গ্রামের অতি প্রাচীন একটি খাবার " টক মিষ্টি ঝাল কচি ডাব মাখা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আজ আমি ভিন্ন রকম একটা খাবার আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এই খাবারটি আমার এবং আমার প্রিয় মানুষটির খুব পছন্দের একটা খাবার। আমি গ্রামে থাকতে প্রায়ই এই কচি ডাব মাখা খেতাম।তবে হ্যা আমি এটা তৈরি করতে পারিনা। আমার প্রিয় মানুষটি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে।তাই আমি কচি ডাব কিনে এনে বলেছিলাম একদিন এই কচি ডাব মেখে দিতে। তাই কাল দুপুরে এটি তৈরি করেছিলো। এটি অনেক টেস্টি একটি খাবার। যারা টক জাতীয় জিনিস খেতে পছন্দ করেন এটি তাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. কচি ডাব - ২ টি
২. লবণ - ২ চামচ
৩. তেঁতুল - হাপ্ কাপ
৪. শুকনো মরিচ - ৪ টি
৫. সরিষার তেল - ১ চামচ
৬. হলুদ - হাপ্ চামচ
৭. লেবুর পাতা - ৬ টি
৮. চিনি - ২ চামচ
কচি ডাব
লবণ, হলুদ, পাকা তেঁতুল ও শুকনো মরিচ
সরিষার তেল
লেবুর পাতা
চিনি
প্রস্তুত প্রণালী :
১. প্রথমে কচি ডাবের মুখ কেটে ডাবের ভিতর থেকে জল বের করে নিতে হবে। এরপর ডাব মাঝ বরাবর কেটে দুই ভাগ করে নিতে হবে।
২. এবার একটা কোরানি দিয়ে ডাব কুড়িয়ে নিতে হবে। ডাবের ভিতর থেকে নরম অংশ টুকু ও কিছু ছোবড়া বের করে নিতে হবে।
৩. ঠিক একইভাবে সব কয়টি ডাব কুড়িয়ে নিতে হবে।
৪. এরপর শুকনো মরিচ কয়েকটি সামান্য তেল দিয়ে মরিচ গুলো ভেজে নিতে। মরিচ ভেজে দিলে আলাদা একটা স্বাদ লাগে।
৫. এবার আমি আমার গাছ থেকে কয়েকটি লেবুর পাতা তুলে নিলাম।
৬.এবার ডাব মেখে নিতে হবে। এ জন্য একটা পাত্রে পরিমান মতো তেঁতুল নিতে হবে। একই সঙ্গে লেবুর পাতা, লবণ, হলুদ ও শুকনো মরিচ ভাজা দিয়ে একসাথে ভালো করে মেখে নিতে হবে।
৭. এরপর মাখা হয়ে গেলে কুড়ানো কচি ডাব নিয়ে আবার ও ভালো করে মেখে নিতে হবে।
৮. এরপর কচি ডাবের জল দিয়ে আবারো একটু মেখে নিতে হবে।
এবার তৈরি হয়ে গেল কচি ডাব মাখা। এটি অনেক টেস্টি একটি খাবার। এই রৌদ্রে গরমের ভিতর কচি ডাব মাখা খেতে অনেক মজার লাগে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে টক মিষ্টি ঝাল কচি ডাব মাখা।
এই রেসিপি তো একেবারে অবাক করে দিলো আমায় ! বৌদি তুমি কত কী রান্না করতে পারো! আমি এই রেসিপি জানতামই না, খুব ভালো লাগলো একেবারেই অন্যরকম একটা রেসিপি পোষ্ট দেখে। আমার বৌদি বেস্ট!🥰🥰🥰❤️
নতুন একটা রেসিপি শিখলাম বৌদি। এভাবে কখনও কচি ডাব মাথা খায়নি। আসলে এইভাবে যে খাওয়া যায় আমি সেটিও জানতাম না। টক ঝাল মিষ্টি কচি ডাবের মাখা টাইটেল শুনে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছিল ।জিভে জল আসার মত একটা রেসিপি ছিল বৌদি।নতুন একটা রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো আমি অবশ্য এটা একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বৌদি নতুন রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
টক মিষ্টি ঝাল কচি ডাব মাখা রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে বৌদি। আপনার প্রিয় মানুষ অর্থাৎ আমাদের দাদা এই রেসিপি খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। তবে আমি কখনো এই রেসিপি খাইনি। আজকে আপনার কাছে অনেক মজার একটি রেসিপি শিখেনিলাম। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আমি গ্রামের মেয়ে হয়েও এই গ্রামীণ খাবার সম্পর্কে আমার কোন পরিচয় নেই। কচি ডাব এভাবে এত সুন্দর ভাবে টক-ঝাল-মিষ্টি আকারে মাখিয়ে খাওয়া যায় আগে জানলে খেয়ে নিতাম। কেননা সবগুলো উপকরণ আমাদের হাতের নাগালে পাওয়া যায় । আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমার একেবারে জিভে জল চলে এসেছে। ধন্যবাদ বৌদি এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আপনার রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। সত্যি বেশ অসাধারণ হয়েছে। আসলে আমি এই ধরনের ডাব মাখা কখনো খাইনি। আপনার রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে । এত অসাধারন রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ।ভালো থাকবেন বৌদি।
এরকম রেসিপি আমি আজকে প্রথম দেখলাম। এই রেসিপিটি নামও শুনি নি এমনকি খাই ও নি। কিন্তু আপনার পুরো রেসিপি টা দেখে জিভে জল চলে আসলো। মনে হচ্ছে এটা খেতে ভীষণ মজা। এরকম একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
গ্রামের অতি প্রাচীন একটি খাবার " টক মিষ্টি ঝাল কচি ডাব মাখা" তৈরি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে দিদি। দারুণভাবে সুন্দর একটি খাবার পরিবেশন করলেন আমাদের মাঝে। যেটা দেখে খাওয়ার লোভ জাগলো। এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বৌদি আপনার মাধ্যমে একটি ইউনিক রেসিপি দেখতে পারলাম আমার কাছে আপনার করার রেসিপি খুবই সুন্দর টক-ঝাল-মিষ্টি। আপনি বরাবর আমাদের মাঝে ইউনিক রেসিপি শেয়ার করতে বেশি পছন্দ করেন। আপনার মাধ্যমে আমি অনেক কিছু শিখেছি। এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে নিখুঁত করে রেসিপিটি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
এই রেসিপি আমি আজ ই প্রথম দেখলাম বৌদি।এমন একটি রেসিপি কেনো যে আগে থেকে জানতাম না তাই ভেবে তো মেজাজ খারাপ হচ্ছে!ট্রাই তো করবোই।
কালকে দাদার কাছে শুনলাম ডাব মাখার কথা,আমি অনেক অবাক হয়েছিলাম,তেতুল দিয়ে ডাব দিয়ে কেমনে কি,পরে বললো রেসিপি দিবনে।যাক হোক নতুন একটি রেসিপি দেখতে পেলাম আপু।দেখেই মনে হচ্ছে খেতে বেশ দারুন হয়েছে।বাসায় একদিন দেখতে হবে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু