🥣🐟পাঙ্গাশ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি🐟🥣
আসসালামু আলাইকুম। হ্যালো বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
আজ আবারও চলে আসলাম আরও একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে শেয়ার করবো পাঙ্গাশ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি। যেকোনো ভুনা রেসিপি একটু ঝাল ঝাল খেতে ভালো লাগে। আমি সবসময়ই ঝাল একটু বেশিই পছন্দ করি বিশেষ করে তরকারিতে ঝাল হলে ভালো লাগে। আমি পাঙ্গাশ মাছ একদমই পছন্দ করিনা। আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন তাহলে কেন পাঙ্গাশ মাছ ভুনা করেছি? তার কারণ আমার হাসবেন্ড পাঙ্গাশ খেতে খুব পছন্দ করে। কিন্তু সে বিয়ের পর থেকে আমার জন্য এই মাছ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তার কারণ দু'জন মানুষের মধ্যে একজন একটা জিনিস না খেলে আরেকজন কি করে খায়। তবে আমি যেই মাছ পছন্দ করি সে এখন তাই খায়। যখন বাড়িতে যায় আর যেই কয়দিন থাকে প্রায় সময় পাঙ্গাশ খায়। তাদের বাড়ির সবাই পাঙ্গাশ পছন্দ করে।
কিন্তু আমাদের আবার সম্পূর্ণ উল্টো আমরা কেউ পাঙ্গাশের গন্ধ সহ্য করতে পারিনা। তারজন্য কখনো খাওয়া হয়নি। কিছুদিন আগে তার সাথে বাজারে গিয়েছি আর আমাকে জিজ্ঞেস করে কি মাছ কিনবো।তখন চিন্তা করলাম সবসময় তো আমার পছন্দের মাছ কিনা হয় আর কিছু না বলেই খেয়ে নেয়। তাই এবার তার পছন্দের পাঙ্গাশ কিনতে বলেছিলাম আর তখন বারবার জিজ্ঞেস করছে তুমি খাইবা তো। তখন তার কথা চিন্তা করে বললাম হ্যাঁ খাবো। এরপর অনেক বড় দেখে একটা পাঙ্গাশ নিয়ে আসি। প্রথম খেয়ে খারাপ লাগেনি তবে পাঙ্গাশের গন্ধ নাকে লাগে।
সেই দিন সময়ের অভাবে রেসিপির ছবি তুলা হয়নি। তাই চিন্তা করলাম আজ আবার ভুনা করি। কিন্তু আজ ছবি তুলতে মিস করিনি। প্রথম দিনের তুলনায় আজকের ভুনা অনেক বেশি মজাদার হয়েছে। সে খেয়ে খুব মজা পেয়েছে আর বলছে এভাবে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আজকে মনে হচ্ছে পাঙ্গাশ রান্না করে স্বার্থক হয়েছি। আমার নিজের কাছেও অনেক ভালো লেগেছে। তার মানে এই নয় বারবার পাঙ্গাশ আনতে বলবো হা হা হা। যাই হোক তাহলে চলুন রেসিপির ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
নাম | পরিমাণ |
---|---|
পাঙ্গাশ মাছ | ৪ পিস |
কাঁচামরিচ কুচি | কয়েকটি |
লবণ | স্বাদ মতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
ধনিয়া গুঁড়া | হাফ চামচ |
জিরা বাটা | হাফ চামচ |
পেঁয়াজ বাটা | এক বাটি |
মরিচের গুঁড়া | দুই চামচ |
হলুদের গুঁড়া | দেড় চামচ |
ধনিয়া পাতা কুচি | পরিমাণ মতো |
রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ
😋১ম ধাপ😋
প্রথমে মাছের পিসগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেবো। এরপর হলুদ,হালকা মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে নেবো।
😋২য় ধাপ😋
এরপর চুলায় ফ্রাইপ্যানে বসিয়ে দেবো। ফ্রাইপ্যান গরম হয়ে এতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দেবো।
😋৩য় ধাপ😋
এখন তেল গরম হয়ে এলে এতে মাছের পিসগুলো দিয়ে দেবো। এরপর লাল করে ভেঁজে নেবো।
😋৪র্থ ধাপ😋
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দেবো আর কড়াই গরম হয়ে এলে এতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দেবো।
😋৫ম ধাপ😋
এখন তেল গরম হয়ে গেলে এতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে একটু সময় ভেঁজে নেবো।
😋৬ষ্ঠ ধাপ😋
এবার সবগুলো মশলা দিয়ে তেলের সাথে মিলিয়ে নেবো।
😋৭ম ধাপ😋
এরপর অল্প পানি দিয়ে মশলা ভালো করে কষিয়ে নেবো।
😋৮ম ধাপ😋
মশলা কষানো হয়ে এলে এতে মাছের পিসগুলো দিয়ে দেবো। এরপর মশলার সাথে মিশিয়ে নেবো।
😋৯ম ধাপ😋
এবার অল্প পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নেবো।
😋১০ম ধাপ😋
এরপর ঝোল শুকিয়ে এলে এতে কাঁচামরিচ ও ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দেবো।
😋শেষ ধাপ😋
এবার একটু নেড়েচেড়ে পাঙ্গাশ মাছ ভুনা নামিয়ে নেবো। তাহলেই হয়ে যাবে পাঙ্গাশ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি। এরপর সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য চলে যাবো।
😋পরিবেশন😋
আজকে এই রেসিপি দেখতে যেমন সুন্দর লাগছে তেমনি খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এভাবে যেকোনো মাছ ভুনা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনাদের কাছে যদি আমার এই রেসিপি ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। যাই হোক এখন আমি আপনাদের সাথে আমার রেসিপি সুন্দর ভাবে পরিবেশন করার জন্য নিয়ে আসছি। আশা করি আমার মতো আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে। আজ এ পর্যন্ত আবার দেখা হবে নতুন কোনো রেসিপির মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
পাঙ্গাশ মাছ আমি খাই না। তবে আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটি খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। পাঙ্গাশ মাছের রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই অসাধারণ। জিরা বাটা, ধনিয়া গুঁড়া দেওয়াতে খেতে নিশ্চয় বেশ ভালো লাগবে। আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আপু।
আপনিও পাঙ্গাশ পছন্দ করেন না জেনে ভালো লাগলো। অনেক গুলো মশলা দিয়ে রান্না করাতে খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। ধন্যবাদ।
দুজন মানুষের মধ্যে একজন যদি সেই খাবারটি অপছন্দ করে তাহলে রান্না করাটাও কেমন জানি দেখায়। তাইতো ভাইয়া এই মাছ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। পাঙ্গাশ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে।
দু'জনের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন খাবার হলে কিন্তু খেয়ে মজা নেই। তারজন্য মাঝে মাঝেই আমার অভ্যাস সে গ্ৰহণ করে নেয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
এটা খুব ভালো করেছেন আপু ভাইয়ার পছন্দের পাঙ্গাস মাছ কিনে। ছোট বেলায় পাঙ্গাস মাছ আমার প্রিয় ছিল। তবে এখন আর খেতে পারি না। তবে আপনি যেভাবে রান্না করেছেন খেতে তো মজা হয়েছে নিশ্চয়।
কি করবো বলেন সবসময় তো আমার পছন্দের কেনা হয়। এতে একটু হলেও তো কষ্ট হয়। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
পাঙ্গাস মাছ আগে খেতাম না। ছোটবেলায় নানির বাসায় গিয়েছিলাম আমাকে অন্য মাছ বলে খাওয়ায় দিছিলো। সেই প্রথম খাওয়া তারপরও বেশ ভালোই লাগছিল কিন্তু আমার পাঙ্গাস মাছটা একটু ভেজে খেতে ভালো লাগে বেশি। জি আপু পাঙ্গাসের গন্ধটা সহ্য করা যায় না। এই কারণে খেতে ইচ্ছা করে না। একটু সুন্দর করে রান্না করলে গন্ধটা আর থাকে না।আপনি প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।আমরা সহজে এটা ইচ্ছা করলে বাসায় বানিয়ে নিতে পারব। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপু।
আমিও কখনো পছন্দ করিনি তবে এখন তার সাথে মাঝে মাঝে খেতে হয় বলে খাওয়া হয়। যাই হোক আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
পাঙ্গাস মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। পাঙ্গাস আমার এমনিতেই অনেক বেশি পছন্দের। যে কোন মাছের ঝাল ঝাল ভুনা রেসিপি তৈরি করলে তা এমনিতেই সুস্বাদু হয়। আর যদি হয় পাঙ্গাস মাছ, তাহলে তো কোন কথাই নেই। নিশ্চয়ই আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল আর খুব মজা করে খেয়েছিলেন।
ভাইয়া আপনার পাঙ্গাশ মাছ পছন্দ জেনে ভালো লাগলো। হ্যাঁ ভাইয়া যেকোনো মাছ এভাবে ঝাল দিয়ে ভুনা করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আমিও পাঙ্গাস মাছ একদমই খেতে পারতাম না। তবে ইদানিং ছেলে ও মেয়ের পছন্দের মাছ হচ্ছে পাঙ্গাস। আর তাই আমাকেও বাধ্য হয়ে পাঙ্গাস মাছ কিনে নিয়ে আসতে হয়। আর ওদের সাথে বসে একটু একটু খেতে খেতে এখন একপিস অন্তত খাওয়া হয়ে যায়। আপনি ঠিকই বলেছেন, পরিবারের কেউ একজন না খেলে সে মাছ কিংবা খাবার তেমন একটা রান্না করা হয় না। যাইহোক আপু আপনার তৈরি, পাঙ্গাস মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই স্বাদ হয়েছিল। কালারটা খুবই লোভনীয় লাগছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, সুস্বাদু ও লোভনীয় এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমারও একই অবস্থা তার সাথে বসে একপিস খেতে খেতে খাওয়া হয়ে যায়। খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
পাঙ্গাশ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। পাঙ্গাশ মাছ খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। যদি সেটা ভালো ভাবে রান্না করা হয়। আপনার চমৎকার পোস্ট দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। দেখে বোঝা যাচ্ছে জমিয়ে খেয়েছেন মনে হচ্ছে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ ভাইয়া খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ।
আমিও কোনদিন পাঙ্গাশ মাছ খাইনি তাই স্বাদও বুঝি না।কিন্তুু আপনার পাঙ্গাস মাছের রেসিপিটা এতো সুন্দর হয়েছে যে লোভ লেগে যাচ্ছে। এভাবে রান্না করলে গন্ধ থাকার কথা নয়।মাছের পিস গুলোতো বেশ বড়ো বোঝা যাচ্ছে বড়ো ছিলো মাছটি।আসলে একজন না খেলে অন্য জনেরও খাওয়া হয় না।তবে খুব ভালো লাগলো যে আপনি ভাইয়ার কথা চিন্তা করে পাঙ্গাশ মাছটি কিনেছেন এবং ভাইয়াকে খুশি করার জন্য স্বিকার করেছেন যে আপনিও খাবেন।এটাই ভালোবাসা।ধন্যবাদ অনেক সুন্দর গুছিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু এভাবে রান্না করতে কোনো গন্ধ ছিল না। আপনিও একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।