বাংলাদেশ মিলিটারি মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরির সুন্দর কিছুটা মুহূর্তের তৃতীয় পর্ব।
♥️ হ্যালো বন্ধুরা ♥️ |
---|
"আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? থঢশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আমি আজকে মিলিটারি মিউজিয়ামের তৃতীয় পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। এই পর্বে মিলিটারি মিউজিয়ামের সবচেয়ে সুন্দর জায়গার সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আসলে আমার কাছে মনে হয় মিলিটারি মিউজিয়ামের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা আন্ডার ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। এখানে যাওয়ার পর মনে হচ্ছে যেন সমুদ্রের তলদেশে চলে এসেছি। সত্যি বলতে জায়গাটা এত সুন্দর ছিল যে বারবার যেতে ইচ্ছে করে এরকম জায়গায় ।আসলে মিলিটারি মিউজিয়ামের ভেতরটা যে এত সুন্দর হবে ভাবতেই পারিনি। সত্যি বলতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তাহলে চলুন দেখা যাক।
- তারপর আমরা মিলিটারি মিউজিয়ামের আন্ডার ওয়াটার ওয়ার্ল্ড চলে গেলাম। জায়গাটা এত সুন্দর যে আমি তো মনে করেছি আমি সমুদ্রের তলদেশে চলে এসেছি। তারপর আমার ছেলে এবং আমার বাবা-মার কিছু ছবি তুলে নিলাম আমরা। মনে হচ্ছে যেন খুব বড় একটি একুরিয়াম এর ভেতর আমরা হাঁটছি সবাই।
- তারপর দেখলাম বিশাল বড় বড় মাছ আসছে আমাদের গায়ের উপরে হাসছে এরকম অনুভব হচ্ছে আমাদের। আর আমরা যখন হাটি তখন পানি গুলো সরে যায় এটা দেখে তো বেশ আশ্চর্য হয়ে গেলাম। সত্যি বলতে জায়গাটা দেখে তো আমি একদম মুগ্ধ হয়ে গেছি এত চমৎকার ছিল যে আমি এত ছবি তুলেছি আর বলবো আপনাদেরকে।
- এরপর একটু হাঁটার পর দেখলাম বিশাল বড় একটি সাবমেরিন দেখে মনে হচ্ছে সাবমেরিন চলছে নিচের পানি গুলো সরে যাচ্ছে আর সাবমেরিন চলছে সাগরের মাঝখানে। তারপর আমরা সাবমেরিন এর ভিতরে ঢুকলাম সাবমেরিনটির ভেতরে ঢোকার পর মনে হচ্ছে যেন সত্যিকারে সাবমেরিনটি চলছে এইরকম অনুভূতি হচ্ছে আমাদের কেমন একটা ঘুম ঘুম শব্দ হচ্ছে ভিতরে। তারপর আমি সাবমেরিনটির কিছু ছবি তুলে নিলাম।
- এরপর সাবমেরিন থেকে বের হওয়ার পর জায়গাটা এত সুন্দর ছিল মনে হচ্ছে আমরা সাগরের তলদেশে হাঁটছি। আমাদের হাঁটার সাথে সাথে গাছগুলো সরে যাচ্ছে মাছগুলো সরে যাচ্ছে অনেক ঝাকে ঝাকে মাছ দল বেধে চলছে। সত্যিই এরকম অনুভূতি আগে কখনো হয়নি। আমি কখনো এটা ভুলতে পারবো না।
- তারপর দেখলাম বিশাল বড় একুরিয়াম মনে হচ্ছে একুরিয়াম এর ভেতর সত্যিকারে পানিগুলো পড়ছে আর মাছগুলো ভিতরে ঘুরছে। তাই আমি দেরি না করে কি করে একুরিয়ামটির ছবি তুলে নিলাম।
- তারপর আরো কিছু হাঁটার পর মনে হচ্ছে আমরা সাগর পাড়ে এসেছি। জায়গাটি খুবই সুন্দর তাই আমার ছেলে এবং ভাইয়ের মেয়ে পানির নিচে ডুবুরি সাথে একটা ছবি তুলে নিল। মনে হচ্ছে যেন সত্যি কারের একটি ডুবুরি দাঁড়িয়ে আছে। তারপর আমি জায়গাটি সুন্দর কিছু ছবি তুলে নিলাম।
- এরপর দেখলাম সাগর পাড়ে কাকড়া এবং ছোট তারাগুলো হাটছে মনে হচ্ছে যেন সত্যিকারের সাগর পাড়ে কাকড়াগুলো এবং তারা মাছগুলো হাঁটছে। আমরা পা দিলেই দূরে সরে যাচ্ছে দেখে সত্যিই অবাক হলাম। জায়গাটা থেকে বের হতে ইচ্ছে করছিল না। সবকিছু যেন মুক্ত হয়ে দেখছিলাম। সত্যিই মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। তাই এত সুন্দর একটি জায়গা তৈরি করেছে।
আমরা সবাই খুব ভালো একটা সময় কাটিয়েছি সেখানে। আমার তো ওই জায়গা থেকে আসতে ইচ্ছে করছে না জায়গাটা সত্যি এত সুন্দর ছিল। আপনারা কেউ চাইলে সত্যিই এই সুন্দর জায়গাটি ঘুরে দেখে আসতে পারেন। এই ছিল আমার আজকের পোস্ট আজ এই পর্যন্তই আশা করি আপনাদের কাছে ভালোই লেগেছে বাংলাদেশ মিলিটারি মিউজিয়ামের আরো কিছুটা অংশ দেখে। পরবর্তী পর্বে আরো আকর্ষণীয় কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। ভুল মানুষ মাত্রই হয় যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
চলবে.......
গুগল ম্যাপ লোকেশন : Bijoy Sarani, Dhaka 1215
ডিভাইস নেম:- গ্যালাক্সি A10s
শুভেচ্ছান্তে : @sshifa |
---|
♥️ আমার পোস্টটি দেখা এবং পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ♥️ |
---|
আমার নাম মোতাহারা বেগম শিফা। আমি একজন বাংলাদেশী নাগরিক। বাংলা আমার অহংকার এবং বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা বলে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে অনেক অনেক ভালোবাসি। আমি বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায় বাস করি। আমি বিবাহিতা আমার দুটো সন্তান আছে। বাংলাকে ভালোবাসি বলে "আমার বাংলা ব্লগে" কাজ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমি ছবি আঁকতে, গান গাইতে, রান্না করতে এবং বিভিন্ন রকম ডাই তৈরি করতে খুবই পছন্দ করি। আমার আবার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করতেও খুবই ভালো লাগে। আমি ভবিষ্যতে এই প্লাটফর্মে ভালো কাজের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
আমার অনেক ইচ্ছা আছে এই মিলিটারি মিউজিয়ামে ঘুরতে যাওয়ার আগেয় দুইটা পর্ব মিস করেছি ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।