★ছোটবেলার মধুর কিছু স্মৃতি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে চলে এসেছি । আজকে আমি শেয়ার করব শৈশবের ছোট ছোট কিছু ঘটনা । শৈশবে আমাদের জীবনে কত রকম ঘটনাই ঘটে থাকে তার সব ঘটনায় তো আর মনে থাকে না আবার এমন অনেক ঘটনা আছে যা ভোলা যায়না । আর শৈশবটা ছিল সত্যি আমাদের জন্য অনেক মধুর তম একটি সময় । এখন আমরা সবাই যার যার মত বড় হয়ে গিয়েছি সবাই যার যার মতো আলাদা হয়ে গিয়েছি এখনো মনে হয় যেন আবার সেই শৈশবে যদি ফিরে যেতে পারতাম ,তাহলে কতই না ভালো হতো । যতই দিন যাচ্ছে ততই আমরা শৈশব কে হারিয়ে ফেলছি । এখন আর শৈশবের স্মৃতিগুলো শুধুই স্মৃতি হিসেবে রয়ে গিয়েছে । সেই শৈশব স্মৃতির কিছু স্মৃতি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।
তখন আমি একেবারে ছোট ছিলাম থ্রি কিংবা ফোরে পড়তাম । তখনকার দিনে আমরা কত রকম খেলাই না খেলতাম ।আমরা সে সময় একটা বাসাতে ভাড়া থাকতাম আমার মনে আছে সেই বাসাটা ছিল খোলামেলা একটি জায়গায় ।আমাদের বাসার সামনে অনেক বড় একটি মাঠ ছিল সেই মাঠে বড় বড় ছেলেরা প্রতিদিন বিকেল বেলা ব্যাডমিন্টন খেলতো । আর আমরা ছিলাম সেই খেলার দর্শক । দর্শক বললে ভুল হবে আমরাও তাদের পাশেই যার যার রেকেট নিয়ে খেলার জন্য দাঁড়িয়ে পড়তাম । ওরাও খেলত সাথে আমরাও কয়েকজন মিলে খেলতাম । বড়রা কিছু সময় খেলার পরে তাদের কর্কগুলো কিছুটা নষ্ট হয়ে যেত তখন সেগুলো আমাদেরকে দিত খেলার জন্য । আর আমরা সেগুলো নিয়ে খুব আনন্দ সহকারে খেলতাম । আর আমরা প্রতিদিন অপেক্ষায় থাকতাম যে বড়রা কখন খেলতে আসবে আর আমাদেরকে তাদের ভেঙে যাওয়া কর্ক দিবে এবং সেটা নিয়ে আমরা খেলব । আর তারা যখন আসতো খেলতে সেটা দেখে আমরা অনেক বেশি খুশি হতাম । তারা আমাদের থেকে অনেক বেশি বড় ছিল যার কারণে তারাও আমাদেরকে খুব আদর করতো মাঝে মাঝে তাদের বড় মাঠে আমাদেরও খেলতে দিত ।
সেই সময় গুলো আসলে আমাদের জন্য অনেক মধুর ছিল ।সে স্মৃতিগুলো যদি আবার ফিরে পেতে পারতাম তাহলে মনে হয় সবাই মিলে আবার সুন্দর সময় পার করতে পারতাম । সে মাঠের সামনে ছিল বিশাল বড় একটা পুকুর । আমরা সেই পুকুরটাতে অনেকটা সময় গোসল করতাম এবং পুকুরের এপার থেকে ওপারে সাতরে পার হতাম । যদিও আমি সাঁতার জানি না গোসল করার আগে আমি বড় একটা কন্টেইনার নিয়ে রেডি থাকতাম যাতে সাঁতরে ওপারে যেতে পারি । আমরা গোসল করতে নেমে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিতাম তখন মায়ের বকুনি খেয়ে চোখ লাল করে একেকজন পুকুর থেকে উঠে আসতাম । এমনও আরও একটা পুকুরে আমরা গোসল করতে নামতাম এবং পুকুরটা ছিল একটু নিচের দিকে । উপর থেকে অনেকটা নিচে নেমে গোসল করতে হতো ।আমরা সেই পুকুরে গোসল করতে গিয়ে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পানি মেরে মেরে কিছুটা জায়গা পিচ্ছিল করে নিয়ে সেখানে আমরা স্লিপ কাটতাম । এর জন্য আমাদেরকে সবসময় অনেক বকাবকি খেতে হয়েছে । এক মহিলা এসে আমাদেরকে খুব বকা দিত আর বলতো ক্যালুত খেলো এই বলে আমাদের তারা করতো আর আমরা দিতাম দোর । তারপরও আমরা সুযোগ পেলে এই কাজগুলো করতাম ।
এখনো সেই দিনগুলোর কথা খুবই মনে পড়ে । আসলে ছোটবেলায় এসব খেলা গুলোই মধুর ছিল । এখনকার ছেলে মেয়েরা বাইরের এসব খেলা গুলো থেকে বঞ্চিত হয় । তারা তো সবসময় ঘরের ভেতরে মোবাইল ল্যাপটপ এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকে । আগেকার দিনের খেলা গুলো কতই না মধুর ছিল । বাইরের পরিবেশ এবং সন্ধ্যাবেলায় কারেন্ট চলে গেলেই বাইরে বের হয়ে যাওয়া এবং কতক্ষনে কারেন্ট আসবে সে অপেক্ষা করা । যতক্ষণ না কারেন্ট আসছে ততক্ষণ তোমরা ঘরে ঢুকতাম না বাইরে খেলাধুলা করতে থাকতাম । অন্ধকারের মধ্যে লুকালুকি কে কোথায় লুকাবে সেটা নিয়েই আমাদের খেলা চলতেই থাকতো । যেই কারেন্ট চলে আসতো সেই আবার হাত-পা ধুয়ে সবাই যার যার মত ঘরে চলে আসতাম এবং যার যার পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যেতাম । এরকম মধুর মধুর স্মৃতি আমাদের সাথে জড়িয়ে আছে যেগুলো মনে পড়লো এখনো খুব ভালো লাগে । ইস যদি আবার সেই দিনগুলো ফিরে পেতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on Twitter by the account josluds
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/8) Get profit votes with @tipU :)
ছোটবেলার স্মৃতি গুলো আসলেই অনেক মধুর ছিল আমাদের। সাঁতার না জানা সত্বেও আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা উপরে গোসল করতেন বিষয়টা জেনে খুবই ভালো লাগলো। যেহেতু আমার বাড়ি গ্রামে তাই আমারও এই একই ধরনের অভ্যাস ছিল। বেশি সময় গোসল করার জন্য কত যে বকা খেয়েছি আর সেটা মনে পড়ে গেল।
ছোটবেলার ঘটনা সবারই অনেক মধুর ছিল মনে হয় । পুকুরে গোসল করার মজাই আলাদা ।
আসলে ছোটবেলায় এরকম অনেক মজার মজার খেলা খেলতাম আমরা। আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লাগতো। আসলে এখন এই ধরনের খেলাধুলা একেবারেই দেখা যায় না বললে চলে। ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গিয়েছে আপনার পোস্ট পড়ে। সত্যি অনেক মজার কিছু স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আসলে আমরা আগে কত মজার মজার খেলা খেলতাম এখনকার বাচ্চারা এসব খেলা সম্বন্ধে জানেই না ।
আপু আপনার ছোটবেলার স্মৃতিতে অনেক মধুর ছিলো। ছোটবেলায় পুকুরে গোসল করার জন্য সাঁতার জানতেন না বলে কনটেইনার সব সময় রেডি রাখতেন এবার থেকেও পারে যাওয়ার জন্য। আপু ছোটবেলার স্মৃতিগুলো এখন আমার খুব মনে পড়ে। খুবই ভালো লাগলো আপনার ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত এই পোস্টটি পড়ে।
কন্টেনার নিয়ে খুব সুন্দর সাঁতার কাটা যায় এজন্য পুকুরে নামলে কনটেইনার সাথে রাখতাম ।
সবার জীবনেই এমন অতীতের দিনগুলো স্মরণীয় হয়ে থাকে আপনি যেমন এখন অতীতের দিনগুলো মিস করছেন এরকম সবাই তার অতীতের দিনগুলো মিস করে। তবে আপনার সাথে আমারও একটা বিষয়ে মিল আছে সেটা হচ্ছে ব্যাডমিন্টন খেলার বিষয়টি। আমার ভাইয়ারা ব্যাডমিন্টন খেলার পরে কর্কগুলো একটু নষ্ট হলেই ফেলে দিত তখন সেগুলো দিয়ে আমরা আবার ছোটরা খেলতাম। আর পুকুরে ঘন্টার পর ঘন্টা গোসল করা এটা তো সবার ক্ষেত্রেই কমন বিষয়।
আমার মত সবাই মনে হয় অতীতের দিনগুলো খুব মিস করে । সেই দিনগুলো যদি আবার ফিরে পেতে পারতাম তাহলে মনে হয় ভালই হতো ।
একসঙ্গে ছোটবেলার বেশ কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন আপু। ওই বাসাটার কথা আমার খুব বেশি মনে নেই কিন্তু কিছুটা মনে আছে। বেশ খোলামেলা ছিল। এমন বাসা এখনকার দিনে তো বাচ্চার পায় না। তাছাড়া ঢাকার বাচ্চাদের ব্যবস্থা আরো খারাপ। ঠিকই বলেছেন ওই সময় কারেন্ট যাওয়া মানে অন্যরকম একটা আনন্দ কাজ করত।বাইরে বের হয়ে খেলতে পারবো জন্য ধন্যবাদ আপু ছোটবেলার স্মৃতি গুলোকে আবার মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
এসব স্মৃতিগুলো সব সময় মনে পড়ে । আজ আবার নতুন করে লিখতে বসে খুব ভালো লাগলো অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছিল তখন ।
সকল মানুষের জীবনে ছোটবেলায় অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত থেকে থাকে, এমন কিছু স্মৃতি রয়েছে যেগুলো স্মরণ করা হয় না। তবে অন্যান্য মানুষের স্মৃতিগুলো শুনা বা পড়া মাত্রই যেন ভেসে ওঠে মনের মধ্যে। ঠিক তেমনটাই হলো আপনার এই ঘটনা পড়তে গিয়ে। তবে আমি যতটা জানি আমাদের গ্রামে প্রথম হয়তো র্যাকেট আমরাই কিনেছিলাম দুই ভাই। আমরা খেলতাম এই দেখে পাড়ার অন্যান্য ছেলেরা কিনে এনেছিল।
একদম ঠিক বলেছেন ছোটবেলার মুহূর্তটা সবার জন্য আনন্দঘন একটা মুহূর্ত থাকে । সেই দিনগুলো চলে গেলে আর কোনদিনও ফিরে পাওয়া যায় না ।
আপনার এই পোস্ট পড়ে আমি কিছু সময়ের জন্য ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। ছোটবেলায় আমিও আপনার মত এরকম ভাবে বিকেলবেলা মাঠে খেলতে যেতাম আর বড়দের কাছ থেকে রেকেট খেলার কর্ক নিয়ে খেলতাম। আর একটা ব্যাপারে দেখছি সকলেরই অনেক বেশি মিল আছে সকলেই স্লিপ কেটেছে সেটা হোক বৃষ্টির পানিতে অথবা কিছু পানি ঢেলে দিয়ে। ঢালের উপর থেকে স্লিপ কেটে অনেক দূরে চলে যাওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগতো। এরকম কিছু কিছু স্মৃতি আছে যা আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে আছে যেগুলো কখনো ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
স্লিপ কাটার ঘটনাটা মনে হয় কমবেশি সবার সাথে ঘটেছিল ।আসলেই ওই সময়টা খুব ভালো লাগতো ।
আসলে ছোটবেলায় আমাদের অনেক ধরনের স্মৃতি রয়েছে এবং সেই স্মৃতিগুলো বেশিরভাগ মজার। আর এরকম মজার স্মৃতিগুলো কখনোই ভুলা যায় না। বেশিরভাগ সময় সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়, আর তখন নিজের কাছেই অনেক বেশি ভালো লাগে। ছোটবেলায় যদিও এভাবে কখনো খেলা হয়নি, তবে সমবয়সী সবাই আলাদাভাবে খেলা হতো। আপনার স্মৃতিময়ী পোস্ট অনেক উপভোগ করলাম।
একদম ঠিক বলেছেন ছোট বেলার ঘটনা মনে পড়লে সত্যিই অনেক ভালো লাগে ।
আপু আপনার লেখাটি পড়ে যেন সত্যিই সেই ছোটবেলায় আবার ফিরে গেলাম । আসলে শৈশবটা ছিল অনেক আনন্দময়। পুকুরে স্লিপকাটা ,পুকুরে গোসল করা সবকিছুই যেন চোখের সামনে ভাসছিল আপনার পোস্টটি পড়ার সময় । ভীষণ মিস করি সেই সব দিনগুলো। ব্যাডমিন্টন খেলাটাও বেশ মজা করে খেলতাম আমরা । ধন্যবাদ আপনাকে পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য।