জেনারেল রাইটিং :-অসৎ পথের উপার্জন জীবন দশায় শেষ।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো অসৎ পাথের উপার্জন জীবন দশায় শেষ। আশা করি আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
জীবনে বাঁচতে হলে টাকার প্রয়োজন রয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষ সম্পদ ব্যতীত বা টাকা ব্যতীত কেউই চলতে পারে না। মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই সম্পদ বা টাকার পিছনে ছুটে চলেছে। নিজের পরিবার সন্তান বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন এবং নিজের ভরণ পোষণ করার জন্য সত্যিই প্রত্যেকটা মানুষের প্রচুর পরিমাণ টাকার প্রয়োজন রয়েছে বর্তমান সময়ে। টাকা না থাকলে মানুষ মূল্যহীন মানুষের সমাজে কোন তার দাম নেই। আর এই টাকার পিছনে ছুটতে গিয়ে মানুষ নিজের জীবনটা শেষ করে দিচ্ছে। মানুষ এমন একটা অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে হারাম হালাল দেখাদেখি নাই যেভাবেই হোক সম্পদ তৈরি করতে হবে। সম্পদের নেশায় মানুষ অন্য এভাবেও টাকা উপার্জন করে যাচ্ছে। যারা অর্থ-সম্পদ অসৎ পথে উপার্জন করে দেখবেন তাদের এই অর্থ সম্পদ তাদের জীবন দশায় শেষ হয়ে যায়। অসৎ পথের কোন সম্পদ অর্থই মানুষের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তাই কমবেশি যাইহোক সম্পদ এবং অর্থগুলো সৎ পথে ইনকাম করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ ।
আমার জীবন দশায় আমি বেশ কিছু মানুষের এমন প্রমাণ পেয়েছি যারা অর্থ-সম্পদ গুলো অসৎ পথে তৈরি করেছে এবং একটা সময় এই সম্পদ গুলো নিজের দাড়াই হোক আর তার সন্তানের ধারাই হোক সেগুলো শেষ হয়ে গেছে। প্রত্যেকটা মানুষকে মরণের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে আর এই মরণ কাউকে ছেড়ে যাবে না। আপনি আপনার পরিবার সন্তানের জন্য আপনি পৃথিবীতে অধর সম্পদ রেখে যাচ্ছেন কিন্তু একটাবারও আপনি ভেবে দেখেছেন এই সম্পদ আপনি নিয়ে যেতে পারবেন না। হয়তো এই সম্পদ তৈরি করতে গিয়ে আপনি কত মানুষের হক নষ্ট করেছেন কত মানুষের বুকে কতভাবে আঘাত করেছেন এবং সম্পদ তৈরি করেছেন অট্টলিকা তৈরি করেছেন। কিন্তু সাড়ে তিন হাত মাটি আপনাকে বারবার ডাকছে এটা আপনি কখনো ভেবে দেখেন নাই । অর্থ সম্পদ মানুষের মান সম্মান তৈরি করে এটা যেমন ঠিক ঠিক তেমনি অসৎ পথে সম্পদ গুলো আপনাকে একটা সময় মাটির মধ্যে মিশিয়ে দেবে আপনার মান সম্মান। একজন ব্যক্তির উদাহরণ দিই তিনি কিন্তু একজন আইনজীবী তার প্রচুর সম্পদ আছে কিন্তু তার সম্পদ গুলো ছিল অবৈধ বেআইনিভাবে সে সম্পদ অর্জন করেছিল কিন্তু একটা সময় যখন সে আইনের হাতে ধরা পড়ে তখন তার পুত্র সন্তানগুলো বিদেশে আরাম আয়েশ করছে কিন্তু সে জেলের মধ্যে। তিলে তিলে সে তার মান সম্মান তৈরি করেছিল টাকার মধ্যে দিয়ে কিন্তু সে আজকে মানুষের কাছে লাঞ্ছিত হচ্ছে। শেষই কখনো ভেবেছিল তার জীবন দশায় তার এমন একটা সম্মুখীন হতে হবে। আজকে যদি সে অর্থগুলো সৎ পথে আয় করত তাহলে সে মাথা উঁচু করে সমাজের বুকে দাঁড়াতে পারতো।
বর্তমান সময়ে মানুষের লক্ষ্য থাকে সম্পদ অর্জন করা আর এই সম্পর্কটা কিভাবে বর্জন করবে তার কোন দিকবেদিক নেই। অবৈধভাবে ঘুষ সুদ নিয়ে তারা সম্পদ বাড়ছে। সম্পদের পাহাড় দেখে সে হয়তো বা মনে করছে কোনদিন তার এই সম্পদ শেষ হবে না। কিন্তু একটা পর্যায়ে অটল সম্পদের মালিক আহ সত্ত্বেও তার মান সম্মান তার জীবন দশায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার পাশাপাশি একজন রিকশাওয়ালা একজন দিনমজুরি ঠিক সেভাবেই কিন্তু খেটে খেয়ে যাচ্ছে। এইতো বেশ কিছুদিন আগে আমাদের একটা চাচার কথা শুনে বেশ খারাপ লাগলো জানিনা তার সম্পদ গুলো তিনি কিভাবে এত বাড়িয়েছিলেন তবে তিনি বলছিলেন খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে তিনি সম্পদ তৈরি করেছিলেন। সেই সম্পদ গুলো তার সন্তানের জন্য এসে সব সমস্ত সম্পদের হারাতে হয়। এজন্যই আমাদের উচিত আমাদের সম্পদ বাড়াতে হবে কিন্তু সেই সম্পদ গুলো অবশ্যই সৎ পথে থেকেই বাড়াতে হবে। ছোট্ট একটা বিষয়ে বলেন তো যদি আমরা মারা যায় তাহলে সবই পড়ে থাকে। আর সেসব সম্পদ গুলো ভক্ষণ করে অন্যরা কিন্তু নিজে দুনিয়ার বুক থেকে কি নিয়ে যাচ্ছি? আমরা যদি এই ভাবনাটা ভাবতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের জীবন দশায় জীবিকা গুলোর সৎ পথে রোজগার করে নিজের জীবন পরিচালনা করাতাম।
যে সম্পদ চিরস্থায়ী নয় যে সম্পদ মানুষের জীবনের ক্ষতি করে সেই সম্পদের পিছনে অবৈধভাবে ছোটা কখনোই দরকার নেই। আমাদের উচিত যতটুকু পারা যায় সৎ পথে থেকে সুন্দরভাবে জীবন গড়া এবং এভাবেই আমাদের জীবনটাকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। অসৎ পথের কোন কিছুই বেশিদিন টিকে থাকে না তাই সৎ পথে যতটুকু পারা যায় তার মধ্য থেকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে নিজের জীবনটাকে উপভোগ করা। যারা অল্পের মধ্যে তুষ্ট থাকে তাদের জীবনটাই অনেক সুন্দর আর যারা অধিক থাকার সত্ত্বেও যারা খুশি হতে পারে না তাদের জীবনে বেদনাময়।
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://x.com/ABashar45/status/1842360713744154656?t=bWD_KOrim-_1lyuchNcqmw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করলাম। অবৈধ পথে উপার্জন করে কোন লাভ নেই। অবৈধ পথে উপার্জনের টাকা একবারে শেষ হয়ে যায়। আর বাস্তব দেশের অবস্থা দেখে লক্ষ্য রাখলে আমরা সত্যতা প্রমাণ পাই।
দেশের অবস্থার কথা বাদ দেন পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথায় দেখেন। এমন অনেক মানুষ দেখলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া এখানে পথের জায়গায় পাথের হয়ে গিয়েছে। আশা করছি এটা ঠিক করে নেবেন।
আসলে মানুষের জীবনে টাকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অসৎ পথে আয় করা টাকাগুলো মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। আসলেই অসৎ পথে উপার্জন করা কোনো কিছু বেশিদিন থাকে না। আপনি একেবারে শিক্ষণীয় কিছু কথা লিখেছেন এই পোষ্টের মধ্যে, যেটা আমার অনেক ভালো লেগেছে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আরো ধন্যবাদ আমাকে শুদ্ধ করার জন্য।
ভাই আপনার টাইটেলে ভুল আছে, আশা করছি ঠিক করবেন। আপনি একেবারে বাস্তবিক একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন আজকের এই পোস্ট। মানুষ এখন বেশিরভাগই অসৎ পথে উপার্জন করে থাকে, যা ভালোভাবে ভোগ করতে পারে না। কারণ অসৎ পথে অর্জন করা কোনো কিছু ভোগ করা যায় না ভালোভাবে। যে মানুষ সৎ পথে উপার্জন করে, সে অল্পতেই তৃপ্তি পায় ভোগ করে।
জি ভাই সেটা আমি ঠিক করে নিয়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আপনি। আসলে সম্পদ কে কখন কিভাবে বৃদ্ধি করছে কেউ জানুক বা না জানুক একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা জানে। আর অসৎ পথে উপার্জন করলে সে সম্পদ কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এমন একটা সময় আসে এই সম্পদ কাল হয়ে দাঁড়ায়। দেখো অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আপনি লিখেছেন দেখে ভালো লেগেছে আমার।
বর্তমান সময়ে অধিকতার মানুষ অসৎ পথেই আয় করে। তবে সেসব সম্পদ গুলো তাদের জীবন দশায় শেষ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য জন্য।
খুবই সুন্দর একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে আজকে আপনি আপনার এই পোস্ট সাজিয়ে তুলেছেন৷ আসলে আমাদের জীবনে আমরা অনেক সুযোগ পেয়ে থাকি এবং সেই সুযোগের অনেকেই সদ্ব্যবহার করে আবার অনেকেই অসৎ ব্যবহার করে৷ কোন মানুষ অসৎ পন্থা অবলম্বন করে অঢেল সম্পদ তৈরি করে ফেলে একটা সময় সৃষ্টিকর্তাই সেই সম্পদের স্থায়িত্ব আর রাখেন না৷ যেকোনভাবে সেই পুরো সম্পদকে তিনি ধ্বংস করে দেন৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
আসলে ভাই আমরা আমার নিজেদের নফসকে সামলাতে পারেনা যার জন্য আমরা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করে থাকি কিন্তু এটা ভাবি না সেটা আমাদের সাথে যাবে না। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আসলে এরকম ঘটনা আমি অনেক দেখেছি এবং আমাদের চোখের সামনে এরকম অনেক ঘটনাই আমরা দেখছি।