হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি।যদিও আসলে ঠান্ডায় গলার অবস্থা বেশি ভালো ছিলো না, শুরুতে সেটাকে তেমন বেশি পাত্তা দেই নি। ফলে যা হওয়ার, আরোও বড় আকারে ঝামেলা তৈরি করেছিলো। দুদিন থেকে গরম জল খেয়ে, গারগিল করে আজ কিছুটা ঠিক এর পথে। যাই হোক, আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আমার আজকের পোষ্ট আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন অবশ্যই... তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
!
ছবিটি discord থেকে নেয়া
আমাদের জীবন আসলে প্রতিনিয়ত ই ছোট ছোট ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়ে যায়। আমরা অনেকেই সেই শিক্ষা গুলো গ্রহণ করা তো দূরের কথা, বুঝতেই পারি না। মানুষের ছোট ছোট জেসচার এর মাধ্যমেও অনেক কিছু শেখার থাকে। আমরা সেগুলো থেকে শেখা তো দূরের কথা, ওই যে বললাম হয় খেয়াল ই করি না নয়তো বুঝতেই পারি না। দেখতে দেখতে যেহেতু বছরের শেষ চলেই আসছে.. দাদার বলা একটা কথা আবারো মাথায় ঘুরছে। দাদা বলেছিলেন, গত বছরে যা যা ভুল আমরা করেছি, তা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি কি না? নাকি সামনের বছরও আবারো আমরা একই ভুল গুলো করবো? যদি এভাবেই বারবার ভুলই করতে থাকি, তবে তো জীবনে এগিয়ে যেতে পারবো না। এবছরটা অনেক গুলো ভুল আমরা করেছি, কিংবা সাক্ষী হয়েছি। সামনে যেনো সে সব ভুলের আর রিপিটেশন না হয়, তা আমাদের সকলেরই খেয়াল রাখা উচিত এবং সচেতন হওয়া উচিত।
যাই হোক, অপ্রাসঙ্গিক বলবো না, তবে অনেক কথা বলে ফেললাম। মূল পোস্ট এ আসি। আমার বাবা -মা এখন বেশ দেশ- বিদেশে ঘুরে ঘুরে বেড়ান। বাবার রিটায়ারমেন্ট এর পর, বিশেষ করে এই ঘুরাঘুরি র ঝোক টা বেড়েছে। আমরা ৩ ভাই বোন তিন দিকে স্যাটেল হয়ে গিয়েছি মোটামুটি। বাবা- মা একাই থাকেন। কখনো রংপুরের বাসায় কখনো বা গ্রামের বাড়িতে সময় কাটান। এরই মাঝে মাঝে দেশ বিদেশে ঘুরোঘুরি চলে। যেমন গত পরশুদিন, ডিসেম্বর এর ০৪ তারিখে তারা গিয়েছেন শ্রীলঙ্কায়। সেখানে মোট আট দিনের প্ল্যান তাদের। আমার বাবা মা আর সাথে আরো একটি কাপল চার জন একসাথে গিয়েছেন। আজকে সকালের ঘটনা, বাবাকে ভিডিও কলে কল দিয়েছি হোয়াটস এপ এ। তারা তখন ডাইনিং এ বুফে ব্রেকফাস্ট করছিলো। আজকে কোথায় কোথায় যাবে, সেই বিষয় এই জিজ্ঞেস করছিলাম আমি। আমার বাবার ভয়েস আবার কিছুটা লাউড। বাবার বাংলায় কথা বলা শুনে পাশ থেকে একজন মহিলা নিজে থেকে এসে জিজ্ঞেস করলেন, " আপনারা বাঙালি ?? " বাবা বললো - হ্যা। পরে কোথা থেকে এসেছে জিজ্ঞেস করে শুনে নিলেন যে বাংলাদেশ থেকে। বাংলাদেশ এর নাম শুনে প্রথমেই মহিলাটি জিজ্ঞেস করলেন ওখানে আপনাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো?? যে সব দেখা যাচ্ছে নিউজে.... বাবা বেশ বুঝিয়ে বললেন বিষয়টি। সাথে উনারও খোঁজ নিলেন যে উনি কোথা থেকে এসেছেন। উনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে শ্রীলঙ্কায় গিয়েছেন। তারপরেও বেশ কিছুক্ষণ তাদের আলাপচারিতা চললো। পুরোটা সময় আমিও লাইনেই ছিলাম, যেহেতু কথা শেষ হয় নি আমার সাথে। মহিলার আন্তরিকতায় এবং তার সাথে আলাপচারিতায় সকলের ই বেশ ভালো লাগলো। তখন ই ফোনের এপার থেকে আমিও ভাবছিলাম, আসলেই, " বাঙালি " র ও তো একটা টান আছে। আমরা বাঙালি - এটিই আমাদের জন্য বেশ গর্বের একটি পরিচয়। তারপর না বাংলাদেশি বা ভারতীয় সেই প্রসঙ্গ! আমরা দুই প্রতিবেশী দেশ। একে অন্যের ভালোতে- মন্দেতে পাশে থাকবো- এটাই তো কাম্য। ঠিক প্রতিবেশীর মতোই...
ভালো -মন্দে প্রতিবেশী রাই তো আগে খোঁজ খবর রাখে! এমন ভাতৃত্ব বোধ দুই দেশেই বজায় থাকুক। দু দেশের দ্বার দু দেশের জন্য উন্মুক্ত হোক আগের মতোন। একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে আমি সেটিই চাই।
আমি চাই দু দেশের পরিস্থিতি যেনো খুব জলদি শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বাভাবিক হয়ে যায়। আগের মতোই ভাতৃত্ব এর বন্ধন এ আবদ্ধ হয় যেনো দুই দেশ। মন থেকেই যেন সকলে সকলকে ক্ষমা করে দিতে পারে, এমন কোনো সমাধান হোক। মনে এক,মুখে আরেক এমন যেন না হয়। আমি আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
VOTE @bangla.witness as witness OR @rme as your proxy
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
হিমছড়ি পাহাড়ি ঘুরতে যাবার অনুভূতি জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো।আমি এই পাহাড়ে ভ্রমন করতে গিয়েছিলাম। আসলে পাহাড়ের ভ্রমণ করলে অনেক বেশি ভালো লাগে।
আপনি কি আমার পোস্ট টি পড়ে এই কমেন্ট টি করেছেন নাকি অন্য কোনো পোস্ট পড়ে একটু চেক করবেন?
কথাটা বেশ ভালো বলেছেন আপু। এই বছরে করা ভুলগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে তবে গিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে পারব। পাশাপাশি দেশ আমরা। আমাদের মধ্যে ভাতৃত্ব্য ভালোবাসা এসবের সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সবমিলিয়ে খুবই সুন্দর লিখেছেন আপু।
তবে আপনার লেখাটার যদি আরও কয়েকটি প্যারা করতেন পোস্টের সৌন্দর্য টা আরও বৃদ্ধি পেত।
আপনার মূল্যবান মতামত আমি খেয়াল রাখবো ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।