জেনারেল রাইটিং :- মানুষের সুখ, এই মানুষেরই মাথাব্যথার কারণ।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো মানুষের সুখ এই মানুষেরই মাথাব্যথার কারণ। আশা করি আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
পৃথিবীর জন্ম লগ্ন থেকে শুরু করে ধ্বংসক্ত পর্যন্ত মানুষের মধ্যে লোভ-লালসা আসা ভরসা সবকিছুই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষ সত্যিই একটা আজব সৃষ্টি। মানুষ সুখের জন্য অনেক কিছুই করে। মানুষ সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করে। নিজেকে ভালো থাকার জন্য যা করা দরকার সবকিছুই করে থাকে। তারপরও মানুষকে ভালো থাকে কেউ ভালো থাকার চেষ্টা করে আবার কেউ ভালো না থেকেও অভিনয় করে যাচ্ছে। আগেই বলেছি মানুষ সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করে আর এটাই হচ্ছে মানুষের জন্মগত অভ্যাস। যদিও মানুষের সৃষ্টির সময় এমন ছিল না কিন্তু আস্তে আস্তে তারা একত্রিত বসবাস করে আসছে। সমাজে নানা ধরনের মানুষ বসবাস করে এর মধ্যে কেউ সুখে থাকে কেউ কষ্টে থাকে কেউ আবার সুখে থাকার জন্য কল্পনা করে। আমাদের সমাজের কথা তো বাদই দিলাম ঘরের মানুষের কথাই দিয়েই শুরু করি। পরিবারের বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। এইসব মানুষের মধ্যে কেউ ভালো থাকে কেউ খারাপ অবস্থায় থাকে। কেউ খারাপ অবস্থা থেকেও আল্লাহ শুকরিয়া আদায় করে কেউ ভালো থাকা শর্তেও এই শুকরিয়া আদায় করে না। আবার কেউ কেউ না বুঝে শুকরিয়া আদায় করে।
প্রতিটা পরিবারে কিছু হিংসুটে মানুষ থাকে, এই মানুষগুলো নিজেও ভালো থাকে না অন্যদেরকে ভালো রাখার চেষ্টা করেনা। তাদের মানসিকতা এমন থাকে যে আমি সবসময় অন্যের মানুষের দেখতে পারবে না তারা তাদের কোন ভালো কথাকে তারা গ্রাহ্য করবে না। সব সময় নিজের মতন করে চলাটাই তারা বেশি ভালো মনে করে। অবশ্য দিন শেষে তারা কিন্তু ঠকে যায়। আসলে মানুষের চিন্তাধারা বিভিন্ন ধরনের। একটা উদাহরণ দিলে ভালো বুঝতে পারবেন যারা ফ্লাট বাড়িতে বাসা ভাড়ায় থাকেন তাদের মধ্যে এ ধরনের ঘটনাগুলো খুব বেশি ঘটে। তারপরও বলতে হয় গ্রাম অঞ্চলে এগুলো এখন বেশ জমজমাট। দেখবেন পাশের রুমের একটা মানুষ যদি ভালো থাকে তার পাশের ঘর রুমের যারা থাকে তাদের মধ্যে কারো না কারো দেখবেন মাথা ব্যথার কারণ থাকে। সব সময় তার মধ্যে ঈর্ষান্বিত কাজ করে। এমন নই যে সে খারাপ থাকে সেও ভালো থাকে কিন্তু এটা তার স্বভাবগত অভ্যাস। এইসব মানুষগুলো কিন্তু কখনোই ভালো থাকতে পারে না। তারা সংসার জীবনেও উন্নতি করতে পারে না এবং স্বামীর আনুগত্য প্রকাশ করতে পারে না। স্বামীর আনুগত্য কিভাবে প্রকাশ করবে তার স্বামী যদি তাকে অহরহ দেয় তারপরও সে শুকরিয়া আদায় করবে না। প্রতিটা মানুষ সুখের আশায় অনেক কিছুই করে থাকে। তবে যখন সুখটা সামনে আসে তখন দুঃখগুলা থাকে না। তবে এই সুখটা পেতে হলে তাকে অনেক কষ্টের পথ পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু দিনশেষে কিছু হিংসুক মানুষ তাদেরকেই ঈশ্বর্বিত করে এবং তাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়।
আমাদের সমাজে এ ধরনের মানুষগুলো অনেক দেখা যায় যারা অন্যের সুখ সহ্য করতে পারে না। যখন অন্যের সুখ সহ্য করতে পারে না তখন তারা নানা ধরনের হিংসুটে মনোভাব চালায়। তবে ওইসব মানুষগুলো জানে না যে হিংসা করলে তাকে নিচে নামানো যায় না। আল্লাহ যাকে উপরে উঠাবে তাকে নিচে নামানোর শক্তি কারণ নেই। হয়তো বা কি হতে পারে কিছু সময়ের জন্য কষ্ট হতে পারে। কিন্তু দিনশেষে ওই ব্যক্তির থেকে সে অবশ্যই ভালো থাকবে। একটা বিষয় ঐসব মানুষগুলো জানে না যে মানুষের হিংসা করলে তার জন্য আরো ভালো। অর্থাৎ আপনি যার প্রতি হিংসা করবেন আল্লাহ তার প্রতি আরো বরকত দিবে। আমাদের সমাজে এখন এই ধরনের মানুষ দিন দিন বেড়েই চলেছে বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে প্রবণতা বেশি। দেখবেন অন্যের সুখ কখনোই তারা সহ্য করতে পারে না। কেউ যদি ভালো থাকে তাহলে দেখবেন তারা এ পাড়ায় ও পাড়ায় গিয়ে তার সম্বন্ধে নানা ধরনের কথা ছড়াবে। কিন্তু ওই মূর্খ মানুষগুলো বোঝেনা এটা তার জন্যই বিপদ ডেকে আনবে। অনেক সময় এই সমস্ত মানুষের জন্য পারিবারিকভাবেও বেশ ঝামেলায় পড়ে যায়। যদিও এটা খুব বেশিদিন সমস্যা করতে পারে না তারপরও মানুষ মাঝখানে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে।
বর্তমান সময়ে শহর অঞ্চলে কেমন জানি না তবে গ্রাম অঞ্চলের এই প্রভাবটা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কখনো যদি কোন পরিবারের মানুষ সুখে থাকে তাহলে দেখবেন পাশের বাড়ির মানুষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে কিছু প্রশ্ন জাগে তারা কেন ভালো থাকবে কি করে ভাল থাকল কেন এমন হলো। এ ধরনের খারাপ চিন্তাধারা না থেকে যদি মনে করে যে তারা ভালো থাকতে পারছে আমরাও ভালো থাকবো তাদের কাছ থেকে আমরা এটা জানবো কিভাবে তারা ভালো থাকে। পজেটিভ মানসিকতায় না চলে সব সময় তারা নেগেটিভ মানসিকতায় চলে আর এর ফলে তারা সংসারের সুখ লাভ করতে পারে না। তাই আমাদের উচিত কোন মানুষের সুখ দেখে কষ্ট না পেয়ে আরো উৎসাহিত হওয়া উচিত তাদের দেখে। এবং কিভাবে ভালো থাকা যায় সে সম্পর্কে পরামর্শ নেওয়া উচিত আর এটাই হলো মানুষের চরিত্র।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সমাজে এমন মানুষ অনেক আছে ভাইয়া যারা অন্যের সুখ দেখলে নিজে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অন্যের ভালো দেখলে তারা জ্বলে পুড়ে মরে। অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আমাদের সামনে এসেছেন। বেশ ভালো লাগলো পড়ে।
চেষ্টা করেছি বিষয়টা সুন্দর ভাবে লিখে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা অন্যের সুখ সহ্য করতে পারে না। অন্যের সুখ দেখলে তাদের শরীর জ্বলে শুধু। আর অন্যের দুঃখ দেখলে তারা একটু বেশি খুশি হয়ে যায়। একেবারে বাস্তবিক একটা বিষয় নিয়ে পোস্টটা লিখলেন। এ বিষয়টা আমার কাছে ভালো লেগেছে। পোষ্টের মধ্যে অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন।
এ ধরনের মানুষের সংখ্যা এখন বেশি। তবে এটা বলতে পারেন এক ধরনের মানসিক রোগ। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
কথায় আছে --কেউ কারো সুখ দেখতে পারে না আবার সুখে থাকতে ভুতে কিলায়।আসলে কেউ সুখে জীবন যাপন করলে অন্য মানুষ তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে আবার নিজের সুখ কেউ নিজে থেকেই হারিয়ে ফেলে।আপনার উপস্থাপনাটি ভালো ছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।
এমনটা মানুষের চরিত্র হওয়া উচিত না। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অন্যের সুখে কিছু কিছু মানুষের অনেক বেশি এলার্জি। অন্যের সুখ দেখলে মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায় তাদের। অন্যের সুখে খুশি হওয়া দরকার। অন্যের সুখ যারা দেখতে পারেনা তারা খুবই খারাপ মনের হয়। তারা চায় শুধু নিজেরাই ভালো থাকতে। আর অন্যকে বিপদে দেখতে। আপনার লেখাগুলো খুব ভালো লেগেছে।
জি ভাই ঠিক বলেছেন অন্যের সুখ দেখলে অনেক মানুষের এলার্জি ধরে।