ভিডিওগ্রাফি :- গ্রাম্য মেলায় গরম গরম জিলাপি ভাজার দৃশ্য
|| আজ ২ ডিসেম্বর , ২০২৪ || রোজ: সোমবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবার সহ বেশ ভালো আছি। সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমি আমার আজকের নতুন পোস্ট শুরু করছি।
আজকের পোষ্ট শুরু করার আগে মনের কিছু কথা বলতে চাই। মানুষ মাত্রই পারস্পরিক নির্ভরশীল প্রাণী। মানুষ নিজে কখনো নিজের জন্য এনাফ না। আবার স্বভাবগত ভাবেই মানুষ সামাজিক প্রাণীও বটে। তবে আমরা যেন আমাদের জিনগত এসব স্বভাবের বাইরে গিয়ে, খুব সহজ টোকাতেই একে অন্যের বিরুদ্ধাচারণ করে ফেলি খুব সহজেই - আর মাঝখান দিয়ে যাদের স্বার্থ হাসিল করার থাকে, তাদের স্বার্থ হাসিল হয়ে যায় আর তারা মুচকি হাসে দূর থেকে! আমরা ভুলে যাই যে ছোটবেলা থেকে কত অসংখ্য বার বাংলা পড়েছি, ভাব- সম্প্রসারণ করেছি যে- একতাই বল! আমরা একে অন্যের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চললেই কী যে সুন্দর একটা পরিবেশে সকলে মিলেমিশে সমৃদ্ধ হতে পারি- তার অন্যতম উদাহরণ আমাদের এই প্রাণের " আমার বাংলা ব্লগ"। আমি আশা করবো অন্তত এই সুন্দর প্লাটফর্ম টাতে যে কয়জন মানুষ আমরা এই পরিবারে রয়েছি, তারা সকলেই আমার সাথে একমত হবেন।
যাই হোক, এবারে আজকের পোষ্ট এ আসি। আজ আপনাদের সাথে একটি ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে হাজির হয়েছি। এ পর্যন্ত বুঝি হাতে গোণা দুটি কিংবা তিনটি ভিডিওগ্রাফি পোস্ট আমি শেয়ার করেছি। আজকের পোষ্ট টি আসলে বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিলো আমার কাছে। শীতকাল মানেই গ্রামের দিকে নানা ধরনের মেলা হয়। আর এমন গ্রাম্য মেলা মানেই খাওয়া দাওয়া অন্যতম একটি অংশ। বর্তমানে সব জায়গাতেই ফুসকা- চটপটির দোকান ছড়িয়ে তো গিয়েছেই। তবে প্রাচীন কাল থেকেই গ্রাম্য মেলার ঐতিহ্য হচ্ছে এই ধরনের গরম গরম জিলাপি কিংবা সিঙ্গারার দোকান। এসব দোকানে সরাসরি দোকানের সাথেই সকলের সামনেই জিলাপি কিংবা পুরি/সিঙ্গারা ভেজে দেয় কাস্টমার দের। কোনো কোনো দোকানে হয়তো কাস্টমার দের বসার ব্যবস্থা রাখে এক সাইডে৷ কিংবা যদি সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা না থাকে, তবুও যেন কাস্টমারের অভাব হয় না। আমি যে ভিডিও শেয়ার করেছি তা মূলত গ্রামে শ্বশুড়বাড়িতে একটি মেলা থেকে ধারণ করেছি।
আমার ছোট থেকেই বড় হয়ে উঠা মূলত ঢাকা শহরেই। তাই এমন গ্রাম্য মেলাগুলোতে খুব কম ই যাওয়ার সুযোগ হয়েছে আমার। যদিও সুযোগ পেলে এমন মেলাগুলো ঘুরে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। তবে সে সুযোগ ই জীবনে খুব কম ই এসেছে। তো শ্বশুড়বাড়ির ওদিকে একবার এমন সুযোগ পেয়েছিলাম। তখন ই মেলা ঘুরার শেষ এ এই দোকানে আসি সকলে মিলে গরম গরম জিলাপি খেতে। চোখের সামনেই ভেজে দিচ্ছে। এমন গরম গরম জিলাপির স্বাদ যারা খেয়েছেন তারা খুব ভালো করেই জানেন। দোকানের এক পাশে অবশ্য বসার জন্য কয়েকটি চেয়ারের ব্যবস্থা ছিলো। ভিডিওতে আমি আসল সাউন্ড ই রেখেছি। অনেকের কাছে সেই সাউন্ড বিরক্তিকর লাগতে পারে, তাই অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী। তবে গ্রামের মেলায় এমন নানা ধরনের মাইকিং বা উচ্চ শব্দ টাই স্বাভাবিক। আমি আসল ভাইবটা ফেলে দিতে চাই নি বলেই রেখেছি।
ভিডিও লিংক:-
https://youtube.com/shorts/U1pOJ9d6l_I?si=Y5dSJ8IxQ8eDJI6N
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একতাই বল, এই কথাটা আমিও বিশ্বাস করি। আশাকরি এই একতার শক্তিতে আমরা এগিয়ে যাবো যুগের পর যুগ।
জিলাপি আমার ভীষণ পছন্দের। আমিও কখনো গ্রামের হাটে গেলে জিলাপি খেতে ভুলি না। যাইহোক ভিডিওটি দারুন লেগেছে আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। একতাই বল, এবং আমরা একইসাথে আছি, আশা করছি একসাথেই মিলেমিশে থেকেই স্বার্থ হাসিল করা মানুষদের কাচকলা দেখাতে সক্ষম হবো।
জিলাপি বাড়ানোর সুন্দর এই ভিডিও দেখে সত্যি ভালো লাগলো আপু। এরকম দৃশ্যগুলো গ্রাম অঞ্চলের হাটেবাজারে অনেক দেখা যায়। ছোটবেলায় এগুলো অনেক দেখেছি। ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে।
হ্যা আপু গ্রামে সচরাচর দেখা যায়, বিশেষ করে মেলায় বা হাটের দিনগুলোতে। কিন্তু আমরা যারা শহরে থাকি, আমাদের চোখে পড়ে না খুব বেশি। 😔
জিলেপি আমার খুব পছন্দ এটা বলব না। তবে অনেক দিন খাইনা এইজন্য মিস করছি বিশেষ করে গ্রামের মেলায় গিয়ে গরম জিলেপি খাওয়ার অনূভুতি টা মিস করছি। গ্রাম্য মেলায় জিলেপি তৈরির পদ্ধতি টা দেখে বেশ ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। মোহাম্মদপুর এলে খুব মজাদার গুড়ের জিলাপি খাওয়াতে পারতাম আপনাকে!