রেসিপি :- ডিম দুধের পুডিং রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ডিম দুধের পুডিং রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
পুডিং খেতে কম বেশি আমরা ছোট থেকে বড় সবাই খুবই পছন্দ করি। বলতে গেলে গরমের সময় এই রেসিপিটা কিন্তু বেশি ভালো লাগে। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে পারলে একটু বেশি ভালো লাগে। যদিও এই পুডিংটা আমি তৈরি করেছি নাম আমার মেয়ের জন্য। আসলে ও একদম কিছুই খেতে চায় না। তাই জন্য আমার মাঝেমধ্যে ভিন্ন কিছু তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করি। যদিও এটাকে আমি ওকে আইসক্রিম হিসেবে দিয়েছিলাম। কারণ ও শুধু আইসক্রিম খেতে বায়না ধরে। এখন আমি বললাম আমি নিজে বানিয়ে দিয়েছি। তাই জন্য আইসক্রিম হিসেবেই খেয়েছিল। আসলে ছোটদেরকে আমরা যেটা বলবো ওরা সেটাই জানবে। তবে পুডিংটা খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ২ টা |
চিনি | ১/২ কাপ |
দুধ | হাফ কেজি |
আগার আগার পাউডার | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি বাড়িতে দুইটা ডিম ভেঙে নিলাম। এরপরের মধ্যে চিনি এবং লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ ফেটিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে আমি জাল করা লিকুইড দুধ নিয়ে নিলাম। দুধটাকে ডিমের মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আলাদা একটু দুধের সাথে আগার আগার পাউডার মিশিয়ে নিলাম। এরপর এই দুধটাকে পুডিং এর মিশ্রণের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর আমি একটা কেকের মোল্ড নিয়ে নিলাম। এরপরের মধ্যে কিছুটা পরিমাণে চিনি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম। এগুলোকে একটু নেড়েচেড়ে কেরামেল তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর আমি ক্যারামেল টাকে ঠান্ডা করে এর মধ্যে পুড়িংয়ের মিশ্রণ টা দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর আমি চুলায় একটি পাতিলের মধ্যে কিছুটা পরিমাণে পানি প্রথমে গরম করে নিলাম। এরপরে এর ওপরে পুডিং এর মিশ্রণ বসিয়ে দিলাম। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করবো। এরপর দেখলাম হয়ে গেছে । এরপরে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
ঠান্ডা ঠান্ডা পুডিং খেতে সত্যি ই খুব ভালো লাগে আপু।আপনি আগার আগার পাউডার ইউজ করে পুডিংটি তৈরি করলেন। আমার কখনও আগার আগার পাউডার দিয়ে পুডিং তৈরি করা হয়নি।পুডিংটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আশাকরি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি চমৎকার এই পুডিং রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। আমার পরিবারের সবাই মজা করে খেয়েছে।
https://x.com/TASonya5/status/1836958992515625076?t=4VjVp7OqfHbN6qdb4S009g&s=19
পুডিং ভীষণ পুষ্টিকর একটি খাবার।ছোর বড়ো সবার খুব পছন্দের। আপনি আপনার মেয়েকে বানিয়ে দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলে সব বাচ্চাদের একই সমস্যা খেতে চায় না আর এরকম কৌশল করে খাওয়াতে হয়।ধাপে ধাপে দারুণ করে রন্ধন প্রনালী ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু পুডিং তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আসলেই পুডিং অনেক বেশি পুষ্টিকর। আমার কাছে তো অনেক ভালো লাগে পুডিং খেতে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু এই গরমের মধ্যে ফ্রিজের ঠান্ডা পুডিং খেতে আসলেই খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া পুডিং বানানোও খুব সহজ। আপনার আজকের পুডিং দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। লাভ শেপের বানানোর কারণে আরও বেশি লোভনীয় লাগছে দেখতে। সাইডের ক্যারামেল পুড়ে না গেলে দেখতে আরো ভালো লাগতো।
হ্যাঁ আপু অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল আমার তৈরি করা এই পুডিং। ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে ভালোই লেগেছে।
সেই শেষ কবে এই পুডিং খেয়েছি তা কিন্তু আমার মনে নেই। আসলে এই পুডিং তৈরি করা তেমন একটা বেশি কঠিন না হলেও যারা এই পুডিং তৈরি করতে পারেনা তারা কিন্তু খুব সহজে এই খাবারটি তৈরি করার পদ্ধতি জানেনা। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে খুব সহজে এই পুডিং তৈরির পদ্ধতিটা আমরা জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি সুন্দর করে পদ্ধতিটা শেয়ার করার জন্য। আপনারা চাইলে সহজে এই পুডিং তৈরি করতে পারবেন।
আরে আপনি তো দেখছি আজ আমার ফেভারিট রেসিপিটা তৈরি করলেন। ডিম দুধের পুডিং রেসিপিটা দেখে ইচ্ছে করছে এখনই খেয়ে ফেলি। আসলে পছন্দের রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো যায় না। এত মজাদার ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখেই ভালো লাগছে। যে কেউ কিন্তু সহজে এই ডিম দুধের পুডিং রেসিপি তৈরি করে নিতে পারবে আপনার উপস্থাপনা দেখে। কারণ তৈরি করার পদ্ধতি আপনি সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। সত্যি অনেক বেশি মজা করে খাওয়া হয়েছে এই খাবারটা।
কেউ যেন চাইলে এই পুডিং তৈরি করতে পারে তাইতো সুন্দর করে তুলে ধরলাম। এটা খেতে সত্যি অনেক মজার হয়েছে।
পুডিং অনেকদিন খাওয়া হয় না। আমার খুব পছন্দের একটা ডেজার্ট এটা। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি দেখে। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। একদম পারফেক্টলি আপনি রেসিপিটা তৈরি করেছেন। লোভনীয় রেসিপি তৈরি করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
যেহেতু অনেকদিন খাওয়া হয়না অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে নেবেন।
ডিম এবং দুধের সমন্বয়ে অনেক লোভনীয় একটি পুডিং রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। আমার আরো ভালো লেগেছে আপনার মেয়েকে আইসক্রিম ভেবে খাওয়ানোর একটা নিঞ্জা টেকনিক দেখে। আপনার এই টেকনিকটা আমি আমার ছেলের উপরে প্রয়োগ করবো ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া এই লাভ সেবের পুডিংটার কালার অনেক সুন্দর হয়েছে এবং দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সবশেষে এত সুন্দর একটি লোভনীয় পুডিং রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
পুডিং এর কালার টা যেমন সুন্দর তেমনি অনেক সুস্বাদু ছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলছেন আপু বাচ্চাদেরকে বড়রা যেভাবে বলে সেভাবে শিখে যায়। আপনি আইসক্রিমের বদলে ফুডিং তৈরি করে দিলেন। আইসক্রিম খাওয়ার চেয়ে ফুডিং খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ভালো। আপনি দুধ ডিম দিয়ে বেশ সুস্বাদুভাবে তৈরি করে নিলেন ফুডিং। ফুডিং এর কালার দেখে খেয়ে নিতে ইচ্ছা করছে।
আমার তৈরি করা পুডিং আমার পরিবারের সবার অনেক পছন্দের। আমার মেয়ে অনেক পছন্দ করে এটা খেতে।