বসে আছে বেঞ্চে এরপর আমি কাগজ তো তাদের সামনে দিতে গেলাম উনি বলল না পড়ে পাশে বসেন। আসলে বেশ সুন্দর সিরিয়াল মেনটেন করেই তিনি কাজ করছিলেন তার কাজের ধারাবাহিকতাটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। তিনার বক্তব্য অনুযায়ী যে আগে আসবে সে আগে কাজ করবে এতে কোন সন্দেহ নেই কেউ কোন কিছুতে ছাড় পাবে না তবে তার কাজের ধরনটা সত্যি আমার ভালো লেগেছে কারণ এমনই তো হওয়া উচিত মানুষ কেউ এসে বসে থাকবে না সবাই কাজ করবে কিন্তু সেটা অবশ্যই সিরিয়াল ভাবে কাজ হবে। দুর্নীতি ঘোষ এসব দিয়ে কোনো কাজ হবে না সব সময় মানুষ সচ্ছলভাবে কাজ করবে আর এভাবে কাজ করলে মানুষ কাজ করে বেশ শান্তি পাবে তবে একটা বিষয় না বলেই নয় খুব দ্রুত সবাই যেন কাজ করে চলে যাচ্ছে এখান থেকে। আসলে সেখানে কাজ দেখে মনে হল বেশ দুর্নীতি মুক্ত কাজ চলছে কারণ এর আগে আমি শুনেছি এখানে আসলে মানুষের অনেক ঘুরতে হয় মানুষের অনেক পেরেশানি দেয় কিন্তু তাদের কাজের যে সিস্টেম দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে এখানে কোন দুর্নীতি হয় না।


ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।


আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন https://w3w.co/register.learn.lessening


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে আমি পাসপোর্ট করব বলে আপনাকে অনেক আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিলাম আপনার সাথে যাব এই কারণে। সত্যি মামা ছবি তোলার এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার ওই রুমের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে যে কাজগুলো হচ্ছিল এগুলো দেখে আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

প্রতিটা কাজ যদি এরকম নিয়ম-শৃঙ্খলা সততা নিয়ে মানুষ করতো তাহলে দুর্নীতি থাকতো না।

 2 months ago 

পাসপোর্ট আর ভিসা সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই। বড় ভাই বিদেশে গিয়েছিল, এই জিনিসগুলো নিয়ে অনেক হয়রানির শিকার হতো তাই অনেক কিছু শুনতাম। তবে যেভাবে অনেক কিছু তথ্য ক্লিয়ার জানতে পারতাম না। আজকে আপনি মেহেরপুরে পাসপোর্ট অফিসে গেছেন আর সেই বিষয়ে অনেক কিছু তুলে ধরেছেন। বিস্তারিত অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো।

 2 months ago 

তখন পাসপোর্ট করতে মানুষের বেশ হয়রানি হতে হয়েছে কিন্তু বর্তমানে তার পরিবেশ পুরোটাই উল্টো।

 2 months ago 

কিবরিয়া আমাদের সকলের খুব প্রিয় ব্লগার। সে বিদেশে যাবে শুনে আমার নিজেরই বেশ ভালো লাগছে।। তবে আপনিও তার সঙ্গে পাড়ি দিতে পারতেন। এত কষ্ট করে পাসপোর্ট অফিসে গেলেন, তার সঙ্গে কাজ করলেন, আর যাবার বেলা সে একা যাবে, সেকি আপনার মন মানবে? তবে যাই হোক পোস্টখানি বেশ ভালো হয়েছে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলি জানতে পারলাম।

 2 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাগ্নে একসাথে চলাচকল তাকে ছেড়ে থাকাটা বেশ কষ্টের হবে। তারপরও তার জন্য দোয়া রইবে। চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.26
JST 0.040
BTC 97876.97
ETH 3483.25
USDT 1.00
SBD 3.26