আমার বাগানের বিভিন্ন রকমের সবজির ফটোগ্রাফি।
আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
১০ ফাল্গুন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
১১ সাবান ১৪৪৫ হিজরি। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
বলতেই হয় শীত আমাদের মাঝ থেকে প্রায় শেষের দিকে। শীতের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের সবজি হয়ে থাকে। আর এসব সবজির মধ্যে ফুলকপি অন্যতম। গ্রাম অঞ্চলে যারা বসবাস করে তাদের বাড়ির আঙিনায় কিছু জমে থাকলে তারা চেষ্টা করে সবজি উৎপাদন করতে। আর ঠিক তেমনি একটা জায়গা আমাদের রয়েছে সেখানে বেশ কিছু সবজি তৈরি করেছি তার মধ্যে ফুলকপি একটি। আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন ফুলকপিতে অনেকটা ছোট একটা ফুল ধরেছে। হয়তোবা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠবে। সবজি মানব দেহের জন্য খুবই উপকার। বিশেষ করে সিজনাল যেসব সবজিগুলো হয়ে থাকে সে সবগুলো খেতেও বেশ ভালো লাগে। বর্তমান সময়ে এই সমস্ত সবজির দামও অনেক। তাই নিজে একটু কষ্ট করে চাষ করে খেতে পারলে বেশ ভালই হয়।
এখানে আপনাদের মাঝে যে ফটোগ্রাফিটি সামনে তুলে ধরেছে নিশ্চয়ই আপনারা চিনতে পারছেন। জি,হা এটা হল লাল শাক। লাল শাক বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। এখানে যেটা দেখতে পাচ্ছেন এটাকে বলে নটকা লাল শাক। এই শাকগুলো খেতেও ভীষণ মজা। অন্য যেসব লাল শাক রয়েছে তার মধ্যে এই শাকটা বেশি স্বাদ। বেশ কিছুদিন আগে আমার সবজি বাগানে এই লাল শাকের বীজ ছিটিয়ে দিয়েছিলাম। এখন বেশটা বড় হয়ে গেছে এবং খাওয়ার উপযোগী হয়ে গেছে। লাল শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে। আর আমার বিশ্বাস প্রত্যেকটা মানুষের লাল শাক খুবই প্রিয়।
শীতের এই মৌসুমে বিভিন্ন প্রকার সবজির মধ্যে আরেকটি অন্যতম সবজি হলো পাতাকপি। আপনি যে কোন সবজি খাবেন আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকার। পাতাকপি স্বাভাবিকভাবে ভাজি করে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। স্বচক্ষে দেখি নাই তবে ইউটিওব এ দেখেছি চীনারা পাতাকপি এত সুন্দর করে প্রসেসিং করে এবং সেগুলো তারা খেয়ে থাকে। আসলে সবজিতে মানব দেহের জন্য কতটা উপকার এই বিষয়টি আমাদের প্রত্যেকের জানা। সবুজ সবজি গুলো খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমন আমাদের সবজির অভাব ঘাটের জন্য খুবই উপকার। একটু কাঁচা করে ভাজি করলেই এই সবজি খেতে ভালো লাগে।
বর্তমান সময়ে পেঁয়াজের কি দাম চলছে তা সবারই জানা। আমি আগেই বলেছি যদি আপনার বাড়ির আঙিনায় পতিত জমি থাকে সে জমিতে যদি আপনি একটু পরিশ্রম করেন তাহলে আপনার সবজি জাতীয় যেগুলো জিনিস রয়েছে খাবারের এগুলো আপনার কখনোই অভাব পড়বে না। এইতো কয়েক মাস আগে কিছু পেঁয়াজ লাগিয়ে দিয়েছিলাম। এখন অনেকটা বড় হয়ে গেছে। হয়তোবা ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে এগুলো তো উঠাতে পারবো। গ্রামগঞ্জে সকল মানুষ যদি এভাবে নিজে পরিশ্রম করে সবকিছু লাগিয়ে খেতো তাহলে বাজারে এই ধরনের জিনিসের দাম অনেকটা পড়ে যেত। আসলে পরিশ্রম করলে এর প্রভাবটা বিশ্ববাজার পর্যন্ত যেতে পারে।
সত্যের এই মৌসুমের অন্যতম সবজির মধ্যে টমেটো একটি। আমার সবজি বাগানে বেশকিছু টমেটো গাছ লাগিয়েছি। যদিও টমেটো লাগানো অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। তারপরো টমেটো গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণ টমেটো ধরেছে। আর নিজের হাতে লাগানো টমেটো বিষবিহীন টমেটোগুলো তুলে খেতেও বেশি সুস্বাদু লাগে। আর এই সমস্ত জিনিসগুলো চাষ করতে বেশ সহজ। এদের পেছনে পরিশ্রম যেমন কম তেমন এসব সবজির দামও অনেক বেশি। তাই নিজের সবজি বাগানের চারপাশে কিছু টমেটো লাগিয়েছিলাম সেই টমেটো গাছ থেকে এই ফটোগ্রাফিটি তোলা। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেশ কিছু টমেটো ধরেছে।
নিজের পতিত জমিতে যেমন সবজি চাষ করা হয়ে থাকে এর পাশাপাশি ইচ্ছা করলেও এইসব জমিতে বিভিন্ন প্রকারের গাছও লাগানো যেতে পারে। আমি সবজি বাগানের মধ্যে লিচু গাছ লাগিয়েছি। একদিকে যেমন সবজি বাগানে সবজি খেতে পারবো অন্যদিকে আবার লিচু গাছটি যদি বড় হয় তাহলে লিচু খেতে পারব। তবে এখানে একটা কথা বলি লিচু গাছের ছোট দেখালেও এর কিন্তু মুকুল এসেছে। হয়তোবা খুব নিকটে এই লিছুর ফল আমি আপনাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করব। আমি আগেই বলেছি একটুও পরিশ্রম করলে একটা জায়গা থেকে অনেক কিছু খাওয়া সম্ভব তৈরি করে।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ আজকের মতো শেষ করছি। |
---|
ডিভাইসের নাম | Poco |
---|---|
মডেল | M2 |
ফটোগ্রাফার | @tuhin002 |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | https://w3w.co/midsized.handbasket.mastering |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1760867133498822669?t=_JulEZHsjdUadf18e_7-Ng&s=19
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কারো বাড়ির সামনে যদি জায়গা থাকে তাহলে সেখানে একটু পরিশ্রম করে এরকম টাটকা সবজি উৎপাদন করা সম্ভব। তাছাড়া অনেকে তো এখন বাড়ির ছাদে এরকম সবজি লাগায়। যাই হোক আপনার বাগানের সবজি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে ফুলকপি এবং পাতাকপি খুব ভালো লাগছে দেখতে।
আপু বর্তমানে গ্রামের মানুষ কিংবা শহরের মানুষ সবাই যথেষ্ট সচেতন। গ্রামের মানুষ যেমন তার পতিত জমিতে সবজি তৈরি করছে ঠিক তেমন শহরের মানুষের এখন ছাদে বাগান তৈরি করছে। আর এটা অবশ্যই আমাদের দেশের জন্য নেতিবাচক। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার সবজি বাগানে বিভিন্ন রকম সবজি রয়েছে দেখে ভালো লেগেছে। এবং কি বেশ ভালোভাবে সবজিগুলোর ফলন হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। শীতের সময়টাতে এই সকল সবজিগুলো খেতে সবাই পছন্দ করে। আপনি আপনার বাগানের বিভিন্ন রকম সবজির ফটোগ্রাফি যেমন সুন্দরভাবে করেছেন, তেমনি সুন্দর করে বর্ণনার মাধ্যমে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা সবজি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম বর্ণনা গুলো পড়ে। সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর করে করার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপুর বাড়ি পতিত জমিতে সমস্ত সবজি চাষ না করে আর পার নেই। বর্তমান সময়ের সবজির এত পরিমাণ দাম কিনে খেতে গেলে মানুষ হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি বলতে শীতের মৌসুমে আমরা যতটা টাটকা সবজি পাই সেটা অন্য কোন মৌসুমে খুব একটা বেশি পাই না। শীতের মৌসুমে সবজি গুলো খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আপনার বাগানে অনেকগুলো সবজি চাষ করেছেন দেখছি এর মাঝে লাল শাক এবং ফুলকপিও আছে। এই দুটো সবজি আমার অনেক বেশি পছন্দের এবং খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
শীতকালকে সবজি রাজা বলা উচিত। কারণ শীতকালে যত প্রকাশ সবজি পাওয়া যায় অন্য কোন সময় এত সবজি পাওয়া যায় না এটা সত্যি কথা। আর এই সময় সবজিগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেশ ভালো লাগলো নিজের বাগানের শীতকালীন শাকসবজি দৃশ্য দেখতে পেরে। আমরা সবাই যদি কমবেশি এভাবে শাকসবজি উৎপাদন করে অবশ্যই দেশে শাক সবজির দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। আর সবচেয়ে বেশি ভালো হবে টাটকা শাকসবজি খাওয়ার ফলে নিজেদের শরীর সুস্থ রাখতে পারব। আপনার বাগান আর বাগানের সুন্দর শাকসবজি দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
আমরা সবাই যদি কমবেশি উৎপাদন করে থাকে সমস্ত সবজিগুলো তাহলে অবশ্যই একদিকে যেমন টাটকা সবজি খেতে পারবো অন্যদিকে সবজির দাম গুলো মানুষের আয়ত্তের মধ্যে থাকবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সবজি বাগানের অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি করেছেন। সবজি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে ফুলকপি, টমেটোর ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এগুলোর পরিচর্যা করছেন। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারলাম এগুলোর যত্ন খুব ভালোভাবে নিচ্ছেন।
নিজের অবসর সময়টুকু সবজি বাগানে দিয়ে থাকি। এর মধ্যে দিয়ে সবজি গুলোকে পরিচর্যা করতে পারে এবং পাশাপাশি টাটকা সবজিও খেতে পারি।
শীতকাল প্রায় শেষের দিকে। আর শীতের সবজিগুলো সত্যি অনেক ভালো লাগে। বাঁধাকপি চীনারা সত্যি অনেক সুন্দর ভাবে খেয়ে থাকেন। দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন আর সবার মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
সবজি প্রত্যেকটা মানুষের পছন্দের খাবার। আর মানুষের জন্য সবজি প্রচুরপরিমাণ দরকার। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপনিতো চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। তাজা সবজির ফটোগ্রাফি দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। তবে পেঁয়াজের চাষ আমাদের এদিকে খুব কম হয়। সত্যি বলতে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অসম ভালো লাগলো। এবং ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে। চাষ না করে কি করবে দিন দিন পেয়াজের দাম যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে মানুষের খাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া তাহলে তো আপনি অনেক ধরনের সবজি চাষ করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ফুলকপি, পেঁয়াজের পাতা ও বাঁধাকপির ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। এই গাছগুলো ক্ষেতে দেখতে অনেক ভালো লাগে। অনেক আগে দেখেছিলাম আজ আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি খুব সুন্দর বর্ণনাও দিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান সময়ের সবজি যে দাম তাতে নিজে চাষ করে খাওয়াটায় উত্তম। আর সব সময় টাটকা সবজি গুলো খাওয়া হয়। সারা বছর মোটামুটি কম বেশি সবজি চাষ করে থাকে আপু।
আপনার বাগানের অনেকগুলো সবজির ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম ফ্রেশ ফ্রেশ বাগান থেকে সবজি নিয়ে রান্না করে খেতে কিন্তু অনেক মজা। আপনার বাগানের সবগুলোর ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
নিজের বাগানে কোন কিছু তৈরি করলে খাওয়ার সময় ফ্রেশ তরকারি এটাই পাওয়া যায় কারণ নিজের তৈরি বলে। আসলে এগুলোতো হাটে বাজারে পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।