লাইফ স্টাইল :- অসুস্থতার কারণে মেয়ের শখের চুল কেটে ফেললাম।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের মাঝে একটি দুঃখের বিষয় শেয়ার করবো। আসলে আনন্দের এবং দুঃখের সব বিষয়গুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। তাই জন্য ভাবলাম এই বিষয়টাও আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আপনারা সবাই হয়তোবা আমার মেয়ে নাশিয়াকে চেনেন। ও আমাদের ঘরের সবার অনেক আদরের। আপনাদের মাঝে কিন্তু ওর অনেক ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছি। অনেক শখ করে নাশিয়ার চুলগুলো একটু একটু করে বড় করছিলাম। আসলে আমার কাছে ছোট বাচ্চাদের চুল দেখতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
চুল না থাকলে মনে হয় যেন কিছু একটা হারিয়ে গেছে। আর নিজের ইচ্ছে থেকেই মেয়ের চুল গুলোকে একটু একটু করে বড় করে তুলছিলাম। এমনকি বলতে গেলে এর সাথে নিজের আবেগ ও জড়িয়ে রয়েছে। সত্যি বলতে কখনো ভাবি নি হঠাৎ করে মেয়েটার চুলগুলো কেটে ফেলতে হবে। আসলে হঠাৎ করেই দেখি মেয়ের মাথায় অনেকগুলো পোড়া এর মত উঠেছে। তবে আগে থেকে এই বিষয়টা খেয়াল করিনি। কারণ মেয়েটার মাথায় চুল থাকার কারণে দেখা যায়নি। তবে এমনিতে চুল আঁচড়ানোর সময় বলতো ব্যথা পাচ্ছে।
আমি ভেবেছিলাম হয়তোবা এমনিতে ব্যথা পাচ্ছে। তার জন্য আস্তে করে চুল আঁচড়ে দিতাম। কিন্তু কখনো ভেতরে দেখিনি আসলে কি হয়েছে। কয়েকদিন হয়ে গেল এরকম হচ্ছে। তাই জন্য হঠাৎ করেই দেখছিলাম কি হয়েছে। দেখি অনেকগুলো পোড়া উঠে একদম পেকে গেছে। এটা দেখে তো একদম অবাক হয়ে গেলাম। আর অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছিল। তাও আবার দেখলাম রাতে মেয়ে ঘুমানোর পর। তখন কি করব আসলে বুঝতে পারছিলাম না। বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে আরো বেশি চিন্তায় পড়ে গেলাম।
তাই জন্য তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিলাম চুলগুলো কেটে ফেলার। আসলে মেয়েটা যদি জেগে থাকে তাহলে কখনোই চুলগুলো কাটতে দিবে না। তার উপরে আবার মাথায় ব্যথা পাচ্ছিল। এজন্য ঘুমের অবস্থায় একটু একটু করে চুলগুলো কাটতে শুরু করি। তবে চুলগুলো যখন কাটছিলাম অনেক বেশি কষ্ট লাগছিল। তার সাথে মেয়ের মাথার এই অবস্থা দেখে আরো বেশি খারাপ লাগতেছিল। তো প্রায় অনেকটা সময় নিয়ে একটু একটু করে চুল গুলো কেটে ফেললাম। আসলে এত রাতে আর ডাক্তারের কাছে নেওয়া সম্ভব নয়, তাই জন্য ভাবলাম পরের দিন সকালে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।
সকালবেলা উঠে মেয়েটা বারবার মাথায় হাত দিচ্ছিল। আর হয়তোবা নিজে নিজেই অবাক হয়ে গেছে। পরে বলছিল আমার ব্যথা একটু কমে গেছে। বলছিল চুল কাটার কারণে ব্যথা কিছুটা কমেছে। আসলে এটা শুনে আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। ভেবেছিলাম হয়তোবা মেয়েটা কান্নাকাটি করবে। তবে মেয়ের দিকে একদম তাকাতে পারছিলাম না। ও অন্তত বুঝতে পেরেছে এটা জেনে ভালো লাগলো। আবার বলছিল তাড়াতাড়ি চুল উঠে যাবে। যেন আমাদেরকেই ও সান্ত্বনা দিচ্ছে। এরপর সকালে উঠেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম।
ডাক্তার ওষুধ এবং মলম দিয়েছে। তবে এই কয়েকদিন নিয়মিত ওষুধ এবং মলম দেওয়ার কারণে কিছুটা কমেছে। বলতে গেলে আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাওয়ার পথে। এগুলো ভালো হয়ে যাচ্ছে দেখে ভালো লাগতাছে। তার সাথে সাথে মেয়ের চুলগুলো একটু একটু করে বড় হতে শুরু করেছে। তবে মেয়েটার জন্য আপনারা দোয়া করবেন। যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আর এরকম কিছু কখনো দেখা না দেয়। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপু আপনার মেয়ের জন্য দোয়া করছি সে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। এই গরমের কারণেই সমস্যাগুলো হয়েছে মনে হচ্ছে। চুল কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালোই করেছেন। শীত প্রায় চলে এসেছে। আবারও চুল বড় করলে তখন আর সমস্যা হবে না।
সামনে যেহেতু শীত, এখন আর সমস্যা হবে না এটা ঠিক বলেছেন।
https://x.com/TASonya5/status/1837683703994372107?t=xQ5TBg8mdqtN3AdH1gO4PQ&s=19
আমার মতে, ছোট বাচ্চাদের চুল না রাখাই উত্তম। আপনি দেখছি আজকে অসুস্থতার কারণে মেয়ের শখের চুল কেটে ফেলছেন। আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি আপনার মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠবে।আর খুবই তাড়াতাড়ি আপনার মেয়ের মাথায় আগের মতই চুল হয়ে উঠবে।
দোয়া করবেন আমার মেয়ের জন্য যেন সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।
যে হারে গরম পড়েছে তাতে করে বড়দের খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছে।আর ওহ তো ছোট বাচ্চা।তার মধ্যে এত বড় বড় চুল ছিল সে বুঝতে পারছিল না তার মাথায় কি হয়েছে। আর এই গরমে ফোড়া উঠলে বেশ ব্যথা লাগে খুবই কষ্ট হয়। যাই হোক চুল গুলো কেটে ভালোই করেছেন আপু। শখের চুলগুলো কেটে ফেলার পর একটু কষ্ট হলেও আপনার মেয়ে তো একটু স্বস্তি বোধ করছে এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আগে যদি দেখতাম তাহলে আরো আগেই চুল ফেলে দিতাম। এখন ও কিছুটা ভালো আছে।
আসলে এই সময়ে কিন্তু বাচ্চারা অনেক বেশি অসুস্থ হচ্ছে। কারণ আব্বা যেহেতু পরিবর্তন হচ্ছে সেহেতু এই আবহাওয়ার সাথে সাথে বাচ্চারা নিজেদেরকে পরিবর্তিত করতে পারছে না। আর এর ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হচ্ছে। যাই হোক ছোটবেলায় যখন আমাদের মাথার চুল কেটে দেয়া হতো তখন কিন্তু আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে কান্নাকাটি করতাম। হয়তোবা আপনার মেয়েটিও তাই করেছিল। যাইহোক আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করছি।
আসলে চুলে একটা সৌন্দর্য থাকে। চুল ফেলে দিলে অন্যরকম লাগে। আর আমার মেয়ের চুলগুলো আমাদের অনেক শখের। তবে মেয়ের সুস্থতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আপু যেহেতো সে অসুস্থ হয়ে গেছে, চুল কেটে ভালোই করেছেন। তাছাড়া যে রোগের কথা বললেন সেটা চুল থাকলে ঔষুধ ঠিক ভাবে দিতে পারতেন না। আর তারাতারি শুকাতো না। সুস্থ হয়ে গেলে আবার চুল রাখবেন। দোয়া করি তারাতারি যেন সুস্থ হয়ে যায়। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া অসুস্থ হলে আমার চুল রাখব। এখন সুস্থতার জন্য চুলতো ফেলে দেওয়া লাগবেই।
এত রোদ গরম পরছে যে বড়রা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে আর আপনার মেয়ে তো ছোট বাচ্চা। গরমের কারণে হয়তো বা ওর মাথায় ফোড়া উঠেছিল। তবে চুলগুলো কেটে ভালোই করছেন এখন দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। তবে আপনার মেয়ের এত সুন্দর কথা শুনে ভীষণ ভালো লাগলো। এখনকার বাচ্চারা ছোট থেকে অনেক বুদ্ধিমতী। আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাইয়া।
আসলে এখনকার বাচ্চারা ছোট থেকে অনেক বুদ্ধিমতী হয়। সব সময় দোয়া করবেন আমার মেয়ের জন্য।
আসলেই বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে বাবা মায়ের চিন্তার শেষ থাকে না।তার উপরে আপনার মেয়ের মাথায় মনে হয় অতিরিক্ত গরমে ফোঁড়া উঠেছে।আর এটা বাচ্চাদের খুবই কষ্ট দেয়,যাইহোক ছোটবেলায় আমাকেও ন্যাড়া করে দিতো।যাইহোক তাড়াতাড়ি চুল উঠে যাবে নাশিয়ার,শুভকামনা রইলো আপু।
আসলেই এটা বাচ্চাদের অনেক বেশি কষ্ট দিয়ে থাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমেই আপনার বাবুর সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহ যেন খুব শীঘ্রই তাকে সুস্থতা দান করে।ছোট বাচ্চাদের মাথায় বড় বড় চুল থাকলে দেখতে খুবই কিউট লাগে। তেমনি ভাবে আপনাদের মেয়েকে অনেক বেশি কিউট লাগে।কিন্তু কি আর করার যেহেতু মাথায় ফোড়া উঠেছে তাই মাথার চুল কেটে ফেলতে হয়েছে।খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আবার আপনার মেয়ের মাথায় বড় বড় চুল হবে।আপনারা দুশ্চিন্তা কইরেন না। আল্লাহর উপর ভরসা রাখেন। খুব তাড়াতাড়ি সব ঠিক হয়ে উঠবে।
আল্লাহর উপর তো সবসময়ই ভরসা আছে ভাইয়া। দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সে সুস্থ হয়ে যায়।