হঠাৎ শপিং করতে যাওয়ার আনন্দ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ গিফট এবং বাইরে কেনাকাটা করার অভিজ্ঞতা । তিন চার দিন হল ফরিদপুরে এসেছি । ফরিদপুরে আমার বাবার বাসা ও আমার শ্বশুর বাড়ি একই এলাকাতেই । রিক্সা ভাড়া আগে ছিল ১০ টাকা এখন বেড়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা হয়েছে । যার কারনে এখানে আসলে সব সময় যাওয়া আসার ভিতরেই থাকি । ছেলের বাবা আসে না দেখে আমি সবসময় আমার বাবার বাড়িতেই থাকি এবং ওদের বাসায় যাওয়া আসার ভিতরেই থাকি ।
হঠাৎ করে সেদিন সন্ধ্যার সময় শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছি । যদিও আমার শ্বশুর-শাশুড়ি কেউ নেই দেবর তার বউ বাচ্চা নিয়ে থাকে । সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আমার জা এর সাথে গল্প করার কিছুক্ষণ পরে আবার দেবর আসে । দেবর এসেই আমাকে বলে যে চলো গিয়ে শপিং করে আসি । আমি কিছুতেই যাব না সে আমাকে জোর করে নিয়ে যাবে । বলে যে তোমাদের জন্য শীতের কিছু কেনাকাটা করবো । আমি তো কিছুতেই যাবো না কিন্তু আমাকে যেতেই হবে । তখন আমি আমার ছেলেকে বাসায় রেখে জা এর সাথে সেখানে গেলাম । গিয়ে দেখলাম আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে সুন্দর একটি সুপার শপ হয়েছে । এখানে যাবতীয় সবকিছুই রয়েছে ।
সেখান থেকে আমার দেবর আমার জন্য শীতের অনেক কিছুই কিনলো । শ্যাম্পু লোশন আছে মোট কথা বলতে গেলে শীতের যত জিনিস আছে সবকিছুই কেনা হলো ।ছেলের জন্য শীতের কাপড় এবং আমার জন্যও শীতের আরো কিছু কেনা হলো । তারপর দেখলাম যে সেখানে বিশাল বড় একটা ডিসকাউন্ট চলছে । বিশেষ করে এই সুপারশপে স্পেশাল কিছু দিনে বড় ধরনের ডিসকাউন্ট চলে এবং ভালো ভালো দামি দামি ব্রান্ডের উপরে তারা ডিসকাউন্ট দেয় । যার কারণে জিনিসপত্র কিনেও আরাম পাওয়া যায় । এরপর আমরা ঘুরে ঘুরে সুপার শপটি কিছুক্ষণ দেখলাম । এখানে ডাল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় এমন কোন জিনিস নাই যে পাওয়া যায় না । সবকিছু হাতের নাগালেই রয়েছে ।
আমরা সেখান থেকে কেনাকাটা করে বিল পরিশোধ করে তারপর চলে গেলাম একটা খাবারের দোকানে ।সেখান থেকে আমরা কিছু খাবার কিনে নিলাম তারপর আবার সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম । এসে দেখি ছেলে তার ভাইদের সাথে অনেক আনন্দ নিয়ে ক্রিকেট খেলছে । আরো কিছুক্ষণ ওরা খেলাধুলা করল এবং আমরা সবাই মিলে মজা করে খাবারগুলো খেলাম । নান রুটি আর গ্রিল হলে বাচ্চাদের আর কিছু লাগে না । এই খাবারটি আমারও অনেক পছন্দ । তারপর আমরা আমার বাসায় চলে আসলাম । আসলে দিনটি অনেক ভাল ছিল । হঠাৎ করে গিফট পেতে কার না ভাললাগে । আর যেগুলো কেনা হয়েছে সেগুলো আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যার কারণে আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
প্ল্যান করে শপিং করতে যাওয়া আর হঠাৎ করে শপিং করতে যাওয়ার মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে আপু। শপিং করতে আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগে। আপনি হঠাৎ করে শপিং করতে গেছেন আপনার আনন্দটা অনেক বুঝতে পারছি। আজকের সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপু।
শপিং করতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে এ ধরনের গিফট পেতে অনেক ভালো লাগে ।
খুব ভালো লাগলো আপনার কেনাকাটার করতে যাওয়ার কথা গুলো শুনে।কেনাকাটা করতে কার না ভালো লাগে।আপনার দেওর, জা বেশ ভালো মনের মানুষ।খুব ভালো লাগলো পোস্টি পড়ে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু কেনাকাটা করতে সত্যিই খুব ভালো লাগে গিফট পেলে তো কথাই নেই ।
আসলে হঠাৎ করে বাজারে যাওয়া খুবই আনন্দের বিশেষ করে শপিং করতে যাওয়ার জন্য। আপনি বাজারে গিয়ে শীতের জন্য লোউশন আর ও অনেক কিছু কেনাকাটা করলেন। তাছাড়াও আপনার ছেলের জন্য শীতের পোশাক সহ আপনি নিজর জন্য ও কিছু কেনাকাটা করলেন। এতো সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।
আপু আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার দেবর আপনার জন্য আর ছেলের জন্য অনেক কিছুই কেনাকাটা করে দিল।আসলে এক জায়গায় সবকিছু পাওয়া গেলে বেশ ভালোই হয়।শীত এখন ঢাকায় ও পরতে শুরু করেছে।তাই আপনার দেবর শীতকে সামনে রেখে অনেক কিছুই কেনাকাটা করে দিল।ওই শোরুমে আবার ডিসকাউন্ট ও চলছে।তবে তো সব মিলিয়ে বেশ ভালোই কেনাকাটা করলেন।আবার ফেরার পথে খাবার ও নিয়ে নিলেন।সবাই খুব আনন্দ করে খেয়েছেন।সবার সুস্থতা কামনা করছি।
ছেলের থেকে আমার জন্য বেশি কেনাকাটা করা হয়েছে খুব ভালো লেগেছিল মুহূর্তটা ।
যেহেতু আপনার বাবার বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির এলাকা একই, যার কারণে আপনারা দুটো জায়গাতেই গিয়ে থাকেন। আর ভাইয়া না আসার কারণে আপনি বেশিরভাগ সময় আপনার বাবার বাড়িতে থাকেন, এটা শুনে খুব ভালো লেগেছে। আমার শ্বশুর বাড়িতেও যাতায়াত থাকে অনেক বেশি এটা শুনেও ভালো লেগেছে। শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার অনেকক্ষণ পরে আপনার দেবর যখন এসেছিল, তখন শপিং করার জন্য নিয়ে গিয়েছিল আপনাকে। প্রয়োজনীয় বেশ কিছু কেনাকাটা করা হয়েছিল এটা দেখে ভালো লেগেছে। আসলে হঠাৎ করে গিফট পেতে ভালোই লাগে। আমার নিজের কাছেও ভালো লাগে এই বিষয়টা।
কারন আমি আসি আমার বাবার বাড়িতে বেড়ানোর জন্য । আর যেখানে ছেলের বাবা আসেনি সেখানে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কি করব শশুর শাশুড়ি তো নেই ।
আসলে মার্কেটিং করতে গেলে সবার কাছে খুবই ভালো লাগে। হঠাৎ শপিং করতে যাওয়ার আনন্দ খুবই অন্য রকম হয়ে থাকে। আপনার দেবর, আপনার আর ছেলের জন্য কেনাকাটা করেছেন জেনে খুব খুশি হলাম। কেনাকাটা করার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
কেনাকাটা করার মুহূর্তটা সত্যি অনেক আনন্দের ছিল ভালো লাগলো মন্তব্য দেখে ।