" ড্রাগন ফলের জুস"

Hello
বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই খুব ভালো আছেন। আজ আমার একটি পছন্দের ফলের জুস তৈরি করেছি। ভাবছি এটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এটি হলো "ড্রাগন ফল"। আমি খুব পছন্দের ফল। এটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতে তেমন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এটি একটি বিদেশী ফল। কিন্তু এখন এই ড্রাগন ফল আমাদের দেশে ও চাষ করা হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশেও এর চাষ হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর ড্রাগন ফলের জন্য বিখ্যাত। এমনকি বাড়ির ছাদের টবে এর চাষ করা যায়।আমি শপিংমল গিয়ে ফলটি দেখে না নিয়ে আসতে পারলাম না। তাই নিয়ে আসলাম।আবার এর অনেক উপকার পাওয়া যায়।আমাদের বাড়ির কেউ এই ফল পছন্দ করে না। কিন্তু আমার খুব প্রিয়।আমি আজ বিকালে এই " ড্রাগন ফলের জুস ' করেছিলাম । তাই ভাবলাম এটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা:
১. ড্রাগন ফল আমাদের বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।
২. ডায়েটের জন্য এটা খুব উপকার। এ ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন সি আছে।
৩. হজম শক্তি বৃদ্ধিতে এই ড্রাগন ফল খুব ভালো কাজ করে।
৪. এটি শরীরে রক্ত শূন্যতা দূর করে রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তাহলে এখন আমরা মূল রেসিপি তে ফিরে আসি।
উপকরণঃ
১. ড্রাগন ফল - ১ টি
২. চিনি - ৩ চামচ
৩. বরপ কিউব - ৪ টি

ড্রাগন

চিনি ও বরপ কিউব
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে ফলটি জল দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

২. এরপর ফলটির দুই মাথা ছুরি দিয়ে কাটতে হবে। এবার ফলটি চার ভাগ করে কেটে নিতে হবে।

৩. এবার খোসা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ছোটো ছোটো করে কেটে নিতে হবে।

৪.এবার টুকরো গুলো জুসার মেশিনে নিয়ে এক সাথে চিনি ও একটু জল দিয়ে জুস করে নিতে হবে।

৫. এবার একটা গ্লাসে ঢেলে ৪ টুকরো বরপ কুচি দিয়ে দিতে হবে।

তৈরি হয়ে গেল ঠান্ডা ঠান্ডা " ড্রাগন ফলের জুস"। পরিবেশন করার সময় আপনারা একটু লেবুর রস মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে জুসের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। আমি দেইনি কারণ আমার লেবুর রস ভালো লাগে না। আপনারা এটি জুস না করে ও
খেতে পারেন। আজ আমি জুস করে দেখলাম। আশা করি, এই "ড্রাগন ফলের জুস" আপনাদের ভালো লাগবে।