শেফস টেবিলের কোর্টসাইডে ঘুরাঘুরি শেষ পর্ব
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত দিন আপনাদের সঙ্গে শেফস টেবিলের ঘুরাঘুরি শেয়ার করেছিলাম। সেখান থেকে গিয়েছিলাম পাশে বাচ্চাদের খেলার জায়গায়। বাচ্চাদের খেলার জায়গাটা অনেক বড় এরিয়া নিয়ে তৈরি। এজন্য পোস্টটি একদিনে শেষ করতে পারিনি। তাই আজকে আবার চলে আসলাম পরবর্তী পর্ব শেয়ার করার জন্য। প্রথমেই তো বাচ্চারা গিয়ে খুব ছোটাছুটি করে রাইডগুলোতে খেলাধুলা করেছে। কিছুক্ষণ পর সেগুলো ভালো লাগছিল না। তারপর তারা বাকি যেগুলো ছিল সেগুলোতে উঠতে চাচ্ছিলো। কিন্তু সেগুলো আবার প্রতিটিতে আলাদা করে টিকিট কাটতে হয়। ফ্রি রাইড এর পাশাপাশি পেইড কিছু রাইড ছিল। সেগুলো আবার ১০০ টাকা করে টিকিট। প্রথমে ভেবেছিলাম যে ছোট ছোট রাইডগুলোতে আর ওঠাবো না। কিন্তু বাচ্চাদের বারবার বলার কারনে ওর বাবা পরে রাজি হয়ে গিয়েছিল। পরে দুইজনকে দুইটি রাইডে উঠিয়েছিলো।
ছোট ছেলে দূরের ওই প্লেনগুলোতে উঠেছিল। অল্প কয়েক মিনিটের জন্য ১০০ টাকা করে টিকিট কাটতে হয়েছে। কিন্তু বাচ্চাদের খুশির জন্য এটুকু তো করাই যায়। আর বড় ছেলে বাম্পার কারসে উঠেছিল। এটির টিকিট আবার ৩০০ টাকা করে। ছোট ছেলেও এই গাড়িগুলোতে উঠবে। কিছুতেই তাকে আটকানো যাচ্ছিল না। পরে কি আর করার বড় ছেলের পাশে বসিয়ে দিয়েছি। সে তো আর আলাদা একটি গাড়ি চালাতে পারে না। আবার আলাদা করে তাকে গাড়ি দিতে গেলে আবারো টিকিট কাটতে হতো। অবশ্য বাচ্চারা বেশ মজা করে এই গাড়ি চালিয়েছে।
বাম্পারস কারের পাশের এরকম একটি স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড শোরুম ছিল। এখানে বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস এর জিনিস পাওয়া যাচ্ছিলো। কিন্তু মনে হলো যে সব ধরনের জিনিসই এখানে পাওয়া যায়। মোটামুটি ভালোই এক্সপেন্সিভ মনে হল। ভিতরে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। আবার এসব দোকানে জিনিসগুলো অনেক দাম। বাচ্চাদের একটি খেলনার দোকান ছিল। ভাগ্য ভালো বাচ্চারা সেই দোকানটি দেখেনি। দেখলে হয়ত সেখান থেকে কিছু কেনার বায়না করতো।
খেলতে খেলতে বাচ্চারা অনেক টায়ার্ড হয়ে গিয়েছিল। এখন তো তাদের আবার কিছু খেতে হবে। তাই আবারও গেলাম ভিতরে। বড় ছেলে জুস খাবে, আর আমরা আইসক্রিম। তাই চলে গিয়েছিলাম savoy এর সামনে। ওখানকার আইসক্রিম অনেক মজার হয়। বিভিন্ন ফ্লেভারের আইসক্রিম পাওয়া যায়। আমরা ম্যাংগো এবং ভ্যানিলা ফ্লেবারের একটি নিয়েছিলাম এবং আরেকটি নিয়েছিলাম পেস্তা ফ্লেভারের। আইসক্রিম সব ফ্লেভারের বেশ মজার ছিল।
এভাবে আমার সেদিনকার মজার একটি দিন শেষ হয়েছে। আশা করি আপনাদের আজকের পোস্টটি ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I PHONE 15 PRO MAX |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এরকমভাবে ঘুরাঘুরি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনাদের ঘুরাঘুরি করার এই পোস্টটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আইসক্রিম খেয়েছিলেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। আইসক্রিম দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক মজাদার। মজার একটা দিন শেষ করেছেন দেখেই অনেক ভালো লাগলো। আপনাদের কাটানো সুন্দর এই মুহূর্তটাকে সবার মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ।
ঘোরাঘুরি করতে সবারই ভালোলাগার কথা। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ঘুরাঘুরি করতে কে না পছন্দ করে। আমি তো অনেক বেশি ভালোবাসি ঘুরাঘুরি করতে। এরকম সুন্দর জায়গা গুলোতে ঘুরতে যেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে তো বাচ্চারা অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পারে। আপনার ঘুরাঘুরি করার শেষ পর্বটা ভালোভাবে উপভোগ করেছি। আবার দেখছি আইসক্রিম খেয়েছেন। এটা দেখে তো আমার আইসক্রিম খাওয়ার জন্য লোভ লেগে গেলো। মুহূর্তটা খুব ভালো কেটেছে বুঝতেই পারছি দেখে।
ঠিক বলেছেন আপু ঘোরাঘুরি করতে কে না পছন্দ করে। বাচ্চাদেরকে এরকম জায়গায় নিয়ে গেলে তারা খুব খুশি হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
শেফস টেবিলের কোর্টসাইড জায়গাটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। জায়গটা বিশাল বড় দেখলাম। আর প্রাকৃতি দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সাজানো গুছানো। বাচ্চাদের পাশাপাশি বড়রাও ঘুরে মজা পাবে। ধন্যবাদ।
জায়গাটা আসলেই খুব চমৎকার। সময় সুযোগ হলে ঘুরে আসবেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।