রেসিপি:- মচমচে পটেটো রিং তৈরি।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা ,
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা রাখি সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহি ওয়া রাসূলিহিল কারীম আমিও ভালো আছি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে ভিন্নধর্মী একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। পছন্দ অনুযায়ী আমাদের কম বেশি সবারই প্রিয় কিছু খাবার থাকে। যা আমরা সবসময়ই খেতে পছন্দ করি। তেমনি আমারও পছন্দনীয় খাবারের তালিকার মধ্যে মচমচে ভাজা খাবার খুবই পছন্দনীয়। আমি মোটামুটি কিছু কিছু রান্না করতে পারি। একটা বিষয় লক্ষ্য করবেন নিজের তৈরি করা খাবার খাওয়া তৃপ্তিটাই অন্যরকম। আর নিজে রান্না করে অন্যকে খাওয়ানোর প্রশংসাটাও একটা তৃপ্তির ব্যাপার।আমি মনে করি আমাদের সবারই উচিত কমবেশি কিছু না কিছু রান্না করতে পারার অভিজ্ঞতা থাকা। রান্না করতে পারাটাও কিন্তু মানুষের অন্যতম একটা গুণ। আমি যখনই সময় পাই মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি নতুন কোন রেসিপি রান্না করতে। বারবার করার ফলে যে কোন কাজেই একজন মানুষ পারদর্শী হয়ে উঠতে পারে। আমি মাঝেমধ্যে আমার পরিবারের রান্নার কাজেও সাহায্য করে থাকি। এতে করে দেখা যায় আমিও নতুন কোন রেসিপি শিখতে পারি।
বন্ধুরা পূর্বের কিছু অভিজ্ঞতা থেকে আজ আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমি রেসিপিটি করতে আমার পরিবারেরও কিছু সহায়তা নিয়েছি।
তাহলে বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক আমার রেসিপিটি :-
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
• আলু
• ময়দা
• তেল
• মরিচের গুঁড়ো
• মসলার গুঁড়া
• লবণ
• পানি
• পেঁয়াজ
• কাঁচামরিচ
• নুডলস
তৈরির বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথম আমি আলু গুলো ভালো করে ধুয়ে দুইভাগ করে কেটে নিলাম।
এরপর আলু গুলো পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর আমি পেঁয়াজ কাঁচামরিচ গুলো কুচি করে কেটে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর একটি বাটিতে ময়দা নিলাম।
এরপর এতে লবণ, মসলা দিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর এতে পানি দিয়ে তা ভালো করে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর সিদ্ধ করা আলু গুলো খোসা ছাড়িয়ে একটি বাটিতে নিলাম।
এরপর আলুগুলো ভালো করে মেশ করে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর এতে দিয়ে দিলাম পেঁয়াজ মরিচ কুচি।
এরপর দিলাম লবণ, মসলা, মরিচ গুঁড়ো এবং ময়দা।
এরপর এগুলো ভালো করে মিশিয়ে মেখে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর একটা বাটিতে নুডলস গুড়ো করে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর মাখানো আলু একটু হাতে নিলাম।
এরপর এটি হাতের তালুতে রেখে গোলাকার করে রিং আকৃতি করে বানিয়ে নিলাম
ধাপ - ৯ :
এভাবে করে সবগুলো রিং বানিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১০ :
এরপর রিং গুলো এক এক করে প্রথমে বেটারে এবং পরে নুডলসের গুড়োতে মেখে নিলাম।
ধাপ - ১১ :
এরপর চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে তা গরম করে নিলাম।
এরপর এক এক করে রিংগুলো তেলে দিয়ে দিলাম।
ফাইনাল আউটপুট :
লাল মুচমুচে করে ভেজে নিয়ে সেগুলো একটি বাটিতে তুলে নিলাম।
অবশেষে তৈরি হয়ে গেলো আমার বানানো মচমচে পটেটো রিং ভাজা। এরপর এগুলো সাজিয়ে নিয়ে আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আমার তৈরি করা মচমচে পটেটো রিং নাস্তার রেসিপিটি আপনারা পছন্দ করবেন। পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো । সবার সর্বদা সুস্থতা কামনা করে আজ বিদায় নিচ্ছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।(ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
আলু দিয়ে যে কোন ধরনের খাবার জিনিস তৈরি করলে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে মচমচে পটেটো রিং রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই ক্রিসপি হয়েছে।দেখেই তো লোভ লেগে গেল।অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া আপনার তৈরি করা রেসিপিটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনার চমৎকার এ রেসিপি দেখে মুগ্ধ হলাম। আশা করি খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছে আপনার এই ঝাল মিষ্টি রেসিপি। স্টোরি করাটা বেশ দারুন ছিল।
আরে আপনি তো দেখছি আজ আমার ফেভারিট রেসিপিটা তৈরি করলেন। রেসিপিটা দেখে ইচ্ছে করছে এখনই খেয়ে ফেলি। আসলে পছন্দের রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো যায় না। এত মজাদার ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখেই ভালো লাগছে। যে কেউ কিন্তু সহজে এই রেসিপিটা তৈরি করে নিতে পারবে আপনার উপস্থাপনা দেখে। কারণ তৈরি করার পদ্ধতি আপনি সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। দেখে বুঝতে পেরেছি মজা করে খাওয়া হয়েছে এই খাবারটা।
পটেটো রিং দারুন হয়েছে ভাইয়া। নুডুলস ব্যবহার করাতে আরো বেশি লোভনীয় লাগছে। এভাবে যেকোন তেলে ভাজা খাবার তৈরি করলে খেতেও ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি।
https://x.com/titaherul/status/1832095100924788817?t=YSd45Fdif5ZP0Qkciu0HIw&s=19
বাহ দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। আলু দিয়ে মুচমুচে রিং টাইপের চপটা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। রেসিপি টার প্রতিটা ধাপ দারুণ উপস্থাপন করেছেন। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার রেসিপি টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
মচমচে পটেটো রিং তৈরি দেখে মজাদার তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার অনেক ভালো লেগেছে, ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি তো দেখছি আমার বড় ছেলের মত। সব সময় মুচমুচে ভাজা জিনিস খেতে পছন্দ করে আমার বড় ছেলে। যাই হোক ভাইয়া আপনার আজকের রেসিপি আমার কাছে একেবারে ইউনিক লেগেছে। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে। মজাদার হয়েছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
মচমচে পটেটো রিং তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর হয়েছে। এই রেসিপি টি অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি।বিকেলের নাস্তায় ভীষণ চমৎকার সুন্দর নাস্তা এটি।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।