নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৫২ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৫২ তম পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, চান্দু ফকির বসে বসে মর্জিনাকে গান শোনাচ্ছিল। আর তারা যখন বিভিন্ন কথা বলে দুষ্টামি করছিল তখন ওখানে রবি চলে আসে। আর চান্দুকে মেরে রবি মর্জিনাকে জোর করে নিয়ে চলে যায়। চান্দু যখন অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল, তখন ওখানে আসমানী আর মানিক ফকির আসে। আর পানি দিয়ে তার জ্ঞান ফিরায়। এরপর চান্দু তাদেরকে সবকিছুই খুলে বলে। এরপর তারা মর্জিনাকে খোঁজার উদ্দেশ্যে বের হয়। আসমানী তাদের সাথে যায় না। আর সে তার অপারেশনের উদ্দেশ্যে বের হবে। তারপরে আমরা টিক্কা ফকির আর তার বউকে দেখি চেয়ারম্যানের কাছে এসেছে।
আর ফুলিকে ওখান থেকে বিদায় করে চেয়ারম্যান কে ওরা টাকা দিয়ে হাত করে নেয়। এরপর রাতের বেলায় দেখা যায় সব ফকির একসাথে হয়েছে। আর ওখানে চান্দু এবং মর্জিনা ও ছিল। আর মর্জিনা তাদেরকে জানিয়ে দেয় তাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এক পর্যায়ে কথা বলতে বলতে রবি আর চান্দুর মধ্যে ঝামেলা লেগে যায়। আর কাদের ফকির বিভিন্ন কথা বলে মর্জিনাকে নিয়ে ঘরে চলে যায়। আর সব ফকির যে যার পথে চলে যায়। তারপর আমরা দেখি দোকানদার একটা লোককে মাদক বিক্রি করছে।
কিছুক্ষণ পর ওখানে আসমানী আসে। আর তার কাছে মাল চায়। তখনই ওখানে প্রিন্সের বন্ধু আসে। আর আসমানী কে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। তখন আসমানী বলে সে টাকা চেয়েছে। তখনই ওখানে প্রিন্স আসে। আর আসমানী কে পাঠিয়ে দেয়। আর তার বন্ধুকে বিভিন্ন কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়। অন্যদিকে প্রিন্সের বন্ধু ওই দোকানদারকে সাবধান করে দেয় আসমানীর থেকে দূরে থাকার জন্য। এরপর আমরা সকালবেলায় দেখি চান্দু মর্জিনার বাড়িতে এসে তাকে ডাকতে থাকে। আর মর্জিনা ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর সে তার সাথে কথা বলার সময় ওখানে মর্জিনার বাবা চলে আসে।
আর তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। এমনকি লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। এরপর তাকে ওখান থেকে পাঠিয়ে দেয়। আর মর্জিনাকে তার বাবা এটা বলে দেয় যেন কালকের মধ্যে চান্দুকে সে তালাক দেয়। তারপরে আমরা দেখি সায়েম এবং তার বউ ভিক্ষা করছিল। অন্যদিকে আফসোস করছিল চান্দু আর মর্জিনার বিষয়টা নিয়ে। কারণ তারা দুজন বিয়ে করে নিয়েছে। এরপর তারা আবারও ভিক্ষা করার উদ্দেশ্যে রওনা। আর অন্যদিকে সায়েম এবং মানিক ভিক্ষা করছিল। তারা যখন সায়েম এর বিষয় নিয়ে এই কথা বলছিল তখন ওখানে সায়েম চলে আসে। আর তাদের মধ্যে অনেক ঝগড়া হয়। কিছুক্ষণ পর তারা ওখান থেকে চলে যায়। এরপর চান্দুর সুতা ফকিরের সাথে দেখা হয়।
আর তাকে সবকিছুই খুলে বলে। তখন ওখানে আসমানী আসে, আর সুতা ফকির তাকে সব কিছু বলে। রাতের বেলায় আমরা দেখি রবি জোর করে মর্জিনাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। আর কাদের ফকির এসে আটকায়। একপর্যায়ে ওখানে সুন্দরী খালা আসে। আর রবিকে মারে। তখন রবি কান্না করতে করতে ওখান থেকে চলে যায়। অন্যদিকে সুন্দরী খালাও মন খারাপ করে ওখান থেকে চলে যায়। এরপর আমরা দেখি গ্রামে নতুন একটা বড়লোক মানুষ এসেছে। আর মানিক রতন কে ১০০০ টাকা দিয়েছে। তারা দুজনই অনেক খুশি হয়ে যায়। তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই পর্বটা অনেক সুন্দর হয়েছিল। আর আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। কিন্তু এই পর্বে একটা ঘটনা ঘটেছে। রবি চান্দুকে মেরে মর্জিনাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। মর্জিনাকে তার বাবা তার কাছেই রেখে দিয়েছে। আর চান্দু আর মর্জিনার বিয়েটাও তিনি মেনে নেননি। তিনি বলেছেন মর্জিনা যেন চান্দুকে তাড়াতাড়ি ডিভোর্স দিয়ে দেয়। আর এই বিষয়টা নিয়ে মর্জিনা আর চান্দু দুজনেই অনেক কষ্টে আছে। দেখা যাক চান্দু মর্জিনাকে তার বাবার কাছ থেকে নিয়ে যেতে পারে কিনা। আসমানী ফকির মাদক ব্যবসায়ীদের উপর কড়া নজর রেখেছে। সে তাদের উপর শেষ পর্যন্ত কোনো অ্যাকশন নেয় এটাই দেখতে হবে। এই পর্বের শেষে আমরা দেখেছি গ্রামে নতুন একজন লোক এসেছে। আর মানিক রতনকে ১০০০ টাকা দিয়েছে। ওই লোকটা আসলে কে, আর কোন উদ্দেশ্যে এই গ্রামে এসেছে?? এটা আশা করছি আমরা পরবর্তী পর্ব গুলোতে জানতে পারবো। সে পর্যন্ত আপনারা অপেক্ষায় থাকুন। আমি চেষ্টা করবো তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1866708606604939409?t=kCFbM-d9CRs3MrgVW_Y3PA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই নাটকটার কাহিনী অনেক বেশি সুন্দর ছিল। এই নাটকটার মধ্যে অনেক সুন্দর একটা বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর এটা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে তুমি নাটকটার রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে কাহিনী টাকে সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এজন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই নাটকের কাহিনী সত্যি অনেক বেশি সুন্দর। চেষ্টা করে যাবো সুন্দর করে সবগুলো পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
দেখতে দেখতে আপনি এই ফকির গ্রাম নাটকের ৫২ তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নাটকটি সত্যি অনেক সুন্দর। এই নাটকের বেশ কিছু পর্ব আমি দেখেছি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। আপনি প্রতি সপ্তাহে একটি করে পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আর আপনার মাধ্যমে এই নাটকটি দেখার সুযোগ করে দিচ্ছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই পর্বটাও আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।