খাবারে রুচি ফিরিয়ে দিল একটুখানি আমের আচার
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
আপনারা অনেকেই জানেন কিছুদিন আগে আমার বড় মেয়ে খুব অসুস্থ ছিল। এরপর ভালো হতে না হতেই তার কিছুদিন পর আবার দুজনে অসুস্থ হয়ে পড়ে সর্দি ও কাশিতে।ফলে দুজনেরই একদিন স্কুল মিস হয়ে যায়।এরপর দুজন ভালো হয়ে ওঠার পর শুরু হয়ে গেল আমার পালা। আজকে দিয়ে মোট তিন দিন সর্দি,কাশি ও জ্বর এ তিনটি ধরে বসেছে আমাকে। এই তিনদিন প্যারাসিটামলের উপর দিয়েই যাচ্ছে। ওষুধ বাদ দিলেই আবার শুরু হয়ে যায় জ্বর। তাই নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যাচ্ছি, বাদ দিতে পারছি না। এদিকে খাবার নিয়ে পড়েছি মহা ঝামেলায়। কোন কিছুই ভালো লাগেনা, কোন কিছুতেই রুচি পাচ্ছি না। সবকিছুর স্বাদ তিতা তিতা লাগে। গতকাল দুপুরে যখন লাঞ্চ করছিলাম তখন হাজব্যান্ড কে বলছিলাম কিছু ভালো লাগে না খেতে, যদি একটু আমের আচার পেতাম তাহলে মনে হয় খেতে পারতাম। আসলে শরীরে যখন জ্বর থাকে তখন টক জাতীয় জিনিস খেতে খুব মন চায়। যাই হোক রাতের বেলায় যখন হাজব্যান্ড বাসায় ফিরে তখন দেখি ছোট্ট একটি পটে করে আমার জন্য আমের আচার নিয়ে এসেছে। আমি তো দেখে অবাক কারণ এত রাতে আমের আচার কোথা থেকে পেল? জিজ্ঞেস করলাম কোথায় পেলে? তখন বলল জানতে হবে না কোথা থেকে এনেছি, খাওয়ার কথা খাও। আচার পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।অবশ্য তখন অনেক রাত ছিল তাই পরের দিন সকালে, মানে আজকে আচার দিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য একটু ডাল রান্না করলাম। কারণ ডালের সাথে আচার এ্যাড করে ভাত খেতে খুবই ভালো লাগে।
আজকে সকালবেলা নাস্তা করে চলে গেলাম দুপুরের রান্না করতে। শরীর খারাপ হলে আসলে কোন কিছু করতে ভালো লাগে না।আর রান্না করা তো আরো বেশি ঝামেলার। এই কয়দিন জ্বর নিয়ে একটু একটু করে রান্না করছি। নরমালি আমি একদিন বেশি করে রান্না করে রাখি যেন পরের দিন আর রান্না করতে না হয়। কিন্তু জ্বর নিয়ে বেশি আইটেম রান্না করতে পারছি না। এদিকে আমাদের রেস্টুরেন্টে কাজ চলছে। তাই হাজবেন্ডকে প্রতিদিন সকালে বের হয়ে যেতে হয় রেস্টুরেন্টে কাজ দেখার জন্য। আর হাজব্যান্ড যদি বাসায় থাকে তখন সে আমাকে অনেক হেল্প করে।মোটামুটি কাটাকুটি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু আমাকে রেডি করে দেয়। কিন্তু কোন উপায় নেই তাকে তো যেতেই হবে। ওষুধ খাওয়ার পর যখন ভালো লাগে তখন একটু রান্না করে ফেলি। আজকেও একটি আইটেম রান্না করেছি আর সাথে তৈরি করেছি ডাল। যেহেতু আচার এনেছে হাজব্যান্ড, আর আচারের সাথে অবশ্যই ডাল লাগবে। অবশেষে ডাল ও আচার দিয়ে আজ তৃপ্তিসহকারে ভাত খেয়েছি। দুইদিন পর অনেক তৃপ্তি পেলাম খেতে আজ। যদিও আচার অতটা মজার ছিল না কারন আচারের সাথে আরও একটি ফল এ্যাড ছিল যা খেতে একটু তিতা লেগেছে। কিন্তু তারপরও আমার কাছে খেতে বেশ ভালোই লেগেছে কারণ আম টা বেশ ভালোই টক ছিল। আসলে শরীর খারাপ থাকলে এমনিতেই অনেক দুর্বল লাগে। এরপর আবার যদি ভালোমতো খেতে না পারা যায় তাহলে আরো বেশি প্রবলেম হয়। যাইহোক আজকে আচার পেয়ে তৃপ্তি সহকারে খেতে পেয়ে বেশ ভালোই লাগছে। এখন মোটামুটি বেশ ভালই বোধ করছি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
হ্যাঁ আপু শরীর খারাপ হলে কোন কিছুতে মন বসে না। আজকে আপনার সর্দি জ্বরের কারণে রান্নাবান্না কাজে যেমন মন বসছে না ঠিক তেমনি কাজকর্মে কিন্তু অনীহা অনুভব। আরে এ মুহূর্তে খাবারের প্রতিও রুচি কমে যায়। তবে দোয়া করি যেন সুস্থ-সবল অবস্থায় আমাদের মাঝে থাকতে পারেন। আর টক জাতীয় রেসিপিগুলো খাবার খাওয়ার প্রতি একটু বাড়িয়ে দেয়। আর এখন আমের সময়, আমের আচার শরীরের জন্য খুবই ভালো।
গরমে টক জাতীয় খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে এবং গরমে আলাদা একটা রুচি ফিরে আসে।আপু মজার বিষয় হচ্ছে,আপনার আচারের বাটিতে চোখ যেতেই মনে হচ্ছিলো কোনো মাংসের রেসিপি।কিন্তু পড়েই বুঝলাম আমের আচার।আপনার হাজব্যান্ড আপনার জন্য আচার এনেছে জেনে ভালো লাগলো।দেখেই খেতে মন চাইছে ,মনে হচ্ছে খোসাসহ তৈরি করা।যাইহোক আপু আপনার এবং আপনার পরিবারের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
প্রথমেই আপনার এবং আপনার সন্তানদের সুস্থতা কামনা করে নিচ্ছি। বর্তমান বাংলাদেশেও ওয়েদার চেঞ্জ হওয়ার খাতিরে কমবেশি সব মানুষই অসুস্থতার কবলে পড়ে যাচ্ছে। থেকে বড় ঝামেলার বিষয়টা হচ্ছে জ্বর হওয়া। তবে অবাক হচ্ছি লন্ডনে কিভাবে খাঁটি আমের আচার পেলেন। যাইহোক পেলেও পেতে পারেন। এটা সত্য বলেছেন ডাল আর আমের আচার ভাতের সাথে খেতে পারলে অন্য রকম ফিলিংস আসে। এখন একটু হলেও সুস্থতা বোধ করছেন শুনে ভালো লাগলো। সর্বোপরি আপনার সুস্বাস্থ্য এবং সুদিন কামনা করছি আপু।
আপু আপনার পরিবারের সবার উপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে বুঝতে পারছি। একবার বাচ্চারা অসুস্থ হলো এরপর আপনি অসুস্থ হয়েছেন জেনে খারাপ লাগছে আপু। আসলে রান্না করার মত অন্য কেউ বাসায় না থাকলে অসুস্থতার সময়গুলোতে ভীষণ অসহায় লাগে। টুকটাক কিছু হলেও তো রান্না করতে হয়। যাইহোক ভাইয়া আপনার জন্য আচার কিনে এনেছিলেন আর সেই আচার দিয়ে ভাত খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ডালের সাথে আচার খেতে সত্যি ভালো লাগে। আমের সাথে অন্য ফল দেওয়ার কারনে হয়তো আপনার কাছে একটু খারাপ লেগেছে। কি আর করার সব কিছু তো আর নিজের হাতে তৈরি করা আচারের মত পারফেক্ট হয় না। আপু আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
শুনেই খারাপ লাগছে। একের পর এক অসুস্থ্য। আসলে এখন সময়টাই এমন। যাই হোক বাচ্চারা সেড়ে উঠেছে এটাই অনেক। আশা করি আপনিও বেশ তাড়াতাড়ি সেড়ে উঠবেন। তবে কি জানেন আপু অসুস্থ্য অবস্থায় নিজেকে বড়ই অসহায় মনে হয় সেই সময়টায় যখন রান্না করার জন্য নিজেকেই রান্না ঘরে যেতে হয়। যাই হোক ভাইয়া তাও আপনার রুচি ফেরানোর জন্য আমের আচার এনেছে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার পুরো পরিবারে অসুস্থতার একটা ধারা চলছে। যাইহোক আশাকরি আপনি খুব দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে যাবেন আপু। আপনার জন্য শুভকামনা। সর্দি জ্বর আসলে আসলেই খাওয়ার উপর কোন রুচি থাকে না। আর এই সময়ে আচার জাতীয় খাবারগুলো বেশ কার্যকরি হয়। আর এগুলো বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। খাওয়ার রুচি ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
সর্দি -জ্বর হলে মুখটা আসলে তেতো হয়ে যায়। আর তাইতো আচার তখন ভীষণ ভালো লাগে। মনে হয় আচার হলে ভাও খাওয়া যাবে।তাইতো ভাইয়া নিয়ে এলো আমের আচার। তার মধ্যে আবার কি একটা ফল ছিল বললেন।যার টেস্ট তেতো বললেন।নয়ত আম টকই ছিল।যাক সেই আচার দিয়ে ডাল দিয়ে তৃপ্তি নিয়ে ভাত খেয়ে নিলেন।অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপনার অসুস্থতার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো আপু। আসলে ঠিক বলেছেন, জ্বর হলে একদমই কোন কিছু খেতে ভালো লাগে না। টক জাতীয় কিছু হলে তাও ভালো লাগে। তবে একটা বিষয় বেশ ভালো লাগলো যে, আপনি আমের আচারের কথা বলাতে আপনার হাসবেন্ড নিয়ে আসলো। সত্যি এই বিষয়টা খুবই ভালো লেগেছে। তার সাথে আবার দেখছি আপনাকে অনেক বিষয়ে হেল্প করে। মনে হয় ভাগ্য করে এরকম হাজবেন্ড পেয়েছেন। আমের আচার এবং ডাল দিয়ে অন্তত ভাত খেতে পেরেছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। আশা করি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আপু প্রথমেই আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আসলে সর্দি ঠান্ডা কিংবা জ্বর থাকলে খাবার খেতে একদমই ইচ্ছে করে না। তবে আচার দিয়ে ভাত খেলে কিছুটা রুচি পাওয়া যায়। ডাল এবং আচার দিয়ে ভাত খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। যাইহোক কষ্ট হলেও খাবার খেতে হবে আপু। নয়তোবা আরও বেশি দুর্বল হয়ে যাবেন। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শরীর খারাপ হলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা আপু। সবকিছুর স্বাদ তিতা তিতাই লাগে। তবে আপনার হাজবেন্ডের প্রশংসা করতে হয়। কারণ আপনি একবার বলাতেই উনি যতো রাতই হোক আমের আচার কিন্তু ম্যানেজ করে এনেছে। তাছাড়া আপনি এই অসুস্থ শরীর নিয়েও যে ডাল এবং আচার দিয়ে তৃপ্তি সহকারে ভাত খেতে পেরেছেন, সেটা জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম।