লাইফ স্টাইল :- অনেক রকম মসলা দিয়ে পান খাওয়ার অনুভূতি।

অনেক আগের কথা যখন আমাদের নিজস্বভাবে দোকান ছিল। দোকানে ব্যবসা ছিল অনেক বড়। তাই মাঝেমধ্যে বাবা দোকানের জিনিসপত্র করাই করার জন্য বাইরে যেতো। আর এই সুবাদে প্রায় প্রায় আমার দোকানে বসতে হবে। যেহেতু আমাদের ওই এরিয়ার মধ্যে কয়েকটি দোকান ছিল তার মধ্যে আমাদের একটি। আর আমার আব্বা যেহেতু পান পছন্দ করত তাই পান দোকানে রাখতেই হত। নিয়মিত এভাবে থাকতে থাকতে আমিও যেন একটু পানের উপর আকৃষ্ট হয়ে যায় অর্থাৎ নিয়মিতই পান খেতে শুরু করলাম। এভাবে খেতে খেতে অনেক দিন চলে গেল। একটা সময় নিজে একটু উপলব্ধি করলাম যে পান খেয়ে নিজের সমস্যা হচ্ছে। তাই পান খাওয়াটা ছেড়ে দিলাম। হঠাৎ করে মেলায় গিয়ে দেখি পান। আর এত পরিমাণ মসলা দিয়ে তৈরি যা দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না। আর এই পান খাওয়ার জন্য পানের সেই স্টল এর কাছে গেলাম। কাছে গিয়ে দেখি পান সাজিয়ে রেখেছে দেখতে একটা সুন্দর। মনে মনে ভাবলাম খেতে অনেক মজা লাগবে অবশ্যই।

আপনাদেরকে একটু বলে রাখি আমি মেলায় গিয়েছিলাম আমাদের ছোট ভাই মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে। দুই ভাই পান আলার কাছে এগিয়ে গেলাম। গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ভাই এত ধরনের মসল্লা দিয়ে আপনি পান বিক্রয় করেন। এর আগে অবশ্য খেয়েছি কিন্তু আপনার হাতের পান কেমন লাগবে একটু খেয়ে দেখার দরকার। প্রতিপানের পিস ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। কথায় আছে যে জিনিসের দাম বেশি সেই জিনিসের স্বাদ বেশি। তাই কোন কথা না বাড়িয়ে চল্লিশ টাকা দামের পান নিলাম। আসলে উনাকে নতুন করে পান বানানোর কোন দরকার ছিল না কারণ তিনি পান বানিয়ে সামনে রেখে দিয়েছেন যেটা আগে আপনাদেরকে দেখিয়েছি। তারপরও যখন চাইলাম তখন আর যেন কি কি দিল সেটা আমরা দেখলাম। আসলে এই পানগুলো তো অনেক বড় হয়ে থাকে মুখের ভিতর দিয়ে চাপা দিয়ে একটা কষ্ট। তবে একটা বিষয়ে অনুভব করলাম খাওয়ার সময় যে বেশি মসল্লা দিলে যে পানের স্বাদ থাকে সেটা কিন্তু নয়। কিন্তু তারপরও প্রাণটা বেশ সাথে ছিল কারণ বিভিন্ন মসলা খেতে তো অনেক মজা। সব মিলিয়ে বেশ ভালো অনুভূতি কাজ করছিলাম। তবে মাঝেমধ্যে এ ধরনের ভিন্ন জিনিসগুলো খেতে বেশ ভালই লাগে।

যিনি পান বিক্রয় করছিলেন তিনি পাশে দেখি বিভিন্ন ধরনের সিগারেট বিক্রি করেছেন। যদিও আমি কোন সিগারেট খাই না। কিন্তু তার সিগারেট দেখে মনে হল এতগুলো সিগারেট। সত্যি বলতে এতগুলো সিগারেট আমি কখনো চোখে দেখি নাই। সিগারেটের নাম গুলো ভালোভাবে পড়তেই পারলাম না এতগুলো সিগারেট সাজিয়ে রেখেছে। একবার জিজ্ঞাসা করতে গিয়েছিলাম ভাই এতগুলো সিগারেটের নাম গুলো কি কি একটু বলবেন। জিনিসগুলো বিক্রি করছিলেন তার একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করলাম তিনি বেশ পরিপাটি করে তার জিনিসপত্রগুলো সাজিয়ে রেখেছে। সৌন্দর্য মানুষকে আকর্ষণ করে ব্যবসার সৌন্দর্যের একটা বড় গুন। এত সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে অনেকেই পাশ দিয়ে গেলেও হয় পান নয় সিগারেট খাবেই। তো যাই হোক যেহেতু আমি সিগারেট অর্থাৎ ধূমপান করি না সে তো সিগারেট নেয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না।

এখান থেকে আসার সময় একটু পাশে দেখি নাগরদোলা। যেহেতু অন্ধকার রাতে পাশে একটি বাতি জ্বালছিলো খুব একটা স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছিল না তবে বেশ অবাক লাগছিল। কারণ এই মেলাটি খুব একটা বড় মেলা নয় ছোট্ট একটা মেলা এই মেলাতেও যে নাগরদোলা এসেছে সত্যি এটা ভালো লাগার বিষয়। দেখলাম ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সেখানে চড়ছে। মেলাতে বসেছিল একটা মাঠের মধ্যে। অবশ্যই এই মাঠ কিন্তু ধানের মাঠ। যেহেতু ধান কাটা শেষ তাই মেলাটা বেশ ভালই জমেছে এখানে। আসলে গ্রাম অঞ্চলে অতটা জমজমাট ভাবে মেলা বসে না। শহর অঞ্চলে মেলাগুলো বেশ ভালো লাগে। সেখানে অনেক ভিন্নতা দেখা যায়। আর মানুষে আনাগোনা থেকে অনেক বেশি।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।