ছেলেদের স্কুল শেষে খাওয়া দাওয়া ও ঘুরাঘুরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সবসময় ছুটির দিনে ঘুরাঘুরি করা হয়। ছুটির দিনগুলোতে সব জায়গায় প্রচন্ড পরিমাণে ভিড় থাকে। এজন্য ঘুরতে গিয়েও আরাম পাওয়া যায় না। ছুটির দিন ছাড়া তেমন একটা সুযোগ হয় না ঘুরাঘুরি করার। হাজবেন্ডের অফিস থাকে সেই সাথে বাচ্চাদেরও স্কুল থাকে। বেশ কিছুদিন ধরে হাজবেন্ডের অফিসে খুব চাপ যাচ্ছিলো। কাজের প্রেসার অনেক বেশি ছিল। বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত দশটা বেজে যেতো। বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারছিল না। অফিস থেকে আসতে আসতে বাচ্চাদের ঘুমের সময় হয়ে যেত। আবার সকাল বেলা ওর বাবা ঘুম থেকে ওঠার আগেই আমরা স্কুলে চলে যেতাম। সবকিছু মিলিয়ে ওর বাবা অফিস থেকে দুইদিন ছুটি নিয়ে নিয়েছিলো। বাসায় থেকে রেস্ট নেওয়ার জন্য এবং আমাদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য। আমি সকালবেলা বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে চলে গিয়েছিলাম। ওর বাবা ছোট ছেলের স্কুল ছুটির সময় আমাদের আনতে গিয়েছিল। ছোট ছেলে স্কুল ছুটি হওয়ার দুই ঘন্টা পরে বড় ছেলের ছুটি হয়। ওই সময়টা কি করব তাই আমিও এই ফাঁকে একটু ড্রাইভিং প্র্যাকটিস করে নিলাম। স্কুলের ওই দিকটা একদমই ফাঁকা থাকে এবং রাস্তাঘাট খুব সুন্দর। বেশ কিছুক্ষণ ড্রাইভিং করে আবারো স্কুলে এসে ক্যান্টিনে অপেক্ষা করছিলাম বড় ছেলের ছুটির জন্য।
বড় ছেলের ছুটি হওয়ার পর ভাবছিলাম যে কোথায় যাবো। আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলাম যে আজকে দুপুরে বাইরে খাবো। কারণ বাসায় যেতে যেতে দুপুর টাইম হয়ে যেত। তখন আর রান্নার সময় থাকতো না। যেহেতু আমরা পূর্বাচলের ওইদিকে ছিলাম তাই ওখানে খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। পূর্বাচলের ওইদিকে সুন্দর সুন্দর রেস্টুরেন্ট রয়েছে বাংলা খাবারের। রেস্টুরেন্ট গুলোতে বিকালবেলা অনেক বেশি ভিড় থাকে। দুপুরে তেমন একটা ভিড় ছিল না। তাছাড়া অফিসের দিন হওয়ার কারণে আরো বেশি ফাঁকা ছিল। ফাঁকা বেশ ভালোই লাগছিল। খুব সুন্দর ডেকোরেশন করা ভালোই লাগছিল ঘুরতে। শুরুতেই আমরা খাবারের মেন্যু দেখে নিলাম। বিভিন্ন ধরনের ভর্তা, অনেক ধরনের মাছ, মাংস ছিল।
আমরা খাবার মেন্যুগুলো দেখে কয়েক রকমের ভর্তা, ভাজি, হাঁসের মাংস, মাছ, বাচ্চাদের জন্য মুরগির মাংস অর্ডার দিলাম। গরম ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা এবং খাবারগুলো খেতে খুব ভালো লাগছিল। এদের রান্না বেশ মজার ছিল। সব সময় তো রেস্টুরেন্টে গেলে চাইনিজ খাবার বা অন্য ধরনের খাবার খাওয়া হয়। এরকম বাংলা খাবার খুব একটা খাওয়া হয়না। অনেকদিন পর বাইরে এরকম খাবার খেয়ে খুব ভালো লেগেছিল।
যেহেতু ঘুরতে বেরিয়েছি তাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আর বাসায় যেতে ইচ্ছা করলো না। ভাবলাম যে এদিকে আশেপাশে কোথাও ঘুরতে যাই। কোথায় ঘুরতে যাব চিন্তা করতে করতে পাশেই জিন্দা পার্কের কথা মনে পড়লো। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা জিন্দা পার্কে চলে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে সেই পার্কে ঘোরাঘুরি মুহূর্তে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I Phone 15 Pro max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হ্যাঁ বর্তমানে পূর্বাচল অঞ্চলে অনেকগুলো নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে যেখানে মজাদার সব বাংলা খাবার পাওয়া যায়। যেহেতু দুপুর টাইমে গিয়েছিলেন সেহেতু তুলনামূলক ভিড় কম থাকার কথা যাইহোক সেখানে গিয়ে সুন্দর সময় কাটানোর মুহূর্তটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
এজন্যই ওই দিকে গিয়েছিলাম খাবার খেতে। বেশ মজা করে খাবারগুলো খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মাঝে এরকম ছোটখাটো আউটিং মনটাকে সঠিক করে তোলে। আপনি যে রেস্টুরেন্টাতে গেছেন অপূর্ব দেখতে। এখন ভারতীয় এরকম অনেক রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়েছে প্রাকৃতিক জিনিসপত্র দিয়ে। আসলে সকলি ইকো ফ্রেন্ডলি হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। খাবারের মেনুগুলো বেশ লোভনীয়। খাবার গুলো দেখতেও ভালো। তবে এরকম ঝুড়ির ঢাকনা চাপা দিয়ে রেস্টুরেন্টে খাবার সার্ভ করে প্রথমবার দেখলাম আর দেখে কিন্তু বেশ লাগলো।
এজন্যই আমার হাজব্যান্ড অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিল। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
সব ধরনের ব্যস্ততার মধ্যেও সবাই মিলে কিছুটা সময় একসাথে বাইরে কাটাতে পারলে ভালোই লাগে। ব্যস্ততার মাঝেও মনটা কিছুটা ফ্রেশ থাকে। খাবার গুলো দেখে তো লোভনীয় লাগছে। বাইরে বের হলে বেশিরভাগ সময় বিদেশি খাবার গুলোই খাওয়া হয় তবে এরকম বাঙালি খাবার খেতে পারলে তো দারুন হয়। আপনাদের কাটানো এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্যস্ততার মধ্যেই সময় বের করতে হয় পরিবারের জন্য। তা না হলে সময় কাটানো যায় না। যাই হোক আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া দুই দিনের জন্য অফিস ছুটি নিয়ে ভালোই করেছে। সবকিছুর মাঝে ফ্যামিলি কে একটু সময় দেওয়া উচিত সবার। যাইহোক বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হওয়ার পর আপনারা সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া আর ঘুরাঘুরি করেছেন শুনে ভালো লাগলো। এই রেস্টুরেন্টে দেখছি বাংলা খাবার গুলো পাওয়া যায়। নিশ্চয়ই সবাই অনেক মজা করে খেয়েছেন। ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
অফিসে অনেক বেশি চাপ যাচ্ছিলো এজন্যই কিছুটা রিলাক্সের জন্য ছুটি নিয়েছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পরিবারের সাথে সময় কাটাতে সবারই অনেক বেশি ইচ্ছে করে। তাই তো ভাইয়াও অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিল আপনাদের সাথে কিছু সময় কাটানোর জন্য। ছেলেদের স্কুল ছুটি হওয়ার পর অনেক মজা করেই খাবার খেয়েছেন বাহিরে, এটা দেখেই ভালো লাগলো। তাও আবার বাঙালি খাবারগুলো এটা দেখে ভালো লাগলো। সেই সাথে সুন্দরভাবে ঘুরাঘুরি করেছেন শুনে আরো ভালো লাগলো। এই মুহূর্তটা আশা করি তাড়াতাড়ি শেয়ার করে নিবেন।
ছেলেদের স্কুল ছুটির পর এরকম কখনো ঘুরতে যাওয়া হয়না। সেদিন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
যেহেতু দুপুরের খাবারের সময় হয়ে গেছে, ছেলেদের কে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে ভালোই করেছেন। আমাদেরও আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লেগেছে। ভর্তা হাঁসের মাংস মাছ দিয়ে দারুন ভাবে ভুরি ভোজন করেছে। ধন্যবাদ আপু।
বাইরে খাবার খেলে আমার বাসায় কষ্ট করতে হয় না। এজন্যই বাইরে খাবার খেতে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।