লাইফ স্টাইল :-কাজের ফাঁকে একটু খাওয়া দাওয়া।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কিছুদিন আগে কুষ্টিয়াতে গিয়েছিলাম। যেহেতু সকালের দিকেই বেরিয়ে গিয়েছিলাম তাই আসতে অনেকটা সময় লেগে গেছিল। বেশ ক্ষুধা অনুভব করেছিলাম তাই দেরি না করে খাওয়ার জন্য বসে পড়লাম। সাথে কিছু মিষ্টি সহ কিছু ক্রয় করেছিলাম। আজকে আমি কাজের ফাঁকে তো খাওয়া দাওয়া মুহূর্তটা তোমাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
বেশ কিছুদিন আগে কুষ্টিয়াতে গিয়েছিলাম ডাক্তারের কাছে। এই নিয়ে অনেকবার গিয়েছিলাম কিন্তু কখনো একটু সময় পাইনি একটু ঘোড়ার বা একটু খাওয়া দাওয়া করা। শেষের দিন যখন গিয়েছিলাম সেদিন খুব কম সময়ের মধ্যে কাজ হয়ে গেছিল। আসলে একটু সকাল করে গিয়েছিলাম তাই একটু ক্ষুধাও লেগে গিয়েছিল। কথায় বলে না সবকিছু থেমে থাকলেও পেট থেমে থাকে না। আর ক্ষুধা জ্বালা বড় জ্বালা ক্ষুধা লাগলে আর কোন কিছুই ভালো লাগেনা। অনেকক্ষণ থেকেই ক্ষুধার জ্বালায় শরীরটা যেন তাল মাতাল মনে হচ্ছিল। আমার সাথে আরো একজন ছিল। যখন আমাদের কাজ সমাপ্ত হলো তখন আমি তাকে বললাম চলো এবার একটু খাওয়া-দাওয়া করে আসি। এই কথা বলাতে এসে একটুও ভাবনা চিন্তা না করে বলে ফেলো আচ্ছা ঠিক আছে আজকে আমরা খাব। আসলে এটা বলার স্বাভাবিক অনেকবার কুষ্টিয়াতে এসেছে কিন্তু কোন সময়ই খাওয়াবা একটু ঘোড়ার কোন সময় পাইনি। আসলে ডাক্তারের কাছে আসলে এসব কথা চিন্তাই করা যায় না। তারপরও শেষবারের মতো যেতে এসেছি তাই সময় পেয়ে আর এই হাতছাড়াটা করলাম না।
আমার সাথে যে ছিল সে বলেছিল যে এই জায়গাটায় নাকি বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া হয়ে থাকে। এই জায়গাটি হল মজমপুর গেটের বাম হাতে একটি খাবারের হোটেল। যদি এর আগেও আমি খেয়ে সেখানে কিন্তু অনেকদিন না খাওয়ার কারণে খুব একটা বেশি জানা ছিল না। আমার সাথে জেনে ছিলেন তাকে বলছিলাম কি খাবে সে বলেছিল কাচ্চি বিরানী খামু। বলার সাথে সাথে অর্ডার করে দিলাম। বাবু পরিবেশটা বেশ ভালো খাওয়ার পরিবেশটা হতেও বেশ ভালো হবে। যতটা ভাবছিলাম ততটা না। খাবারের মান খুব একটা ভাল ছিল না। তারপরও যখন ক্ষুধা লেগেছে তখন সামনে যা পায় তাই মনে হয় যে অনেক ভালো। সময় না বাড়িয়ে ঝটপট খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। খাবারের টেস্ট খুব একটা ভালো ছিল না। কিন্তু সত্যি বলতে এতটাই ক্ষুধা লেগেছিল সেটাই মনে ছিল অনেক স্বাদের খাবার। এর আগে অনেক চিকেন বিরানি খেয়েছি কিন্তু আজকের চিকেন বিরানি টা মোটেও ভালো ছিল না। একটা আলাদা যে ঘ্রান একটা সুস্বাদু ভাব থাকে সেই জিনিসটাই পেয়েছিলাম না।
আমি বরাবরই মিষ্টি খেতে অনেক পছন্দ করি। ভালো মিষ্টি খেতে তো আরো বেশি ভালো লাগে। আপনার এখানে দেখতে পাচ্ছেন বেশ কিছু মিষ্টি সাজানো রয়েছে। সামনে যে মিষ্টিটা দেখতে পারছেন এই মিষ্টিটার নাম অবশ্য আমার এই মুহূর্তে মনে আসছে না। সে বলে না আশ্বাসী করে মনে আসতেছে না। এর আগে বহুবার এই মিষ্টিটা আমি খেয়েছি। এই মিষ্টিটা পুরোটাই দুধের ছানা দিয়ে তৈরি। এ মিষ্টি কিন্তু খুব বেশি খাওয়া যায় না একটু বেশি খেলে মুখটা মনে হয় যেন মরে গেছে। যে তো খাবো তখন কম খাওয়া দরকার কি বেশ কিছু মিষ্টি কিনে নিলাম। ঝাল জাতীয় কোন কিছু খাওয়ার পরে মিষ্টি খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যেহেতু এটি দুধের তৈরি তা আমার পাশে জেনে ছিলেন তিনি দুধের মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন না তাই তিনি একটু মিষ্টি খেয়েছিলেন না। আমার কোন দেখাদেখি নেই যেটা পারে সেটাই খেয়ে বসে থাকি। তাই ঝটপট কিছু মিষ্টি খেয়ে নিলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার পাশে দেখলাম একটা চাচু বাদাম বিক্রি করছে। বাদাম খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর বাদাম গুলো দেখতে এতটাই সুন্দর লাগছিল না কিনে পারলাম না। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম অনেক বেশি বাদাম একশত গ্রাম বাদামের দাম ত্রিশ টাকা। তবে কিছু বাদাম রয়েছে দাম থাকলেও জিনিস ভালো হয় না কিন্তু এই চাচার বাদাম গুলো খুবই সুন্দর ছিল খেতেও ভীষণ ভালো লাগছিল। বাদামগুলো সুন্দর ছিল বলে বেশ কিছু বাদাম কিনে নিলাম। যেহেতু রাস্তায় হাত থাকতে যাব তাই হাঁটার সময় বাদাম খেলে তো বেশ ভালই লাগে। সব মিলিয়ে শেষের দিন যখন কুষ্টিয়াতে গেছিলাম বেশ ভালো আনন্দ করেছিলাম। যেহেতু সময় পেয়েছিলাম তাই একটু আশেপাশে ঘোরাঘুরি করেছিলাম সব মিলিয়ে বেশ ভালো একটা দিন কাটিয়েছিলাম ঐদিন। কাজের মধ্যে ডুবে থাকে তার পাশাপাশি মানুষের কিছু বিনোদন এবং খাওয়া-দাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে যেটা মানুষকে আরও বেশি উৎফুল্ল করে।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/gazed.unregulated.rebranded |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
কাজের ফাঁকে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। খাবার গ্রহণ করার শেষে আবার দেখছি বাদামও খেয়েছেন। আপনার মত আমারও বাদাম খেতে খুবই ভালো লাগে। বাদাম গুলো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।
আসার সময় বাদাম দেখে খুব ভালো লাগলো। বাদাম গুলো বেশ সুন্দর তাই একটু কিনে নিলাম। বাদাম আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার।
https://twitter.com/ABashar45/status/1740559014747128104?t=F5ENFIuVqOmhiimexpukQw&s=19
আসলে কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলে তখন ঘুরাঘুরি বা খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক ভালই লাগে। আর সত্যি বলতে খিদা লাগলে ভালো থাকা যায় না।খিদার জ্বালা আসলেই অনেক মারাত্মক। তাই যখন খিদা লাগবে তখন আগে পেট শান্তি করতে হবে। সর্বোপরি চিকেন বিরিয়ানি আমার খুব পছন্দের। তবে হ্যাঁ এটা ঠিক সবসময় একই মানেরতো আর হয় না, তাই হয়তো আপনার কাছে এবারে চিকেন বিরিয়ানি ভালো লাগেনি। আর বাদাম কিনতে গিয়ে যে দামের কথা বললেন দাম তো আসলে বাংলাদেশের সব কিছুতে এখন ভরপুর। বেশ ভালো ছিল ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান সময় মানুষ এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে নিজের শখ গুলো মেটানোর মত সেই সময়টাও নেই। এরপর সময়ের মাঝখান দিয়ে কিছুটা সময় যদি একটু নিজের মতো করে কাটানো যায় তাহলে বেশ ভালই লাগে। ক্ষুধা লাগলে কোন কিছুই ভালো লাগে না। খিদা হলো সব থেকেও বড় জালা। ধন্যবাদ ভাই সন্তোষ মন্তব্য করার জন্য।
কাজের পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া করলে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেকবার এসেছিলেন কিন্তু কখনোই খাওয়া দাওয়া করা হয়নি জেনে খারাপ লেগেছে। আপনার সাথে যে ছিল তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন খাওয়া-দাওয়া করবে কিনা। ভাবনা চিন্তা করার পর তিনিও বলেছিলেন খাবে। তারপরে দেখছি দুজনে মিলে খুব ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন। পরবর্তীতে আবার মিষ্টি এবং বাদামও খেয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্ত খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছি।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আমার ভুলগুলো ধরে দেয়ার জন্য। আপনি বেশ ভালো মন্তব্য করেছেন আপনার মন্তব্য সত্যি আমি অনেক খুশি ধন্যবাদ।
কাজের ফাঁকে খাওয়া দাওয়া করলেন।আপনার মিষ্টি পছন্দ করেন।তাই ঝাল খাওয়ার পর মিষ্টি খেয়ে নিলেন।কিন্তু আপনার সাথে যিনি ছিলেন তিনি মিষ্টি খান না।কুষ্টিয়া শহরে ঘুরেছেন তাই ভালো লাগছিল আপনার।রাস্তার পাশ থেকে কিছু বাদাম ও কিনে নিলেন।সব মিলিয়ে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলা থেকে আমি মিষ্টি অনেক পছন্দ করি। এখন পর্যন্ত কোন কিছু খাওয়ার পরে মিষ্টি না খেলে ভালো লাগে না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কাজের ফাঁকে একটু খাওয়া দাওয়ার কিছু মুহূর্ত। আসলে কুষ্টিয়া মজমপুর গেটের পাশে একটি হোটেল রয়েছে সেখানে বেশ ভালোই খাবারের জিনিস পাওয়া যায় মামা। পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজা করে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন আপনারা। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে সব সময় তো খাওয়া দাওয়া করার সময় হয়েছে না। যখন আমরা কুষ্টিয়াতে যাই আমরা কোন কাজের জন্য যেয়ে থাকি।এরপরও অনেকবার গিয়েছিলাম তাই ভাবলাম আবার খেয়ে আসি।
সব সময় শুধু কাজ করলেই হয় না, কাজের পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়াও করা লাগে। কাচ্চি বিরিয়ানি মিষ্টি এবং বাদাম খেয়েছিলেন আপনি, এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এখন সব জিনিসের দাম অনেক বেশি বাড়তি। আর বাদামের ও ঠিক তেমন। যেরকম ভেবেছিলেন ওই রকম বিরিয়ানিটা না হওয়ার পরেও, যেহেতু বেশি ক্ষুধা লেগেছিল তাই খেয়ে নিয়েছিলেন। ভাই আপনার লেখায় অনেক ভুল রয়েছে ঠিক করে নিবেন।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই সব সময় কাজ করলেই হয় না কাজের পাশে বসে আমাদের খাওয়ার দরকার রয়েছে। তবে বর্তমানে জিনিসের যে পরিমাণ দাম ইচ্ছা করলে অনেক কিছু খাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা।