ছেলের স্কুলে প্যারেন্টস মিটিং এ

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমার ছেলের স্কুলটা একটু দূরে এজন্য সচরাচর স্কুলে যাওয়া হয় না। ছেলে স্কুলের বাসে যাতায়াত করে। মাসে একবার যাওয়া হয়। সেদিন ছেলের স্কুলে প্যারেন্টস মিটিং ছিল জন্য গিয়েছিলাম। প্রতিমাসে একবার করে প্যারেন্টস মিটিং হয়। বাচ্চাদের সম্পর্কে আপডেট দেওয়া হয়। এবারের প্যারেন্টস মিটিংটা শনিবারে পরেছিল। শনিবারে হওয়ার কারণ একটা সুবিধা হয়েছিল। হাজবেন্ডের অফিস বন্ধ তাই হাজবেন্ড সহ যেতে পেরেছিলাম। আমরা সকাল সাড়ে আট টায় বাসা থেকে বের হয়েছিলাম যেহেতু মিটিং নয় টায় ছিল। ৩০০ ফিট দিয়ে স্কুলে যেতে হয় জন্য যাওয়ার পথে তেমন একটা জ্যাম পড়ে না। কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়। সেদিন যাওয়ার সময় বসুন্ধরা গেট দিয়ে বের হওয়ার পরেই গোল চত্তরের ওখানে এমন জ্যাম যে আধাঘন্টা ওখানে দেরি হয়ে গেল। আমরা ভেবেছিলাম যে ২০-২৫ মিনিটে স্কুলে পৌঁছে যাব। কিন্তু যেতে যেতে ১৫-২০ মিনিট দেরি হয়ে গিয়েছিল। গিয়ে দেখি যে মিটিং শুরু হয়ে গিয়েছে।


2F9661FE-A8FD-453A-A578-DA96F439063E.jpeg


শুরুতেই টিচার বাচ্চাদের পড়ালেখার বিষয়ে অনেক কিছু আলোচনা করলো। তারপর প্যারেন্টসদেরকে বলল যে কারো কিছু প্রশ্ন আছে কিনা। অনেক প্যারেন্ট বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করল। আরো কি কি বিষয় এড করলে বাচ্চাদের জন্য সুবিধা হয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা হল। তারপর একেক জন বাচ্চার প্যারেন্টসকে ডেকে টিচার পার্সোনালি আলাপ করল বাচ্চার সম্বন্ধে। আমি তো একটু ভয়ে ছিলাম যে আমার বাচ্চা খুব দুষ্টু না জানি কোন কমপ্লেইন করে। টিচারের কাছে যাওয়ার পর টিচার ছেলের খুব প্রশংসা করল। বলল যে ওর ব্রেন খুব ভালো কিন্তু চঞ্চলের জন্য স্থির থাকতে পারে না। বিভিন্ন বেঞ্চের সামনে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করেন। তাছাড়া মোবাইল এবং টিভি একটু কম দেখতে বললো। বড় ছেলের স্কুলে বিশাল বড় একটি মাঠ আছে।সেখানে বেশ কয়েকটি ফুটবল থাকে বাচ্চাদের খেলার জন্য। ছোট ছেলে সেখানে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছিল। তাই ওর বাবা ওকে ওখানে নিয়ে গেলো আর আমি টিচারের সাথে কথা বললাম।


B198E01D-6A7F-4D2C-A939-2672082EABC8.jpeg


3F172C2E-D642-43EA-99C6-C73FCF547D4C.jpeg


ওদের ক্লাসের সামনে বিভিন্ন লেখকের লেখা রয়েছে। দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো। তাছাড়া ইসলামি কিছু বাণী লেখা রয়েছে।


E60B519B-E2BC-4040-AC7D-47128B494A77.jpeg


4534194A-4FBD-41C6-A369-4B1C93B8BA66.jpeg


ছোট ছেলেকে সামনের বছর স্কুলে ভর্তি করবো। তাই প্লে গ্রুপের ক্লাসটা দেখতে গিয়েছিলাম। ক্লাসের পাশে বাচ্চাদের খেলার একটি রুম রয়েছে। ছোট ছেলেতো খুব খুশি ওখানে গিয়ে।


ADD13C1D-C745-4A60-B986-422589C4599C.jpeg


211404CC-B128-4ED6-A53D-8100248A5284.jpeg


023B5003-2B23-4B1F-8FF1-6426516DF885.jpeg


প্রচন্ড রকম গরম ছিল। তাই আমরা আসার সময় একটি দোকানে দাঁড়িয়ে ডাব খেলাম। আর কিছু সবজি কিনলাম। গ্রাম থেকে এই সবজিগুলো আসে জন্য খুব ভালো হয়।


9CB1FCCD-782E-403F-85CE-EB73FAE14366.jpeg


খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা বাসায় চলে আসলাম। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
LocationLink
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  
 last year 

আপনার ছেলের স্কুলের পরিবেশটা কিন্তু সত্যি অনেক সুন্দর। প্রতি মাসে একবার করে আপনার ছেলের স্কুলে প্যারেন্টস মিটিং হয় এটা জেনে ভালো লাগলো। এক মাসে টিচাররা প্যারেন্টদের সবকিছু বুঝিয়ে বলে। মাঠ যেহেতু অনেক বড় ছিল এবং ওখানে খেলার কিছু বল ছিল, তাই আপনার ছোট ছেলে সেখানে কেনার জন্য একটু বেশি জেদ করছিল। আর আসার সময় একটা দোকানে দাঁড়িয়ে ডাব খেয়েছিলেন, নিশ্চয়ই খেতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।

 last year 

জি ভাইয়া প্রতি মাসে একবার প্যারেন্টস মিটিং হয়। এতে বাচ্চাদের ভালো-মন্দ জানা যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

সে আপনার ছেলের স্কুলের প্যারেন্টস মিটিংয়ে দিয়ে অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলেন দেখছি। আপনার ছোট ছেলে ওখানে গিয়ে অনেক দুষ্টুমি করেছিল এবং খেলাধুলা করেছিল বুঝতে পারছি। আপনি তো প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন স্যার ম্যামরা আপনার বড় ছেলের নামে যদি কোন কমপ্লেইন করে সেজন্য। কিন্তু ওনারা ওর আরো সুনাম করেছে। শুধু মোবাইল এবং টিভি একটু কম দেখার জন্য বলেছে। আপনি আপনার ছোট ছেলেকে সামনের বছর স্কুলে ভর্তি করাবেন এটা জেনে ভালো লাগলো।

 last year 

ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়ার জন্য।

 last year 

আজকাল প্রায় সব স্কুলেই প্যারান্টস মিটিং হয়। যেটা বেশ ভালো । এতে করে শিক্ষকদের সাথে প্যারেন্টসদের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। এবং বাচ্চারদের বিভিন্ন সমস্যাগুলো জানা যায়। আপনি এটা বেশ ভালো করেছেন ছোট ছেলেকে ভর্তি করানোর আগেই তাকে স্কুল দেখিয়ে এনেছেন। এবং তার বেশ পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। যেহেতু তার স্কুল পছন্দ হয়েছে তাই সে স্কুলে বেশ আগ্রহ নিয়েই যাবে। প্যারেন্টস মিটিং এর অনুভুতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু এরকম প্যারেন্টস মিটিংগুলোতে টিচারদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় এবং বাচ্চাদের অনেক কিছু জানা যায়। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

 last year 

এখনকার বাচ্চাদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য কত কি করা হয় তাই নাহ্ আপু! কপাল ভালো যে আমাদের সময়ে এতকিছু ছিল না, থাকলে মাইর খেতে খেতে জীবন শেষ হয়ে যেত। তবে প্রতি মাসের এই উদ্যোগটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় । ছোট ভাগ্নে সামনের বছর ভর্তি হওয়ার পর চাপ কিছুটা বাড়বে আপনার, কখন কোন খবর আসে এই ভয়েই, হাহাহাহাহা। তবে দুজনই অনেক ভালো করবে আমার বিশ্বাস।

 last year 

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া তখন এমন সিস্টেম থাকলে মার খেয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। ছোটটাকে কন্ট্রোল করা খুবই কষ্টকর। বড়টাকে ধমক দিলে তাও শুনে ছোটটা কোন কিছুই মানে না। কি যে হবে আমার কে জানে।

 last year 

একটি বিদ্যালয় যখন অভিভাবকদের এরকম সভা অনুষ্ঠিত হয় সে সভায় অভিভাবকদের উপস্থিত হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এরকম সভায় আপনি উপস্থিত হয়ে একজন সচেতন অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর প্রচন্ড গরমের দিনে ডাবের পানি নিঃসন্দেহে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া এরকম পেরেন্টস মিটিং গুলোতে অংশগ্রহণ করা খুবই জরুরী। সেজন্যই সেদিন গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62065.67
ETH 2429.85
USDT 1.00
SBD 2.68