রেসিপি পোস্ট:-ডিম ও আলু ভর্তার সুস্বাদু রেসিপি।
ডিম ও আলু ভর্তার সুস্বাদু রেসিপি। |
---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। এই সপ্তাহে আমি খুব চমৎকার একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমি রেসিপি যে পোস্ট গুলো করে থাকি এই রেসিপি গুলো নিজের হাতে তৈরি করে থাকি। আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়। এই রেসিপিটি আমি নিজে হাতে তৈরি করেছি। রেসিপিটি তৈরি করার সময় ফটোগ্রাফি করার জন্য একটা মানুষের প্রয়োজন হয়।রান্না করার পাশাপাশি একলা ফটোগ্রাফি করাটা একটু সমস্যা হয়ে যায়। আমি চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ দিয়ে এই রেসিপি তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার তৈরি রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকে আমার নিজ হাতে তৈরি রেসিপি।
ক্রমিক নম্বর | পরিমাণ |
---|---|
১। | ডিম চারটা। |
২। | আলু চারটা। |
৩ | কাঁচা মরিচ |
৪। | পেঁয়াজ |
৫। | শুকনো মরিচ |
৬। | সয়াবিন তেল |
৭। | দারচিনি |
৮। | এলাচি |
এই রেসিপিটি তৈরি করার প্রথমে আমি একটি গামলা নিয়েছি। এই গামলার মধ্যে ডিম এবং আলু কারেন্টের চুলার সাহায্যে সিদ্ধ করে নিয়েছি। খেয়াল রাখতে হবে আলু যেন খুব ভালোভাবে সিদ্ধ হয়।
আলু গুলো সিদ্ধ হওয়ার পরে আমি একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি। এরপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে আলু গুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি। আলু গুলো ঠান্ডা হওয়ার পরে আমি চামচের সাহায্যে এগুলোকে ভর্তা করে নিয়েছি।
এই ধাপে আমি যে ডিম গুলো সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম ঐই ডিম গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছে এবং ডিম গুলোকে ছুরির সাহায্যে কেটে পিস পিস করে নিয়েছি।
এই ধাপে আমি চুলার উপর একটি কড়া বসিয়ে নিয়েছি। এবং কড়ার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল ঢেলে দিয়েছি। এখানে আমি সয়াবিন তেল ব্যবহার করেছি।
তেল গরম হওয়ার পরে আমি কেটে নেয়া পেঁয়াজের কুচিগুলো ঢেলে দিয়েছি। এরপরে কিছু সময় ধরে পেঁয়াজ গুলো আমি ভেজে নিয়েছি।
এরপরের পেঁয়াজের মধ্যে আমি কাঁচা মরিচ প্রথমে ঢেলে নিয়েছি। এরপর একটু নাড়িয়ে নিয়েছি। তারপরে আমি শুকনো মরিচ গুঁড়ো করে রেখেছিলাম সেগুলো এর মধ্যে ঢেলে দিয়েছে এবং সুন্দর মত করে মিক্সড করে নিয়েছি।
আমি আলু ভর্তা করে রেখেছিলাম সেই ভর্তা করা আলু গুলো এই মধ্যে ঢেলে দিয়েছে। এবং সুন্দর করে এর মধ্যে মিক্সড করে নিয়েছি এবং এগুলোকে হাতের সাহায্য গোল করে চ্যাপ্টা করে রেখেছি।
চ্যাপ্টা আলুর ভর্তা গুলোর উপরে কেটে রাখার ডিম গুলোকে একটা একটা করে সাজিয়ে দিয়েছি। এবং আরো কিছু আলু ভর্তা নিয়ে এগুলোকে ঢেকে দিয়েছি।
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল ডিম আলু ভর্তা রেসিপি। আপনি যদি মনে করেন এগুলোকে তেলে ভেজে খাবেন তাও খেতে পারেন। আবার যদি মনে করেন যে এভাবেই আপনি গরম ভাতের সাথে খাবেন তাও আপনি খেতে পারেন। আমার কাছে তেলে ভাজার থেকে এভাবে খেতে ভালো লাগে তাই আমি এভাবেই রেখেছিলাম।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফি | ডিম ও আলু ভর্তার রেসিপি। |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ডিম ও আলু একত্রিত ভাবে ভর্তা করার দারুন পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই ধরনের রেসিপিগুলো গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Twitter Link
আলু ভর্তা এমনিতে আমার অনেক প্রিয়। আর সেই সাথে ডিম দিয়ে আলু ভর্তা করলে, সাথে একটু ডাল থাকলে তো কথাই নেই।তখন আর কোন তরকারি এর প্রয়োজন মনে করি না। যাইহোক খুব ভালো লাগলো আপনার এই রেসিপিটি দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
ভাই আমিও আপনার মত আলু ভর্তা সাথে যদি পাতলা ডাউল থাকে তাহলে আর কোন তরকারি দরকার হয় না। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মাঝে মাঝেই এরকম ভাবে ডিম আলু দিয়ে ভর্তা খাওয়া হয়।
এ ধরনের রেসিপি আমার খুবই ফেভারিট আর যদি শুকনা মরিচ থাকে তাহলে তো আরো বেশি মজা হয় খেতে হবে।
আপনার প্রস্তুত করা মজাদার ভর্তা দেখেই লো হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।
শুকনো মরিচ দিয়ে ডাল অথবা আলু কিংবা ডিম ভর্তা করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আসলে শুকনো মরিচ দিয়ে ভর্তা কারলে একটা আলাদা ঘ্রাণ বের হয়। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
এই খাবারটি আমার ভীষণ পছন্দের। আমি যখন মেসে ছিলাম তখন এধরনের খাবার বেশি তৈরি করে খেতাম। তবে আপনার ভর্তার ধরন একটু আলাদা। আর নিজের হাতে তৈরি রেসিপি উপস্থাপন করলে সেটা সুস্বাদু না হয়ে কই যায় বলুন। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার রেসিপি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভাই মাঝে মধ্যে একটু নিজের হাতের রান্না করার চেষ্টা করে থাকি। যদিও মোটামুটি অনেক রান্না করতে পারি আমি। আলু ও ডিম ভর্তা করে পাতলা ডাল দিয়ে খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আপনি খুব লোভনীয় একটি ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু এই রেসিপি তৈরি করাটা খুবই সহজ। আবার এই রেসিপিটা খেতেও খুব টেস্টি। আশা করি আপনি একদিন নিজের বাসায় তৈরি করে খাবেন আপু। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাই, আপনার তৈরি ডিম ও আলু ভর্তার সুস্বাদু রেসিপি দেখে আমার তো এক্ষুনি খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। কেননা ডিম ও আলু একসঙ্গে ভর্তা করে খেতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। তবে আপনার রন্ধন প্রণালী, আমার রন্ধন প্রণালী থেকে কিছুটা ভিন্ন। গরম গরম ভাতের সাথে এমন মজার ভর্তা খেতে দারুন স্বাদ পাওয়া যায়। আর তাই মাঝে মাঝে আমার বাসাতেও এমন ডিম ও আলু ভর্তার সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করা হয়। যাইহোক ভাই, আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এটা আপনি ঠিক বলেছেন ভাই আলু ভর্তা সাথে ডিম গরম ভাতের সাথে খেতে ভীষণ মজা। আর এই রকম তরকারি দিয়ে ভাত খেয়েও বেশ শান্তি লাগে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
ডিম ও আলু ভর্তা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এই রেসিপি আমার খুবই প্রিয়। তাই আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে ভালো লাগলো।
আমারও অনেক প্রিয় ভাই। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
ভাই ডিম আর আলু একসাথে ভর্তা করে বেশ সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। এই খাবারটি তো আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি রেসিপি ধাপে ধাপে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার মত আমিও এই খাবারটি খুবই পছন্দ করি তাই মাঝেমধ্যে বাড়িতে বানিয়ে খাওয়া হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না। দারুণ একটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করলেন আপনি। সত্যি বলতে এ ধরনের ঝাল ঝাল ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। যদিও আপনি ডিম এবং আলু মিক্স করে ভর্তা করলেন। খেতে অবশ্যই সুস্বাদু হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভর্তা জাতীয় কোন কিছু দিয়ে ভাত খেলে পেটে ভরে খাওয়া হয়। আলু ভর্তার সাথে ডিম আমার খুবই প্রিয় একটি তরকারি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।