গল্প-- "অনাথ মেয়ে" পর্ব-৪
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে "অনাথ মেয়ে" গল্পটির চতুর্থ পর্ব শেয়ার করবো। গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম আশা বিয়ে করে স্বামীর সঙ্গে বেশ ভালো সংসার করছিলো। এখন দেখা যাক যে তার সংসার কতদিন টিকেছিলো বা পরবর্তীতে কি হয়েছিলো। আশা করি আজকের পর্বটিও আপনাদের ভালো লাগবে।
অনাথ মেয়ে
আশা তাদের বাড়িতেই থাকে। ছেলে ছুটির হলে বাড়িতে আসে। আবার আশাও মাঝে মাঝে শশুর বাড়ী গিয়ে থাকে। বেশ কিছুদিন পর আশার সংসারে ফুটফুটে একটি ছেলের জন্ম হয়। আশা ছেলেটির তেমন একটা যত্ন নেয় না। আসার বাবা-মা ছেলেটির সব যত্ন করে। ছেলেটি একটু বড় হলে দেখা যায় তার কিছু শারীরিক সমস্যা। তাতেও আশার কোনো খেয়াল নেই। কিছুদিন যেতে না যেতে স্বামী দূরে থাকার কারণে আশা আবারও মোবাইলে আসক্ত হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে গল্প করতে থাকে।
একসময় তার স্বামীকে আর তার ভালো লাগেনা। সে তার বাবা মাকে বিভিন্নভাবে বোঝায় স্বামীর বিভিন্ন দোষ। তার বাবা-মা ও মেয়ের কথায় বিশ্বাস করে আশার স্বামীকে দোষ দিতে থাকে। আরো কিছুদিন যাওয়ার পর আশা স্বামীর সঙ্গে আর একেবারেই থাকতে চায় না। ডিভোর্স নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। আসার স্বামী অনেক চেষ্টা করে যাতে ডিভোর্স না হয়। সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে এসে থাকে। কিন্তু তাতেও আশাকে রাজি করাতে পারে না।
অবশেষে আশা তাকে ডিভোর্স দিয়েই দেয়। আশা আবারো তার আগেকার জীবনের ফিরে যায়। বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে ঘোরাফেরা আড্ডা এগুলোই করতে থাকে। এভাবে চলতে চলতে আশার বাবাও একসময় অসুস্থ হয়ে যায়। তার হার্টের প্রবলেম হয়। মেয়ের জন্য অসংখ্য টাকা খরচ করে কিন্তু নিজের চিকিৎসার জন্য খুব একটা টাকা খরচ করতে আগ্রহী নয় তার বাবা। তাই ধীরে ধীরে তার হার্টের প্রবলেম বড় আকার ধারণ করে। তার হার্ট একেবারে ব্লক হয়ে যায়। তখন ওপেন হার্ট সার্জারি ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।
যখন আশার বাবার অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায় তখন সে ঢাকায় আসে ওপেন হার্ট সার্জারি করার জন্য। কিন্তু তখন বেশ দেরি হয়ে যায়। তার রক্তে আরো বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে ডাক্তাররা ওপেন হার্ট সার্জারি করতে পারে না। রক্তের সমস্যাটা আগে ঠিক করার পর ওপেন হার্ট সার্জারি করবে। এভাবেই বেশ কিছুদিন চলতে থাকে। বেশ কয়েকবার ঢাকায় এসে আশার বাবা ট্রিটমেন্ট করাতে থাকে। লাস্ট বার যখন আসে তখন আর সুস্থ হয়ে ফিরে যেতে পারে না। অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যায় এবং সে ঢাকার স্কয়ারে মৃত্যুবরণ করে। তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আশা এবং তার মা যেন অসহায় হয়ে পড়ে। পরিবারের মাথা যেখানে চলে যায় সেখানে পরিবারের আর কি থাকে। আশার বাবা শেষ দিকে এসে বুঝতে পেরেছিল সে আর বেশিদিন বাঁচবে না। সেজন্য সে তার সম্পত্তির অর্ধেকের বেশি অংশ আশা এবং দুলালীর নামে লিখে দিয়ে যায়। যাতে সে না থাকলে তাদের কোনো কষ্ট না হয়। কারণ সে হঠাৎ মারা গেলে আশা তো কোনো সম্পত্তি পাবে না। আশা এরকম বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। তখন তাকে আর কে পায়।
আশার বাবা মারা যাওয়ায় আশা কি ভালো হবে? নাকি এত সম্পত্তির মালিক হয়ে আরও খারাপের দিকে যাবে। জানতে হলে পরবর্তী পর্ব অবশ্যই পড়তে হবে। সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
যদিও আমি আপনার এই গল্পের আগের পর্বগুলো পড়ে নি। তবে সময় পেলে অবশ্যই পড়ার চেষ্টা করব খুবই খারাপ লাগলো গল্পটি পড়ে। তবে আপু আসার ছেলেটি কোথায় এবং কার কাছে আছে সেটা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। আশা করছি খুব দ্রুত পরের পর্বটি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সময় পেলে গল্পটি পড়তে পারেন আপু ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এই গল্পটার এর আগের পর্ব আমি পড়েছিলাম কিন্তু প্রথম পর্ব গুলো আমার পড়া হয়নি। আজকে আপনি চতুর্থ পর্ব শেয়ার করলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে আশা তো দেখছি নিজের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে চলে এসেছে। তারা রকম কাজের জন্য অনেক বেশি খারাপ লাগতেছে। অন্যদিকে তার বাবা ও মারা গিয়েছে এটা দেখে তো আরো খারাপ লাগলো। তার বাবা তো দেখছি মারা যাওয়ার আগে তাকে অনেক সম্পত্তি লিখে দিয়েছে। আশা এখন ভালো হবে নাকি আরও খারাপ হয়ে যাবে, এটাই তো বুঝতে পারতেছি না। এটা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম এখন।
আশা মারা যাওয়ার পর সে বাবার অনেক সম্পত্তি পেয়ে গিয়েছে। দেখা যাক সে পরবর্তীতে কি করে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার গল্পের প্রথম পর্বগুলো পড়িনি তবে গল্পটা পড়ে ভালই লাগলো । আশা এখন উশৃংখল জীবনযাপন করছে হয়তোবা পরবর্তীতে টের পাবে । এখন তো তার বাবাও তাদেরকে ছেড়ে চলে গেল এখন সম্পত্তি হাতে পেয়ে তো আরো খারাপ অবস্থা হয়ে যাবে দেখছি । দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয় ।
এক সময় গিয়ে অবশ্যই সে বুঝতে পারবে এবং তার উশৃংখল জীবনের জন্য অনুশোচনা করবে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
অনাথ মেয়ে গল্পটির অন্য পর্বগুলো না পড়া হলেও এই পর্বটা পড়ে ভালো লাগলো। কিন্তু আশার এরকম আচার-আচরণ দেখে অনেক খারাপ লেগেছে। তার হাজবেন্ড তো ভালোই ছিল। কিন্তু সে মিথ্যা অপবাদ দিত তার নামে। আর একসময় তো তাকে ডিভোর্স দিয়ে সে বাবার বাড়িতে চলে আসে। নিজের সন্তানের কথা ও চিন্তা করলো না একবারের জন্য। অন্য ছেলেদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর জন্যই মূলত সে এরকমটা করেছে। শেষ পর্যায়ে তার বাবা ও মারা গিয়েছে। তবে তার বাবা নিজের অর্ধেক সম্পত্তি মেয়ের নামে লিখে দিয়েছে। যেন মেয়ে কষ্ট না করে কিন্তু। মেয়ে তো ভালো ছিল না। এখন দেখা যাক ভালো হয় নাকি আরো খারাপ হয়।
জি আপু তার হাজবেন্ড ভালোই ছিল কেন যেন তার আর পছন্দ হয়নি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এই গল্পের আগের পর্ব গুলো আমার পড়া হয়নি। তবে এই পর্বটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। যাইহোক আশার মতো মেয়েরা সংসার করার যোগ্য না। তারা ছেলেদের সাথে ফূর্তি করুক সেটাই ভালো। কিন্তু আশার মতো মেয়েদের শেষ পরিণতি খুবই ভয়াবহ হয়। আর কাউকে ঠকিয়ে কেউ কখনো জিততে পারে না এবং এটা একদম সত্যি কথা। আল্লাহ তায়ালা দুই দিন আগে কিংবা পরে ঠিকই বিচার করে। যাইহোক আশা তো এখন বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে। এখন যে আশা কি করবে না করবে,সেটা মনে হয় নিজেও জানে না। এখন মনে হয় ছেলেদের সাথে নাইট ক্লাবেও যাবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আসার মত ছেলেদের পরিণতি খুব খারাপ হয়। গ্রামে নাইট ক্লাব নেই। থাকলে হয়তো সেখানেও যেত। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিশাল সম্পত্তি যেহেতু পেয়েছে, আশা তো মনে হচ্ছে এখন শহরে গিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করবে এবং শহরের নতুন নতুন ছেলেদের সাথে ঘুরবে।