বাচ্চাদের স্কুল ছুটিতে রংপুর যাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ডিসেম্বর মাসটা বাচ্চাদের স্কুল ছুটি থাকে। এজন্য এই ডিসেম্বর মাসে সব জায়গায় ঘুরে নিচ্ছি। প্রথমে ফরিদপুর গিয়েছিলাম বাবার বাসায়। এখন শ্বশুর বাড়িতে আসার পালা। ফরিদপুরে যেতে অল্প সময় লাগে। এজন্য বাচ্চাদের নিয়ে একাই জার্নি করতে পারি। কিন্তু রংপুরে যেতে অনেক সময় লাগে। বাচ্চাদের নিয়ে একা জার্নি করা সম্ভব না। এদিকে হাজবেন্ডেরও অফিস খোলা। তাই আমরা ২৫ ডিসেম্বর হিসাব করে আমার হাসবেন্ড আর দুদিন অফিস ছুটি নিয়ে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যেহেতু অল্প কয়েক দিনের জন্য এসেছি তাই বাসে এসে সময় নষ্ট করলাম না। আমরা প্লেনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে খুব দ্রুত সময় রংপুর পৌঁছানো যায়।
আমাদের ফ্লাইট ছিল ৬টায়। তাই আমরা ৪:৪৫ এ বাসা থেকে বের হই। রাস্তায় জ্যাম ছিলো না। ১৫/২০ মিনিটেই আমরা এয়ারপোর্ট এ পৌঁছে যাই। আমরা যখন বের হই তখন সূর্য ডুবতে বসেছে। লাল সূর্যের কারণে চারপাশ খুব সুন্দর লাগছিলো দেখতে।
এয়ারপোর্ট এ ঢুকে আমরা ব্যাগ দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। ভিতরে ঢোকার এই সিস্টেমটা আমার কাছে সব থেকে বেশি বিরক্ত লাগে। ঘড়ি, জুতা, বেল্ট , মোবাইল সব আলাদা করে খুলে দিতে হয়। তারপরও কি আর করা। সব চেক করে শেষ করে ভিতরে ঢোকার পর শুনলাম ফ্লাইট এক ঘন্টা লেট। প্রধানমন্ত্রী সিলেট থেকে ফিরেছেন তার জন্য সব ফ্লাইট বন্ধ করে রেখেছে। আমাদের দেশের এই এক সমস্যা। কোনো ভিআইপি যেখান দিয়ে যায় ওই জায়গা দিয়ে সাধারণ মানুষের কোনো কাজ থাকলে তাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। ১:৩০ ঘন্টা অপেক্ষার পর আমরা শাটল বাসে করে গিয়ে প্লেনে উঠলাম। প্লেন ছাড়তে ছাড়তে সব মিলিয়ে দুই ঘন্টা লেট। ৪৫ মিনিট পর প্লেন থেকে সৈয়দপুর নেমে আবার বিমানের বাসে করে রংপুর আসলাম।
ওখানে আসতে আরো এক ঘন্টা। রংপুর নামার পর আমার ননদের হাসবেন্ড গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল সেই গাড়িতে উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এগারোটায় বাড়িতে পৌছালাম। সময় বাঁচানোর জন্য প্লেনে এসে খুব একটা লাভ হলো না। আমাদের তারপরও বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছাতে সবসহ ছয় ঘন্টা লেগে গেল। যাইহোক সুস্থ হতে পৌঁছতে পেরেছি তাই অনেক।
উপরের ছবিটি প্লেন থেকে তুলেছি। ঢাকা থেকে প্লেন আকাশে ওঠার পর ঢাকা শহর দেখতে খুব চমৎকার লাগছিল। এত সুন্দর আলো রংপুরে নামার পর আর দেখা যায়নি।
আজ এ পর্যন্তই। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
বেশ ভালোই সময় কাটাচ্ছেন আপু। আজ বাবার বাড়ী তো কাল শ্বশুড় বাড়ী। তবে কথা হলো যে ভেবেছিলেন এক আর হলো আর এক। সেই একই সময়ই তো লেগে গেল রংপুর পৌঁছাতে। তবে বিমান এর জার্নির মজা কি আর বাসে বসে পাওয়া যেত? যাক সে সব কথা। ভালে ভাবে পৌঁছেছেন সেটাই বা কম কিসে। আনন্দে কাটুক আপনার সময়গুলো।
জি আপু প্লেনে গিয়েও যাওয়ার সময় খুব বেশি উপকার হয়নি। সময় অনেক বেশি লেগেছিল। কষ্টটা একটু কম হয়েছে এই যা আর কি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ঢাকা শহর তো সবসময় আলোয় আলোকিত থাকে এজন্যই হয়তো উপরে প্লেনের থেকে ঢাকা শহরটা একটু বেশি সুন্দর লাগছিল। যাই হোক ঢাকা থেকে রংপুর যাওয়ার গল্পটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বী ভাইয়া ঢাকা শহরের বিভিন্ন লাইট গুলোর কারণেই উপর থেকে এত সুন্দর লাগছিল দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। এদেশে যেন ভিআইপিই সব! অথচ সাধারণ মানুষেরও তো এমার্জেন্সি থাকতে পারে- এই স্বাভাবিক বিষয়টিই যেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাথায় ঢোকে না! আমার ভীষণ রাগ লাগে এই বিষয়টি নিয়ে। আমার মনে পড়ে আমার বাসা থেকে এক মিনিটের দূরত্বেই আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল VIP আসবে বলে, অথচ আমাকে এই এক মিনিটের দূরত্বেই যেতে দেয়া হয়নি! আপনারা যতক্ষণ এয়ারপোর্টে অপেক্ষায় ছিলেন, ততক্ষণ এ বাসার কাছাকাছি চলে আসতেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে। তারপরেও বাসায় যেতে পেরেছেন এটিও শুকরিয়া আদায় করার মত ব্যাপার আমাদের দেশের পরিস্থিতিতে!
এই ভিআইপিদের জন্য সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। আর বাংলাদেশের ভিআইপির ও কোন শেষ নেই। যাইহোক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সময় বাঁচাতে গিয়ে সেখানেই সময়ের লস হলো।আসলে দূরের পথ জার্নি করতে এভাবে প্লেনে করে গিয়েছেন হিসেবে ভালোই হয়েছে।আর অল্প কয়দিনের ছুটিতে যদি আসা যাওয়ায়ই সময় চলে যায় তাহলে গিয়ে আর লাভ কি হবে।যাইহোক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে।
ঠিক বলেছেন আপু সময় বাঁচাতে গিয়ে সময় লস হয়ে গেল। তারপরও একটু আরামে যেতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।