রেসিপি :- আপেল কাস্টার্ড রান্নার রেসিপি।
আপেল কাস্টার্ড রান্নার তৈরি রেসিপি। |
---|
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি। আজকে আমি পুনরায় আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। যেহেতু বরাবর আমি মিষ্টি খেতে পছন্দ করি। আর তাই আমি আমার নিজের হাতে আপেল কাস্টার্ড রান্না করেছিলাম। খেতে বেশ দারুণ হয়েছিল। আচ্ছা কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আমার রেসিপি পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ.....
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
আপেল | দুই টি। |
তরল দুধ | হাফ লিটার। |
কাস্টার্ড পাউডার | দুই টেবিল চামচ। |
চিনি | পরিমাণ মতো। |
ডিম | এক টি। |
এটি তৈরি করতে আমি একটি পাত্রে আধা কেজি তরল দুধ নিয়েছি। এখন এই দুধ গরম করার জন্য চুলার উপরে বসিয়ে দিয়েছি। এরপর কিছু সময় ধরে অপেক্ষা করেছি। এভাবে প্রায় দশ মিনিট ধরে দুধ গরম করেছি। দুধ ফুটিয়ে কিছুটা ঘন করে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিয়েছি।
এবার একটি ডিমের সাদা অংশ ফেলে কুসুম নিয়েছি। যেহেতু কুসুম সরাসরি গরম দুধের মধ্যে দিলে এটি জমাট হয়ে যাবে, তাই কুসুমটিকে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়েছি। কুসুমটিকে ভালোভাবে ফেটানোর জন্য এর মধ্যে অল্প অল্প করে দুধ মিশিয়ে নিয়েছি।
এবার এখানে দুই টেবিল চামচ কাস্টার্ড পাউডার নিয়েছি। কাস্টার্ড পাউডার সরাসরি দুধের মধ্যে দিয়ে জাল দিলে এটি জমাট হয়ে যায়। তাই এটি অল্প অল্প দুধ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
আগে থেকে গরম করা দুধের পাত্রটি আবার চুলার উপর বসিয়ে নিয়েছি। এবার এর মধ্যে ফাটানো ডিমের কুসুমটি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। ডিমের কুসুমটি মেশানোর সময় চুলার জাল বন্ধ রেখেছিলাম।
ডিমের কুসুম মেশানো হয়ে গেলে দুধ কিছুক্ষণের জন্য জাল দিয়ে এর মধ্যে মেশানো কাস্টার্ড পাউডার মিশিয়ে নিয়েছি।
অল্প তাপে এটি কিছুক্ষণ আবার ফুটিয়ে নিয়েছি।
এটি কিছুটা ঘন হয়ে আসলে এর মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে নিয়েছি। চিনি দেওয়ার পর এটি আবারও কিছুক্ষণ জালিয়ে নিয়েছি।
কাস্টার্ড ঘন হয়ে এলে এটি চুলা থেকে নামিয়ে কুচি করা আপেলের মধ্যে ঢেলে মিশিয়ে নিয়েছি।
এরপরে এটি তৈরি করা সম্পূর্ণ হলে কিছুক্ষণ ধরে বাইরে রেখে দিয়েছিলাম, যতক্ষণ ঠান্ডা না হয়। ঠান্ডা হওয়ার পরে এটি ফ্রিজে নরমালে রেখেছিলাম। এক ঘন্টা রাখার পরে খাবারের জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়েছে। আর এভাবে আমি আপেলের কাস্টার্ড তৈরি করেছি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফি | রেসিপি। |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিয়ে গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে, গান গাইতে, কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপেল কাস্টার্ড রান্নার রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তবে এই রেসিপি আমার একদম নতুন লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ারের মাধ্যমে শিখতে পারলাম
নতুন মনে হলে একদিন তৈরি করে খাবেন ভাই খুব সুস্বাদু একটি খাবার।
https://twitter.com/ABashar45/status/1676498305298337792?t=KtH0G-yTeLyfDnwWbnFytA&s=19
ভাই, ঠান্ডা ঠান্ডা কাস্টার্ড খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে আমার বাসায় বেশিরভাগ সময় কাস্টার্ড তৈরি করলে বেশ কয়েক রকমের ফল এই যেমন কলা, আপেল, বেদানা সহ মিক্সড করে তৈরি করা হয়। যাইহোক ভাই, আপেল কাস্টার্ডও খেতে মন্দ লাগে না। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, আপেল কাস্টার্ড তৈরির প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য।
এটা কোন ঠিক বলেছেন কলা আপেল বেদানা একত্রে মিক্স করে খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে। আমি একটু আলাদাভাবেই তৈরি করে খেলাম ভাই।
আপেল কাস্টার্ড রেসিপি দারুন হয়েছে। যে কোন ফল দিয়ে কাস্টার্ড তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। পুষ্টিকর একটি খাবারের রেসিপি তৈরি করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে ভাইয়া। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন আসলে এসব খাবার গুলো লোভনীয়। দেখলেই শুধু খেতে ইচ্ছে করে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
কাস্টার্ড আমার খুব পছন্দ। যেকোনো ফল কেটে নিয়েই কাস্টার্ড বানানো যায়।আর খেতে ভিষণ মজার হয়।আপনি আজ আপেল দিয়ে কাস্টার্ড রেসিপি শেয়ার করলেন। খুব ভালো লাগলো। মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।কাস্টার্ড ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে খুব মজার।
আপু এটি তৈরি করার পরে খেতে দারুন লাগছিল। আপনি যে একটি পছন্দ করেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপেল কাস্টার্ড কখনো খাওয়া হয়নি আপনার ঘর রেসিপিটির মাধ্যমে ধাপে ধাপে শিখে নিলাম। আপেল এর কাস্টার্ড ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করলে মনে হচ্ছে খেতে একটু বেশি ভালো লাগবে।
আপু এটা ফ্রিজে ঠান্ডা করে নেয়ার পরেই খাওয়া হয়েছে।
বাহ্ আপনি খুব সুন্দর একটি কাস্টার্ড রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।রেসিপি দেখেই বুঝতে পারলাম বেশ মজা করেই খেয়েছিলেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপন ঠিকই বলেছেন আপু খুব মজা করে খেয়েছিলাম।
আপনি অনেক সুন্দর করে আপেল কাস্টার্ড রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটা দেখে মনে হয় বেশ সুস্বাদু একটি রেসিপি হয়েছে। এই ধরনের রেসিপি আমি প্রথম দেখলাম। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপি রান্নার প্রনালী আমাদের মাঝে বর্ননা করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
ভাই যদি এটি আপনি প্রথম দেখে থাকেন তাহলে একদিন বাসায় তৈরি করে খাবেন ভাই খুবই সুস্বাদু একটি খাবার।
ওকে ভাই, একদিন আসবো ইনশাআল্লাহ।
আপেল কাস্টার্ড রেসিপি টি আমার অনেক ভালো লেগেছে দেখে।কারণ আপেল কাস্টার্ড খুবই দারুণ ও পুষ্টিকর রেসিপি। এ ধরনের রেসিপি সবার জন্যই উপকারী।অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি টি তৈরি করে দেখিয়েছেন।
আমার তৈরি রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে দেখে এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
বাহ্! দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন তো ভাই। আপেল কাস্টার্ড রান্নার রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতেও মনে হচ্ছে দারুণ হয়েছে। এই রেসিপিটা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থ্যসম্মতও বটে। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই এই খাবারটি আসলে খুবই স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিকর।