ভ্রমণ|| লালবাগ কেল্লায় ঘোরাঘুরি(শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সবাই কেমন আছেন? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
আজ শেয়ার করবো লালবাগ কেল্লায় ঘোরাঘুরির শেষ পর্ব। এর আগের পর্বে বলেছিলাম লালবাগ কেল্লার ভিতরের পরিবেশ খুবই সুন্দর। এই জায়গায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। এমন সুন্দর জায়গায় সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। কেল্লার ভিতরেই একপাশে পাহাড়ের মতো উঁচু টিলা রয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে সম্পূর্ণ কেল্লার দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে। আমরা বেশ কিছুক্ষণ নিচে হাঁটাহাঁটি করে টিলার উপরে উঠে গেলাম। সেখানে উঠার পর কিছু কবুতর ও ফড়িং দেখতে পেলাম। যদিও ছবি তুলতে পারিনি কারণ ছেলে ফড়িং আর কবুতর পেয়ে এতটাই আনন্দ করছিল সেটা দেখে আমি ছবি তুলতে ভুলে গেলাম।
যেহেতু টিলার উপর ছোট ছোট ঘাস ছিল তাই বেশ ভালোই ঘাস ফড়িং দেখা যাচ্ছিল। ছেলে সেগুলোর পিছনে দৌড়াতে লাগলো। এরপর উপরে দাঁড়িয়ে কেল্লার সম্পূর্ণ দৃশ্যের কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। এতটাই সুন্দর লাগে যে শুধু দেখতেই ইচ্ছে করে। চারপাশে যেন সবুজে ঘেরা রয়েছে। সেখানে দাঁড়ালে মনে হবে আপনি হয়তো স্বপ্নের দেশে রয়েছেন। এমন দৃশ্য দেখলে মন ভরে যায়। সারাদিন ইটপাথরের দেয়ালে বন্দী থাকতে থাকতে দম বন্ধ হয়ে আসে। তখন যদি কিছু সময়ের জন্য এমন সবুজ প্রকৃতি ঘেরা মনোরম পরিবেশ থেকে ঘুরে আসা যায় তাহলে খুব ভালো লাগে।
এরপর টিলা থেকে নেমে হাঁটতে লাগলাম একটু দূর আসতেই দেখতে পেলাম পুরনো আরও একটি বিল্ডিং। সেখানে একটি গোপন রাস্তা রয়েছে। আরেকটু সামনে যেতেই আরও একটি পুরনো বিল্ডিং রয়েছে। তার সামনে খুব সুন্দর রাস্তা। আমরা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হঠাৎ মনে হলো মাথার উপর দিয়ে ঝাঁক বেঁধে কি যেন উড়ে যাচ্ছে। তাকাতে দেখতে পেলাম চড়ুই পাখি ও বাদুড় এর দল যাচ্ছে। মোবাইলের ক্যামেরা অন করতে করতে উধাও হয়ে গেলো।
তারপর আবারও হাঁটতে লাগলাম আরেকটু দূর যেতেই দেখতে পেলাম পরিত্যক্ত বিশাল পুকুর। যদিও একটা সময় সেখানে পানিতে ভরপুর ছিল। সময়ের সাথে সাথে যেন সবকিছু হারিয়ে গিয়েছে। এখন পুকুরটি শূন্য পড়ে রয়েছে। সম্পূর্ণ পুকুর সবুজ ঘাসে ভরে রয়েছে। সম্পূর্ণ কেল্লার ভিতরে রাস্তার চারপাশে খুব সুন্দর ভাবে রঙ্গন ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে আর গাছ ভর্তি এমন লাল টুকটুকে রঙ্গন ফুল দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য মাইকে বারবার বলেছিল।
এমন সুন্দর জায়গায় গেলে আর বের হতে ইচ্ছে করে না। আমাদের হাতে সময় কম ছিল বলে বেশিক্ষণ থাকতে পারিনি। বাচ্চাদের নিয়ে এসব জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে খুব ভালো লাগে। যাই হোক আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ সবাইকে। ❤️
পোস্টের বিবরণ
| ডিভাইসের নাম | vivo y16 |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @tanjima |
| ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
| লোকেশন | লালবাগ কেল্লা,ঢাকা |
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power












.png)

💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 7/8) Get profit votes with @tipU :)
লালবাগ কেল্লা খুব সুন্দর একটি জায়গা আপু। যখন দুই বছর আগে গেছিলাম তখন বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম। আজকে আপনারা শেষ পর্ব দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমার কাছে এই জায়গাটি খুবই পছন্দ হয়েছে। বিশেষ করে ভিতরের সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ গুলো দেখতে খুবই সুন্দর।
আপু আপনিও লালবাগ কেল্লায় ঘুরতে এসেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
লালবাগ কেল্লার ঘটনা আমি আমার পাঠ্যবইয়ের মধ্যে অনেক পড়েছিলাম। আপনি দেখছি লালবাগ কেল্লায় ঘুরতে গিয়েছিলেন, জেনে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে এই জায়গা টি অনেক প্রাচীন একটি জায়গা। আমার ও ইচ্ছা আছে এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার।
এমন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে খুব ভালো লাগে। সময় পেলে ঘুরে যাবেন। ধন্যবাদ।
এর আগেও আপনার লালবাগ কেল্লা ভ্রমণের একটা পর্ব দেখেছিলাম। আজকে শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। লালবাগ কেল্লায় কখনো যাওয়া হয়নি সব সময় বইয়ে পড়েছি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে পুরো এরিয়াটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। জায়গাগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর। আপনি দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু সময় পেলে ঘুরে আসবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
লালবাগ কেল্লা ঘুরাঘুরি করার শেষ পর্ব টা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনি তো দেখছি ঘুরাঘুরি করার সময় বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছিলেন। সব মিলিয়ে আমার কাছে কিন্তু অসম্ভব ভালো লেগেছে, আপনার কাটানো পুরো মুহূর্তটা এই পোষ্টের মাধ্যমে পড়ে।
লালবাগ কেল্লা ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা দেখে বেশ ভালো লাগলো।আপনার ফটোগ্রাফি সত্যিই অসাধারণ, প্রতিটি ছবি যেন স্থানটির সৌন্দর্য এবং ইতিহাসকে জীবন্ত করে তুলেছে। পুরো পোস্টটা পড়তে গিয়ে মনে হল, আপনি সেখানে যে মুহূর্তগুলো কাটিয়েছেন, তা সত্যিই বিশেষ ছিল। ধন্যবাদ শেষ পর্বটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
লালবাগ কেল্লায় ঘুরাঘুরি করতে আসলেই খুব ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে পুরনো কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে। কারণ বিগত ২/৩ বছরে মিনিমাম ৭/৮ বার লালবাগ কেল্লায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে আপু। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি ঢাকায় থাকার সময় প্রায় শুক্রবার যেতাম সেখানে, বেশ ভালো সময় কাটানোর দারুণ একটা ঐতিহাসিক জায়গা এটা।